ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজ পরিদর্শন শেষে শিক্ষামন্ত্রীর সন্তোষ

আগামী শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যে বইয়ের সংখ্যা বাড়ছে প্রায় এক কোটি

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৯ অক্টোবর ২০১৫

আগামী শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যে বইয়ের সংখ্যা বাড়ছে প্রায় এক কোটি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলতি বছরের তুলনায় আগামী শিক্ষাবর্ষে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যের বইয়ের সংখ্যা বাড়ছে প্রায় এক কোটি। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের চার কোটি ৪৪ লাখ ১৬ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ছাপা হচ্ছে ৩৩ কোটি ৩৯ লাখ ৬১ হাজার কপি পাঠ্যবই। চলতি বছর বইয়ের এ সংখ্যা ছিল ৩২ কোটি ৪০ লাখ। এদিকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বুধবার পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজ পরিদর্শন করে সার্বিক কার্যক্রম ও কাগজের মানে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, আগামী বছরও যথাসময়ে বই ছাপা হবে। বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে তা তুলে দেয়া যাবে। ইতোমধ্যেই মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার ৭০ শতাংশ বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। চলতি মাসের মধ্যে প্রাথমিকেরও অধিকাংশ বই পৌঁছে যাবে। মাতুয়াইলের দুটি ছাপাখানায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) অনুমোদিত বই ছাপানো কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। মন্ত্রী আনন্দ প্রিন্টার্স ও ব্রাইট প্রিন্টার্স পরিদর্শনকালে ছাপা হওয়া বইয়ের মান সরেজমিন প্রত্যক্ষ করেন। পরিদর্শনকালে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সম্পূর্ণ অটোমেটিক প্রিন্টারে বই ছাপার কাজ করা হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট কাগজের মান প্রিন্টারে সেট করা আছে। নির্ধারিত মানের বাইরের কাগজ হলে বই প্রিন্টিংয়ের কাজ অটোমেটিক্যালি বন্ধ হয়ে যাবে। এভাবে অটোমেটিক মেশিনে বিনামূল্যের বইয়ের কাগজের মান সংরক্ষণ করা হচ্ছে। পরিদর্শনের সময় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র পাল ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, অন্যান্যবারের মতো আগামী বছরেও পহেলা জানুয়ারি সারাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সকল শিক্ষার্থীর মাঝে বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে। ইতোমধ্যে সে ব্যবস্থা গ্রহণও করা হয়েছে। এবার প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত চার কোটি ৪৪ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ৩৩ কোটি ৩৯ লাখ ৬১ হাজার ৭২৪ কপি বই ছাপা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার ৭০ শতাংশ বই উপজেলা পর্যায়ে চলে গেছে। কিছুটা জটিলতার কারণে প্রাথমিকের বই ছাপার কাজ একটু দেরিতে শুরু হয়েছে। এজন্যই তা সরবরাহের সংখ্যা কম। তবে এ মাসের মধ্যে অধিকাংশ বই চলে যাবে। এবার প্রাথমিকের বইয়ের মান নিয়ে বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন আপত্তি নিয়ে জটিলতা বেঁধেছিল। ফলে কার্যক্রম পিছিয়ে যায় প্রায় এক মাস। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বই ছাপার কাজ নিয়মিত তদারক করা হচ্ছে। এজন্য ছয়টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষাগারে কাগজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তাঁরা (বিশেষজ্ঞ) কোন আপত্তি জানাননি।
×