ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রধানমন্ত্রী আজ ‘পদ্মা পানি শোধনাগার’ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ২৮ অক্টোবর ২০১৫

প্রধানমন্ত্রী আজ ‘পদ্মা  পানি শোধনাগার’  নির্মাণ কাজের  উদ্বোধন করবেন

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মুন্সীগঞ্জ ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার ‘পদ্মা পানি শোধনাগার’ নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। ঢাকাবাসীর বিশুদ্ধ খাবার পানির চাহিদা পূরণে সকালে হোটেল সোনারগাঁও থেকে প্রকল্প স্থলে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের ভিত্তিফলক উন্মোচন করবেন। এই তথ্য নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল হাসান বাদল জানান, সেই লক্ষ্যে এখন লৌহজংয়ের যশলদিয়ায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নতুন প্রযুক্তি স্ক্যাডা (ংপধফধ) ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ের বাইরে সোনারগাঁও হোটেল থেকে সরাসরি প্রকল্প এলাকায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এটিই হবে দেশে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম স্ক্যাডা প্রযুক্তির মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্স। সরেজমিন লৌহজংয়ের যশলদিয়ায় প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল হাসান বাদল, লৌহজং ইউএনও মোঃ কালেকুজ্জামানসহ ব্যস্ততম সময় কাটাচ্ছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না সিএএমসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি কর্মকর্তা, ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্মকর্তা ও স্ক্যাডা প্রযুক্তি কোম্পানি ‘অপটিম্যান ট্রাক অটোমেশন এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি’র (ওটিএই) লোকজন। তৈরি করা হয়েছে ডিজিটাল ভিত্তিফলক। নতুন প্রযুক্তি স্ক্যাডা ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হোটেল সোনারগাঁও বসে ভিত্তি ফলকের বোতাম চাপবেন আর ফলকের পর্দা উন্মোচন হবে প্রকল্প এলাকা লৌহজংয়ের যশলদিয়ায়। এমনটিই জানালেন ওটিএই-এর এক কর্মকর্তা। ভিত্তিফলক উন্মোচনের এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)সহ ৫টি বেসরকারী টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করবে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার যশলদিয়ায় এই ‘পদ্মা পানি শোধনাগার’ নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন ৪৫ কোটি লিটার বিশুদ্ধ খাবার পানি ৩৫ লাখ মানুষের মাঝে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের মাটি ভরাট, সার্ভে ওয়ার্ক, কার্যক্রম পরিচালানার স্থাপনা, রাস্তা নির্মাণ এবং ১৭ হাজার মিটার পাইপ আনাসহ ১০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভিত্তিফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়েই পুরোদমে চলবে এর কাজ। ৪২ মাস মেয়াদী এই প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদন হয় ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর। ৩ হাজার ৫০৯ কোটি টাকার এই প্রকল্পে দেশীয় অর্থ ১ হাজার ৯৫ কোটি টাকা। বাকি ২ হাজার ৪১৪ কোটি টাকার বিদেশী ঋণ রয়েছে। ইতোমধ্যেই এই কাজের ব্যাপারে ঢাকা ওয়াসার সঙ্গে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না সিএএমসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। লৌহজং উপজেলার পদ্মা পাড়ের যশলদিয়ায় ৯০ একর জমির মধ্যে নির্মিত হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ এই পানি শোধনাগার। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ঢাকার কেরানীগঞ্জে ১২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এটি হচ্ছে প্রথম ফেজ। এর পাশেই শীঘ্রই শুরু হবে দ্বিতীয় ফেজের কাজ।
×