ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কেন আবুল ফজলের পকেটে পদত্যাগপত্র থাকত?

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ২৮ অক্টোবর ২০১৫

কেন আবুল ফজলের পকেটে পদত্যাগপত্র থাকত?

বঙ্গবন্ধু ও চার জাতীয় নেতা হত্যার পর অনেক ঘটনা। মুক্তিযোদ্ধা হত্যা, বিশেষ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ মোশাররফ, মেজর হায়দার, কর্নেল মুজিবুল হককে হত্যা করা হয় ৭ নবেম্বর, ১৯৭৬-এর কথিত সিপাহী বিদ্রোহ বা বিপ্লবের পর পরই। এদিন বিপ্লবের সূচনাকারী কর্নেল তাহের, জাসদের নেতা-কর্মী, অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনাদের দুর্ভাগ্য এবং জিয়াউর রহমানের সৌভাগ্য পরিষ্কারভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিল! ইতোমধ্যে মোশতাক-জিয়া সুকৌশলে বঙ্গবন্ধু ও চার জাতীয় নেতা হত্যাকারী খুনী সেনা সদস্যদের পুরস্কৃৃত করে ব্যাঙ্কক হয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়। এরা হলো প্রথম দল যারা মোশতাক-জিয়ার ক্ষমতা দখলে সক্রিয় ভূমিকা রেখে ক্ষমতার অংশীদার দাবি করার অধিকারী ছিল! স্বাভাবিকভাবেই এরা বেসামরিক ব্যক্তি মোশতাককে অগ্রাহ্য করে জিয়ার প্রতিই অনুগত ছিল, তার সম্মতি গ্রহণ করেছিল। সুতরাং নিয়ম ভঙ্গ করে বেসামরিক প্রেসিডেন্ট মোশতাককে দিয়ে জিয়া মার্শাল ল’ জারি করে নিজেকে চীফ মার্শাল ল’ এ্যাডমিনিস্ট্রেটর ঘোষণা করে! মাস তিনেক পর, মোশতাককে সরিয়ে দিয়ে নিজেই প্রেসিডেন্ট ও চীফ মার্শাল ল’ এ্যাডমিনিস্ট্রেটর দুই পদেই আসীন হয়! জিয়া যাদের প্রতিপক্ষ মনে করত তাদের হয় হত্যা নতুবা দেশ থেকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিত নিজেকে শত্রুমুক্ত রাখতে। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের একই কারণে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয় সে। এর পর জিয়ার জন্য শত্রু হয়ে দাঁড়াতে পারে কারা? অবশ্যই বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তারা! এদের মধ্যে কিংবদন্তি বীর খালেদ মোশাররফ, বীর কমান্ডো কর্নেল হায়দার ও কর্নেল মুজিবুল হক ছিলেন প্রধান। যাদের অনুগামী সেনা মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল অনেক এবং যারা বঙ্গবন্ধু খুনীদের নিয়ন্ত্রণে এনে, বিচার ও সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পক্ষে ছিল। ’৭৫ থেকে ’৮০ ও ’৯০ দশক পর্যন্ত সময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার খুনীরা দম্ভ করেই নিজেদের বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী হিসেবে দেশে-বিদেশে ঘোষণা করেছে! কিন্তু এদের নেপথ্যে থেকে হত্যার ষড়যন্ত্রটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যে ব্যক্তির নাম উচ্চারিত হয়েছে, সে হচ্ছে শুধু মোশতাক! জিয়াকে বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের নেপথ্যের মূল নায়ক হিসেবে তখনও কেউ বা কোন সূত্র দাবি করেনি। তাকে ৮০’র দশকে বঙ্গবন্ধু হত্যার সুবিধাভোগী হিসেবে দেখেছে জাতি, কিন্তু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রে যুক্ত ব্যক্তি হিসেবে সে সময় তাকে কেউ সন্দেহ করেনি। এ প্রশ্ন কারও মনে উদয় হয়েছে- এমন কাউকে দেখিনি! সে সময় কাদের সিদ্দিকীসহ একটি মুক্তিযোদ্ধা গোষ্ঠী আবারও অস্ত্র হাতে লড়াইয়ে নেমেছিল, ভারতের সমর্থন লাভের চেষ্টাও হয়েছিল, কিন্তু পুরো জাতি এদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেনি! কর্নেল তাহের ও জাসদ যে পন্থায় সেনাবাহিনীর মধ্যে চলতে থাকা চরম বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও খুনীদের বিচার, সেনাবাহিনীর সিপাইদের জনগণের কাতারে নামিয়ে আনার ‘বিপ্লব’ সংগঠন করতে চেয়েছিলেন, তখন তাহেরকে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা জিয়ার জন্য স্বাভাবিক ছিল! সম্ভবত সে সময়ের চরম অস্থিতিশীলতাকে নিজ নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে চতুর জিয়া দেশের নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখা খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবী-পেশাজীবীদের সমন্বয়ে একটি ‘উপদেষ্টা কমিটি’ গঠন করাকে জাতির কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেতে সহায়ক পদক্ষেপ হবে বলে মনে করেছিল! যার ফলে তার হিসাব মতো বঙ্গবন্ধু, চার জাতীয় নেতা হত্যার পরও জিয়ার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সে সময় কোন প্রশ্ন ওঠেনি। এখানেই জাতির ইতিহাসে ভুলে যাওয়া একজন ব্যক্তির একজন উপদেষ্টা হবার আগে জিয়াকে দেয়া শর্তের ভূমিকা স্মরণ করতে বলি। বাঙালী সব কিছু দ্রুত ভুলে যায়। বাঙালীকে একবার সেই ১৯৭৭ সালে প্রেসিডেন্ট ও চীফ মার্শাল ল’ এ্যাডমিনিস্ট্রেটর পদে আসীন হয়ে জিয়ার দ্বারা মুশতাকের অধীনে গঠিত মন্ত্রিসভা বাতিল করে ‘উপদেষ্টাম-লী’ গঠনের সময়টি স্মরণ করাতে চাই। তখনও জিয়া যাদের তার স্বার্থের পথে বিঘœকারী শত্রু হিসেবে গণ্য করেছিল সেই মুক্তিযোদ্ধাদের, বিশেষ করে সেনাবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা সদস্য- কর্নেল তাহেরসহ প্রায় চার হাজার সেনা হত্যা সম্পন্ন করেনি, তবে শীঘ্রই করবে। সুতরাং ধুরন্ধর জিয়া সিভিলিয়ানদের মন জয় করতে সিভিলিয়ানদের, বিশেষত উচ্চশিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ, খ্যাতিমান, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে মন্ত্রীর বদলে দুর্নীতিমুক্ত ‘উপদেষ্টাম-লী’ গঠন করে বেসামরিক নাগরিকদের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করার সুচিন্তিত পদক্ষেপটি গ্রহণ করে! সেই লক্ষ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ, দুর্নীতিমুক্ত, স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখা খ্যাতিমান প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের ‘উপদেষ্টাম-লী’তে সমাবেশ করতে পেরে জিয়ার গ্রহণযোগ্যতা আশাতীত বাড়িয়ে দিয়েছিল। যার জন্য নাগরিক সমাজ থেকে তার প্রতি সন্দেহ পোষণকারীদের বিরোধিতার সুযোগ হ্রাস পায়। এ তথ্য আমাদের, অন্তত আমার জানা আছে যে, উপদেষ্টাম-লীর সদস্য হবার প্রস্তাব সাহিত্যিক আবুল ফজল ছাড়া সবাই শর্তহীনভাবে গ্রহণ করেছিলেন। আগেই বলেছি, তার কারণ ছিল এই যে, সে সময়ের বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা, ক্যু, পাল্টা