ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশে আইএসের কর্মকাণ্ড বিষয়ে নিশ্চিত নয় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২৮ অক্টোবর ২০১৫

বাংলাদেশে আইএসের কর্মকাণ্ড বিষয়ে নিশ্চিত নয় যুক্তরাষ্ট্র

বিডিনিউজ ॥ বাংলাদেশে আদৌ আইএসের কোন কর্মকাণ্ড আছে কি না সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত না হলেও বিষয়টি ‘খতিয়ে দেখা গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি দুই বিদেশী হত্যায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে’ বলেও জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জন কারবি। সোমবার পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইএস বাংলাদেশে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে কি না- তা বলা কঠিন। এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলার মতো অবস্থানে আমি নেই। তবে এখন একটি তদন্ত চলছে, আমরাও চাই.. যদি কোন সহায়তার প্রয়োজন হয়, আমরা তা করতে চাই। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ইতালির নাগরিক সিজারে তাভেল্লা ও ৩ অক্টোবর রংপুরে জাপানী নাগরিক হোসি কুনিওকে একই কায়দায় গুলি করে হত্যা করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যের উগ্র গোষ্ঠী আইএস দুই ঘটনারই দায় স্বীকার করেছে বলে খবর দেয় ‘সাইট ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ’ নামের একটি জঙ্গী তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা। এরপর গত ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার হোসনী দালানে আশুরার তাজিয়া মিছিলে প্রস্তুতির সময় বোমা হামলার দায়ও আইএস স্বীকার করেছে বলে ‘সাইট ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ’ দাবি করে। বাংলাদেশ সরকার বলে আসছে, এসব ঘটনার সঙ্গে আইএসের সংশ্লিষ্টতা বা দায় স্বীকারের দাবির কোন ভিত্তি গোয়েন্দারা খুঁজে পাননি। এসব ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতারের পর পুলিশের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, সরকারকে চাপে ফেলতে পরিকল্পিতভাবে এসব ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে আইএসবিরোধী যুদ্ধে নেতৃত্বে থাকা যুক্তরাষ্ট্র এসব হামলা ও হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে আরও হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে বাংলাদেশে মার্কিন নাগরিকদের চলাফেরায় সতর্কতা জারি করেছে দেশটির দূতাবাস। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, ‘সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই’ তাদের এই সতর্কতা। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, হুমকির বিষয়ে তেমন কোন তথ্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে দিতে পারেনি। ওয়াশিংটনে সোমবারের ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র জন কারবি বলেন, কারা দায়ী তা খুঁজে বের করার দায়িত্ব বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। তবে আমি মনে করি, আইএস এর দায় স্বীকারের দাবির বিষয়টি আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত; আর আমরা তাই করছি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টির তদন্ত করে নিজেরাই একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাক। দোষীদের খুঁজে বের করতে এবং তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে বাংলাদেশ সরকার ও গুরুত্বপূর্ণ সহযোগীদের সঙ্গে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
×