ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শরণার্থীদের ‘মাত্রাতিরিক্ত বোঝা’ মোকাবেলায় অঙ্গীকার জার্মানির

প্রকাশিত: ০২:১২, ৩০ অক্টোবর ২০১৫

শরণার্থীদের ‘মাত্রাতিরিক্ত বোঝা’ মোকাবেলায় অঙ্গীকার জার্মানির

অনলাইন ডেস্ক ॥ শরণার্থীদের ‘মাত্রাতিরিক্ত বোঝা’ মোকাবেলায় গ্রিসকে সহায়তার অঙ্গীকার করেছে জার্মানি। প্রতিদিনই গ্রিসের সমুদ্র তীরে শরণার্থীদের ঢল নামছে। এদিকে সম্প্রতি নৌকা ডুবিতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭। ইউরোপে নিরাপত্তা ও উন্নত জীবনের আশায় চলতি বছর সমুদ্র পথে ৫ লাখেরও বেশি লোক গ্রিস এসে পৌঁছেছিলেন। অন্যদিকে তুরস্ক থেকে সমুদ্র পাড়ি দেয়ার সময় ৩ হাজার ২শ’র বেশি লোকের প্রাণহানি হয়েছে। এথেন্সে সফররত জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার স্টেইনমিয়ার বলেন, গ্রিসের পাশে দাঁড়াতে বার্লিন প্রস্তুত। দেশটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের বৃহত্তম শরণার্থী সংকট সামনে থেকে মোকাবেলা করছে। স্টেইনমিয়ার গ্রিসের দৈনিক পত্রিকা তা নিয়াকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে যখন গ্রিস অথনৈতিক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে তখন শরণার্থীদের চাপ দেশটির ওপর একটি মাত্রাতিরিক্ত বোঝা।’ তিনি বলেন, বিরাট এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা গ্রিসকে সাহায্য করবো। সমস্যা মোকাবেলায় ইউরোপকে আরো বেশি সাহসী ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, ইউরোপের বাহ্যিক সীমানার সুরক্ষা, শরণার্থীদের প্রতি অভিন্ন নীতি গ্রহণ ও শরণার্থীদের সুষম বণ্টন করতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’ আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইএমও) তথ্যানুযায়ী, ২০১৫ সালের এ পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ৭ লাখেরও বেশি লোক ইউরোপ পৌঁছেছে। তাদের মধ্যে অনেকের আশা জার্মানি পৌঁছানো। ছোট ছোট নৌকায় সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে তাদের অনেকের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। গত বুধবারও গ্রিসের উপকূলে ইজিয়ান সাগরে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। লেসবোস দ্বীপের উপকূলে নৌকা ডুবিতে ১১ শিশুসহ ১৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া আরো ৪০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রিসের কালিমনস দ্বীপে প্রায় ১৫০ শরণার্থীকে বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যায়। এতে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়।
×