ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্লেসমেন্ট শেয়ার মামলায় খালাস পেলেন সাত্তারুজ্জামান

প্রকাশিত: ২১:০২, ২৭ অক্টোবর ২০১৫

প্লেসমেন্ট শেয়ার মামলায় খালাস পেলেন সাত্তারুজ্জামান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১০ সালে প্লেসমেন্টের নামে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন সাত্তারুজ্জামান শামীম। মঙ্গলবার পুঁজিবাজার সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে গঠিত ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ুন কবীর এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় বিচারক বলেন, সাত্তারুজ্জামান শামীমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হল। এ মামলার প্রধান আসামী ছিলেন গ্রিন বাংলা কমিউনিকেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রয়াত নবীউল্লাহ নবী। ২০১৩ সালের জুন মাসে নবীউল্লাহ নবী ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান। আর সাত্তারুজ্জামান শামীমকে নবীউল্লাহ নবীর সহযোগী হিসেবে মামলায় আসামি করা হয়েছিল। তবে তা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে বিএসইসি। মামলাটিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষে ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। এ সময় ট্রাইব্যুনালে সাত্তারুজ্জামান শামীম ও তার আইনজীবী এ এস এম আমিনুল হক উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আইনজীবী মাসুদ রানা। ট্রাইব্যুনাল গঠিত হওয়ার পর এই প্রথম কোন মামলায় আসামি বেকসুর খালাস পেলেন। এর আগে ট্রাইব্যুনাল-৩ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এর মধ্যে ফেসবুকে শেয়ারের আগাম ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ৩ আগস্ট মাহবুব সরোয়ার নামে এক বিনিয়োগকারীকে দুই বছর কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। বিডি ওয়েল্ডিংয়ের শেয়ার কারসাজির দায়ে ১৭ আগস্ট ২ জনকে ৩ বছর করে জেল ও ২০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। ১৯৯৬ সালে চিকটেক্সের শেয়ার কারসাজির দায়ে ৩১ আগস্ট কোম্পানির ২ পরিচালককে ৪ বছর করে কারাদণ্ড ও ৩০ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন ট্রাইব্যুনাল। এদিকে গত ২৫ অক্টোবর প্লেসমেন্ট মামলায় সাত্তারুজ্জমান শামীমের পক্ষে তার আইনজীবী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। এর পর ট্রাইব্যুনাল ২৭ অক্টোবর মঙ্গলবার এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। সাত্তারুজ্জামান শামীমের পক্ষে তার আইনজীবী এ এস এম আমিনুল হক ২৫ অক্টোবর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে ট্রাইব্যুনালকে বলেছিলেন, তার মক্কেল সাত্তারুজ্জামান শামীম কোনো ধরনের অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। নবীউল্লাহ নবীর কাছ থেকে বকেয়া টাকা আদায় করতে গিয়ে মামলায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নবীউল্লাহ নবীর অফিস ঘেরাও করার সময় সাত্তারুজ্জামান শামীম ওখানে উপস্থিত থাকায় তাকেও আসামি করা হয়। তার পর থেকে বিগত ৫ বছর যাবৎ তিনি হেনস্থা হচ্ছেন। তিনি ট্রাইব্যুনালের কাছে তার মক্কেলের সুবিচার আশা করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, ২০১০ সালে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়ার নামে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। অভিযোগের ভিত্তিতে বিএসইসির উপ-পরিচালক এ এস এম মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। বিএসইসির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব-৩ সরেজমিন তদন্তে নামে। র‌্যাব-৩ এর কয়েকজন সদস্য বিনিয়োগকারী সেজে প্লেসমেন্টে প্রতারণায় নবীউল্লাহ নবী ও সাত্তারুজ্জামান শাহীন নামে দু’জনকে শনাক্ত করেন।
×