ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাহাড় কাটা, বন নিধন

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ২৯ অক্টোবর ২০১৫

পাহাড় কাটা, বন নিধন

খন্দকার মাহ্্বুবুল আলম ‘দখল’ এ সময়ের এক বিরাট বাণিজ্য। প্রভাব বা আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমেই এই দখল-বাণিজ্য হয়ে থাকে। একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশে এত আইন-শৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক বেষ্টনীর মধ্যেও এক শ্রেণীর লোভী ও অসৎ মানুষের মাধ্যমে দখল বাণিজ্য অবলীলায় চলে আসছে। সরকারী ভূমি থেকে শুরু করে বন, খাল-বিল, নদী-নালা এমনকি পাহাড় পর্যন্ত কিছুই যেন ভূমি দস্যুদের দখল থেকে বাদ পড়ছে না। ফুটপাথ-পার্ক কোনটারই রেহাই নেই। একেকটি ক্ষেত্রে একেক কায়দায় দখল হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমে হরহামেশা দেখি এসব দখলচিত্র। পাহাড়-পর্বত কাটা থেকে শুরু করে বৃক্ষ নিধন পর্যন্ত চলছে নির্বিচারে। এখন প্রশ্ন- কেন এবং কারা এসবের পেছনে জড়িত। বিভিন্ন স্থানে এসব দখলদার ভূমিদস্যুর স্থানীয়ভাবে সবাই চিনলেও কিছুই করার থাকে না। বলতে গিয়ে কে যাবে শত্রু হওয়ার ফ্যাসাদে? এ ধারণা মাথায় নিয়ে অনেকে দেখেও চুপ থাকেন। ফলে এসব ভূমিদস্যুর হয় পোয়াবারো। এদের হাত অনেক লম্বা। প্রভাবশালী কতিপয় রাজনৈতিক নেতার আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে এরা এতই বেপরোয়া হয়ে ওঠে যে, কেউ তাদের বিরুদ্ধে ‘টু’ শব্দটি করারও সাহস পায় না। তাদের এই দখল বাণিজ্যের অর্থ অনেক দূর পর্যন্ত গড়ায়। যে কারণে এসব ভূমিদস্যু ও দখল বাণিজ্যকারীদের কোনভাবে থামানো যায় না। এদের মধ্যে স্থানীয়ভাবে অনেকেই প্রভাবশালী। স্থানীয় প্রভাবশালীদের পাশাপাশি টাউট, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী- মস্তানরাও খাল-বিল, নদী-নালা ইত্যাদি দখল করে, মাটি ভরাট করে বস্তি নির্মাণ করে। আবার অনেক প্রভাবশালী আছেন, যারা অত্যন্ত লোভী। যাদের লোভের আগুনে পুড়ছে নিরীহ মানুষ। যেমন এরকম কোন লোভী-অর্থশালী ব্যক্তির বাড়ি বা স্থাপনার পাশে অন্য কোন নিরীহ মানুষের জায়গা-জমি থাকলে তা গ্রাস করার জন্য ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে ঐসব জমি বা ভূমি দখল করে নেয়। ভূমিদস্যুদের থাবায় অনেকেই নিঃস্ব হয়েছেন এবং হচ্ছেন। হলিশহর, চট্টগ্রাম থেকে
×