ক্যু, সিপাহি বিদ্রোহ, কর্নেল তাহেরের সঙ্গে জিয়ার বিশ্বাসঘাতকতা, জিয়ার ক্ষমতা দখল ইত্যাদি ঘটনার ডামাডোলে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের সঙ্গে জিয়ার সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনা কেউ সন্দেহ করেনি। বরং ঐ সময় জিয়ার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়কে বড় করে প্রচার করা হয়েছিল। উপদেষ্টা হিসেবে আবুল ফজলের যোগ দেবার বিষয়ে ফিরে আসছি। চট্টগ্রামের বাসিন্দা কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব আবুল ফজল স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু কর্তৃক চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ লাভ করে সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। এ সময় ‘উপদেষ্টাম-লী’র সদস্য হিসেবে যোগ দিতে আবুল ফজলকে রাষ্ট্রপতি জিয়ার পক্ষ থেকে তৎকালীন নেভী চীফ এম. এইচ. খান অনুরোধ করেন। প্রথমেই দ্রুত এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন আবুল ফজল ও স্ত্রী উমরতুল ফজল এবং সন্তানরা। তারা কেউ চট্টগ্রাম ত্যাগ করার আগ্রহী ছিলেন না। শিক্ষক আবুল ফজল সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলো থেকে পরীক্ষায় নকলের কু-প্রথা বন্ধ করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ দান করে একটি উজ্জ্ব¡ল, ভাল পড়াশোনার উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করছিলেন। সারাদেশ থেকে মেধাবী কৃতী শিক্ষকদের তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন- ড. আনিসুজ্জামান থেকে ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সৈয়দ আলী আহসান বাংলা বিভাগকে সমৃদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাঁকে উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন, তিনি ও তাঁর পরিবার যে বর্বর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন, সেজন্য ক্ষমতাশীলদের প্রতি তাঁর ও পরিবারের সদস্যদের মনে ছিল চাপা ক্ষোভ। তারা সবাই এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। কিন্তু এম. এইচ. খান বার বার অনুরোধ করেই চলেছিলেন। শেষপর্যন্ত আবুল ফজল স্থির করলেন, তিনি দেশের স্বার্থে, কয়েকটি শর্ত পূরণের দাবি করে উপদেষ্টা পদে যোগ দিতে সম্মত হবেন, সেজন্য তাঁর পকেটে সবসময় থাকবে একটি পদত্যাগপত্র, যদি দেখা যায় জিয়া তাঁর দেয়া শর্তে সম্মত হয়েও সে শর্ত মানছেন না, তখন তিনি পদত্যাগ করে চলে আসবেন। তিনি উপদেষ্টা পদ গ্রহণের বিপরীতে জিয়াকে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবেÑ এ দাবি করেন। শর্তগুলো, সম্ভবত এম. এইচ. খানের মাধ্যমে জানানো হয়েছিল। শর্তগুলো ছিল খুব স্বাভাবিক, যে কোন শিক্ষিত, দেশের বুদ্ধিজীবীদের জন্য কাক্সিক্ষত- ১. বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা, ২. ঢাকা জেলে নিহত চার জাতীয় নেতার হত্যার বিচার করা, ৩. অবিলম্বে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, একজন উচ্চাভিলাষী সেনা কর্মকর্তা কৌশলে ক্ষমতা দখল করেছে, তাকে দিয়ে এসব শর্ত মানানো