ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যশোরে জেলা পরিষদের ৫০ লাখ টাকার গাছ লোপাট

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ২৯ অক্টোবর ২০১৫

যশোরে জেলা পরিষদের ৫০ লাখ টাকার গাছ লোপাট

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ চলতি বছরের বিভিন্ন সময়ে যশোর জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ৫০ লাখ টাকার গাছ কেটে সাবাড় করেছে অসাধু চক্র। এক থেকে ৯ জনের সংঘবদ্ধ চক্র পৃথক গাছ কাটার ঘটনায় জড়িত। রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থেকে অনেক সময় প্রকাশ্যে গাছ কেটেছে এমন নজিরও পাওয়া গেছে। সরকারী গাছ সাবাড়ের ঘটনায় জেলা পরিষদের পক্ষে ২৪টি মামলা দেয়া হয়েছে। আসামি করা হয়েছে শতাধিক। এছাড়া কর্তনকৃত গাছের ৪০ শতাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে চৌগাছায় গাছ কাটার ঘটনায় ডিভাইন গ্রুপ জড়িত থাকলেও অজ্ঞাত কারণে ব্যবস্থা নিতে পারেনি জেলা পরিষদ। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলার আট উপজেলার বিভিন্ন সড়কের ৩০টি স্পট থেকে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন গাছ কেটে সাবাড় করেছে অসাধু চক্র। এর মধ্যে সাধারণ মানুষ ছাড়াও রয়েছে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অনেকে। ৩০ স্পট থেকে গাছ কাটার ঘটনায় শতাধিক লোককে জড়িত শনাক্ত করে জেলা পরিষদ যে ২৪টি মামলা দিয়েছে তার বেশিরভাগ চলমান রয়েছে। কয়েকটির ফাইনাল দিয়েছে পুলিশ। অধিকাংশ গাছ কাটার ঘটনায় মামলা দিতে ও ৪০ শতাংশ গাছ উদ্ধারে সক্ষম হলেও চৌগাছার কংসারিপুরে ডিভাইন গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি। জেলা পরিষদের বড় একটি গাছ কাটার ঘটনায় চৌগাছার টেঙ্গরপুরের আলাউদ্দিনের ছেলে ডিভাইনের কেয়ারটেকার শাহিনুর রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে মামলার প্রস্তুতি নিয়েও থেমে যায় জেলা পরিষদ। তথ্য এসেছে সেখানে রাজনৈতিক চাপ ছিল। জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার আশরাফ হোসেন মঞ্জু মাঠ পর্যায়ে কাজ করে জড়িতদের শনাক্ত, মামলা দিয়ে গাছ উদ্ধার করতে গিয়ে নানা চাপে পড়েছেন এমন তথ্যও পাওয়া গেছে। তবে গত কয়েক বছর তুলনায় গাছ চুরি ও সন্ত্রাসী তৎপরতায় গাছ কাটার পরিমাণ এ বছরে কম। এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার বণিক জানান, সরকারী সম্পদ রক্ষায় জেলা পরিষদের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী সোচ্চার। রংপুরে মসজিদের নামে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের জমি দখলের পাঁয়তারা স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর ॥ রংপুরে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযুদ্ধের বলিষ্ঠ সংগঠক এ ওয়াই মাহফুজ আলী জররেজের পরিবারের ৭৪ শতক জমি একটি কুচক্রী মহল ঐতিহাসিক কেরামতিয়া মসজিদের নাম ভাঙিয়ে দখল করে নেয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে শহীদ জররেজের সন্তান ও কেরামতিয়া মসজিদ ও মাজার শরীফের মোতয়াল্লি এ এফ এম মকসুদ আলী তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রংপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই অভিযোগ তুলে ধরেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, বহু বছর আগে তাদের পরিবারের ৩ একর ৫৩ শতক জমির মধ্যে ৯৬ শতক জমি তারা ওই মসজিদের জন্য ওয়াকফ্্ করে দেন। যার দলিল নং ৩৩১৭/৪৯ এবং ৩৫৩৪৩/৭৩। ২০১১ সালে রংপুরের তৎকালীন জেলা প্রশাসক ওই দলিল পর্যবেক্ষণ করে সীমানা নির্ধারণ করে দেন। পরবর্তীতে এ নিয়ে সেটেলমেন্টে মামলা-মোকাদ্দমা হলে তাতেও রায় পায় তারা। এরপরও একটি মহল এখনও তাদের ওই জমির মধ্যে ৭৪ শতক জমি মসজিদের রয়েছে বলে দাবি করছে।
×