ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

টিআর কাবিখা প্রকল্পে অনিয়ম

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ২৯ অক্টোবর ২০১৫

টিআর কাবিখা প্রকল্পে অনিয়ম

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২৮ অক্টোবর ॥ ঘাটাইল উপজেলায় চলতি অর্থবছরে টিআর, কাবিখা ও এমপির বিশেষ কোটায় ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মাসাতের অভিযোগ উঠেছে। আর এই টিআর, কাবিখার সিংহভাগ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগই উঠেছে ঘাটাইল উপজেলা প্রকল্প অফিসার রুহুল আমিন এবং প্রকল্প সভাপতিদের বিরুদ্ধে। টিআর, কাবিখা কাজ হয়েছে বলে এমন কোন নজির নেই। চলতি অর্থবছরে টিআর, কাবিখা প্রকল্পে ৬শ’ টন বরাদ্দ হয়। সাধারণত টিআর বরাদ্দ হয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মন্দির, মসজিদ, মাদ্রাসায়। কিন্তু এ বরাদ্দের ৭০ ভাগ দেয়া হয়েছে এমপি রানার নিজস্ব লোক এবং তার ভাইয়ের নামে করা শহীদ বাপ্পী স্মৃতি সংসদের নামে। জানা গেছে, প্রকল্পে যাদের নাম দেয়া হয়েছে তাদের বেশিরভাগই এলাকায় বিভিন্ন খারাপ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। এ রকম স্থানীয় লোকেরপাড়া ইউনিয়নে বীরসিংহ সদর গোরস্তান নির্মাণে এক টন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়। এ প্রকল্পে সভাপতি কোরবান আলী। অথচ কাজ করা তো দূরের কথা এ গোরস্তানের সঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্টই নন। ওই এলাকায় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি এ গ্রামের বাসিন্দা নন। তিনি পার্শ্ববর্তী গ্রামের লোক এবং ডাকাত ও জুয়াড়ু নামে পরিচিত। একই ইউনিয়নের দশানি বকশিয়া সদর গোরস্তানে টিআর প্রকল্পে লতিফ নামে যে ব্যক্তিকে সভাপতি করা হয়েছে এ নামে ওই এলাকায় কোন লোকই নেই। ওই গোরস্তানের সঙ্গে বাড়ি শুকুর মামুদ (৬৫) জানান, এ গোরস্তানে এ যাবত কোন সরকারী অনুদান নেয়া হয়নি। অথচ ওই গোরস্তানের নামে এমপি অনুসারী লতিফ টিআর নিয়ে আত্মসাত করেছেন। এভাবে প্রত্যেকটি প্রকল্প ঘুরে সরজমিন একই চিত্র পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছমা আরা বেগম জানান, আমি অল্প ক’দিন আগে এখানকার দায়িত্ব পেয়েছি। তাই বিষয়টি ভালভাবে বলতে পারব না। তবে আমি শুনেছি টিআর, কাবিখার সিংহভাগ নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম লেবু জানান, শহিদ বাপ্পী স্মৃতি সংসদের নতুন নতুন কমিটি করে তাদের টিআর দেয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপির নিজস্ব লোক দিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি করে তাদের নামে টিআর বরাদ্দ দেয়া হয়। শুনেছি এবার টিআর, কাবিখা প্রকল্পে পুকুরচুরির মতো অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রুহুল আমীন বলেন, এমপি রানার হাত দিয়ে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আমাকে যেভাবে বলা হয়েছে আমি সেভাবেই কাজ করেছি। এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই।
×