যাবে, এ কথা কেন আবুল ফজল বিশ্বাস করলেন? আমি নিজেকে দিয়ে ভেবে দেখেছি যে, ঐ সময়ে ধোঁয়াশায় ঘেরা সময়ে যখন জিয়াকে খুনীদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে কেউ সন্দেহ করেনি, খুনীদের এক ধরনের নির্বাসনে পাঠানোকে সাধারণভাবে খুনীদের এক ধরনের ‘নরম শাস্তি’ হিসেবে অনেকে দেখেছে। আর কোন শর্ত যদি জিয়া না মানে, তাহলে পদত্যাগপত্র তো প্রস্তুত থাকল, সেটি দিয়ে ভারমুক্ত হওয়ার রাস্তা তো খোলাই রইল। এমন ভাবা ও এ ভেবে শর্ত দিয়ে, পকেটে পদত্যাগপত্র নিয়ে উপদেষ্টা অফিসে যাতায়াত করা আবুল ফজলের পক্ষে সম্ভব ছিল এবং তাই তিনি করেছেন। সেটা জিয়াও জানত। উপদেষ্টা থাকাকালেই তিনি বড় গল্প ‘মৃতের আত্মহত্যা’ লিখেছেন যেটি ছাপার পর জিয়ার পুলিশ ভোরে প্রেস থেকে সব কপি তুলে নিয়ে গিয়ে ঐ সংখ্যা বাজেয়াপ্ত করে। কিন্তু লেখক আবুল ফজলকে কোন কিছু কোন অফিস বা পুলিশ থেকে কেউ বলেনি। লেখা বাজেয়াপ্ত হওয়া লেখক উপদেষ্টা রয়ে গেলেন। সম্ভবত চতুর জিয়া আবুল ফজলকে লেখাটি বাজেয়াপ্ত করে একটি ম্যাসেজ দিয়েছিল। যেহেতু এরপর তিনি এ বিষয়ে আরও ক’টি গল্প লেখেন। এ ঘটনাবলী জিয়াকে খুশি করেনি। তবে সে নিজ থেকে তাঁকে অব্যাহতিও দেয়নি। জিয়া তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল সেই উপদেষ্টাদের সভায় যেটিতে ইচ্ছাকৃতভাবে দুই উপদেষ্টা, আবুল ফজল ও বিনীতা রায় এবং তাঁদের ব্যক্তিগত সহকারী, অফিস স্টাফদের অন্ধকারে রেখে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল! উল্লেখ্য, এই সভাতেই জিয়া সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ উঠিয়ে দেয়। ঐদিন আমি বেইলী রোডের সরকারী বাড়িতে ছিলাম এবং তাঁর স্টাফদের মলিন, অপমানিত মুখ দেখেছিলাম, ওরা নানা কথা আলোচনা করছিল, বিনীতা রায় ফোনে কথা বলেছিলেন, অন্য উপদেষ্টারা অনেকে ফোনে জানতে চেয়েছিলেন কেন আবুল ফজল ঐ সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। এরপর, স্বাভাবিকভাবেই পদত্যাগপত্র জমা দেয়া হয়েছিল দ্রুত। যে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার সময় পাওয়া কষ্টকর ছিল, তার দেখা পরদিনই পাওয়া গেল এবং ‘আমি পদত্যাগপত্র দেব’- বলার সঙ্গে সঙ্গে জিয়ার উত্তর ছিল- ‘দেন’। এক মিনিটে কাজটি শেষ হয়েছিল। ’৭৮-সালের মধ্য সময়ে আবুল ফজল পদত্যাগপত্র জমা দেবার পর দু’দিনের মধ্যেই চট্টগ্রাম ফিরে যান। মধ্য ’৮১ থেকে দু’বছর, ’৮৩র মে, মৃত্যু পর্যন্ত উনি চরম অসুস্থ হন। বোধশক্তি ছিল না (পা অচল হয়ে পড়ে) বার বার একটি কথাই বলতেন- ‘আমি বাড়ি যাব, রেলের টিকেট আনতে পাঠা’। কোন কোন সময় বাড়ি যাবেন বলে অচল পা নিয়ে চলে যেতেন বাইরে যাবার দরজা পর্যন্ত এবং পড়ে যেতেন সেখানে। আমার মনে হয় তিনি বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যার বিরুদ্ধে, জেল হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী প্রবন্ধ লিখেননি বরং তাঁর মনোব্যথা এবং বিশাল অন্যায়কে রূপকার্থে কথাশিল্পী হিসেবে গল্পের মাধ্যমে প্রকাশ করে তিনি এ হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে লেখকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
×