ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

টি২০ ফরমেটে বাংলাদেশে এশিয়া কাপ

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ২৯ অক্টোবর ২০১৫

টি২০ ফরমেটে বাংলাদেশে এশিয়া কাপ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টানা দুইবারসহ ১৩ বারের আয়োজনে চারবারই এশিয়া কাপ ক্রিকেট হয়েছে বাংলাদেশে। আবারও এ টুর্নামেন্ট বাংলাদেশেই হতে যাচ্ছে। তা হলে টানা তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশে এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একটি সূত্রে এমনই জানা গেল। এবার হবে টি২০ ফরমেটে খেলা। টি২০ বিশ্বকাপের আগে হচ্ছে বিধায় এই ফরমেটেই টুর্নামেন্টটি হবে। টুর্নামেন্টের সূচী এখনও চূড়ান্ত হয়নি। দুটি সূচী রয়েছে। একটি ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ। আরেকটি ১ থেকে ১০ মার্চ। বিশ্বকাপের ঠিক আগে শেষ হবে টুর্নামেন্ট। এবার টুর্নামেন্টে স্বাগতিক বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ আরও একটি সহযোগী দেশ খেলবে। বাছাইপর্ব থেকে যে সহযোগী দল এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে, তারাই খেলবে। নবেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠেয় বাছাইপর্বে অংশ নেবে আফগানিস্তান, হংকং, ওমান ও স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ চার দল নিজেদের মধ্যে লড়াই করবে। চ্যাম্পিয়ন দল এশিয়া কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার টিকেট পাবে। বাছাইপর্বও হবে টি২০ ফরমেটে। আগেই জানা হয়ে গিয়েছিল। কোন কারণে যদি এশিয়া কাপ আয়োজনে ভারত পেছনে হাটে তাহলে টানা তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশেই অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপের আসর। আর তা সত্যই হতে চলেছে। এশিয়া কাপ আয়োজনের দৌড়ে ছিল মূলত দুটি দেশÑ বাংলাদেশ ও ভারত। গত সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলে রেখেছিলেন যে, ‘বাংলাদেশে এশিয়া কাপ আয়োজনের সুযোগ আছে। তবে, এসিসির (এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) মিটিংয়ের আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না। এখন অবধি সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ভারতেই হবে এশিয়া কাপ। তবে, সেটা কোন কারণে না হলে আয়োজক দেশ হবে বাংলাদেশ।’ আর সেই কথটাই এবার সত্যি হতে চলেছে। আরও একটি বড় টুর্নামেন্টের আয়োজক হচ্ছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের আগে আছে অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট। এর আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল টি২০)। আর নবেম্বরেই শুরু হতে যাচ্ছে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে সিরিজ। ব্যস্ত সূচীর মধ্যেই থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের। নবেম্বর থেকেই একটা ক্রিকেট মহাযজ্ঞে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ২০১৬ সালের এশিয়া কাপ হওয়ার কথা ছিল ভারতে। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে অনুষ্ঠিত হবে টি২০ বিশ্বকাপ। যার আয়োজকও ভারত। পরপর দুটি বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করা একটু কঠিনই। তাই এশিয়া কাপের আয়োজন থেকে সরে দাঁড়াল ভারত। এর আগে ২০১২ ও ২০১৪ সালের এশিয়া কাপ হয়েছিল ঢাকাতেই। এবার টুর্নামেন্টটি হলে টানা তৃতীয়বার বাংলাদেশ স্বাগতিক থাকবে। ১৯৮৮ ও ২০০০ সালেও বাংলাদেশেই হয়েছিল এশিয়া কাপ। এবার এশিয়া কাপ হবে টি২০ ফরমেটে। তা আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্তটি এমন ছিল, ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে ওয়ানডে ফরমেটে ও টি২০ বিশ্বকাপের আগে টি২০ ফরমেটে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ। যেহেতু এশিয়া কাপের পরেই ভারতে টি২০ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে, তাই টি২০ ফরমেটেই এবার হবে এশিয়া কাপ। এশিয়া কাপ আয়োজনে ভারতে অনাগ্রহের আরেকটি কারণ আছে। সেটি হচ্ছে, ভারতের উগ্রবাদী রাজনৈতিক সংগঠন শিবসেনার সাম্প্রতিক সহিংসতামূলক কার্যক্রম নিয়ে বিপাকে রয়েছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এরইমধ্যে প্রতিবন্ধীদের এশিয়া কাপ থেকে পাকিস্তান মহিলা ক্রিকেট দলের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। টি২০ বিশ্বকাপও না খেলার হুমকি দিয়ে রেখেছে। এখন যদি বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ হয় ভারতে, আর তাতে পাকিস্তান খেলতে যায়, শিবসেনারা আবারও ঝামেলা তৈরি করে; তাহলে টি২০ বিশ্বকাপে এর প্রভাব পড়তে পারে। আর পাকিস্তান খেলতে না গেলে এশিয়া কাপের কোন মানেই থাকছে না। তাই এশিয়া কাপ আয়োজন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে ভারত। ভারত যেহেতু আয়োজন করবে না, স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের ওপর এশিয়া কাপ আয়োজনের ভার পড়ে গেছে। বাংলাদেশ তো এশিয়া কাপের সফল আয়োজকই। তা আবারও প্রমাণের সুযোগ মিলে গেল।
×