ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র বাতিল দাবি সিপিবি-বাসদের

প্রকাশিত: ০৮:৩২, ৩০ অক্টোবর ২০১৫

রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র বাতিল দাবি সিপিবি-বাসদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিপিবি ও বাসদ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, জনমত উপেক্ষা করে রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণে সরকার একগুঁয়েমি মনোভাব দেখাচ্ছে। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ রক্ষায় পুরস্কার পেয়েছেন। সেই পুরস্কারের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাঁর উচিত হবে প্যারিসে আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মেলনে যোগদানের আগেই রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র বাতিল করা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মুক্তিভবনে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাসদ- সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, বজলুর রশীদ ফিরোজ ও সাজ্জাদ জহির চন্দন। সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবে না বলে সম্প্রতি যেসব কথা বলা হচ্ছে তা চরম অসত্য ও অগ্রহণযোগ্য। এসব বক্তব্য আসলে প্রকল্পের পক্ষে নিম্নস্তরের সাফাই মাত্র। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্রের জন্য যদি সুন্দরবন বা পরিবেশের কোন ক্ষতি না হয়, তাহলে এই প্রকল্প ভারতে কেন করা হলো না? ভারতের পরিবেশ আইনে এই প্রকল্প বেআইনী কেন? ভারতের কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ুতে পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে তিনটি বিদ্যুতকেন্দ্র কেন বাতিল করা হয়েছে? রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র করতে গিয়ে পরিবেশ অধিদফতরের ৫৯ শর্ত কেন উপেক্ষা করা হচ্ছে? নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে অসম ও অস্বচ্ছ চুক্তির ফলে বাংলাদেশ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য বিপন্ন হবে। সুন্দরবনের অস্তিত্ব ভয়াবহ হুমকির মধ্যে পড়বে ফেলেছে। এসব দুর্ঘটনা প্রমাণ করেছে যে, রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র হলে, সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে পণ্য পরিবহনের কারণে সুন্দরবনের অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে পড়বে। সভায় নেতৃবন্দ বাংলাদেশকে ঘিরে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক কর্মকর্তা যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদ-াদেশ নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধাদেরও বিচারের দাবি করেছেন। তাহলে কি এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ‘মানবাধিকার’ মানে দেশে দেশে মুক্তিসংগ্রামের বিরোধিতা করা? যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে সরকারের দীর্ঘসূত্রতা, কালক্ষেপণ আর নানা ধরনের হিসাব-নিকাশ ষড়যন্ত্রকারীদের সুযোগ করে দিচ্ছে।
×