ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জাফর ওয়াজেদ

দেশ তার হারায় গৌরব

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ২ নভেম্বর ২০১৫

দেশ তার হারায় গৌরব

শতবর্র্ষেরও আগে ১৯০৭ সালে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘সকল দেশের সকল সমাজেই ত্রুটি ও অপূর্ণতা আছে, কিন্তু দেশের লোক স্বজাতির প্রতি ভালবাসার টানে যতক্ষণ এক থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত তার বিষ কাটিয়ে চলতে পারে। পচবার কারণ হাওয়ার মধ্যেই আছে। কিন্তু বেঁচে থাকলেই সেটা কাটিয়ে চলি, মরে গেলেই পচে উঠিত।’ আজকের বাংলাদেশ সেই অবস্থান থেকে নিজের মাথা উঁচিয়ে দাঁড়ানোর সময় তার সমস্ত অর্জনকে ক্ষুণœ করে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিগন্ত তৈরি করা হচ্ছে। জীবনের নিরাপত্তা বিঘিœত হচ্ছে সশস্ত্র উগ্রপন্থীদের চোরাগোপ্তা হামলায়। পৃথিবীময় ঘৃণা, বিদ্বেষ, শত্রুতার যে উত্থান, তার থেকে বাংলাদেশ মুুক্ত থাকতে পারছে বলা যাবে না। আগে অস্ত্র থাকত সিপাই সান্ত্রীর হাতে। বিপদে আপদে তারা দুর্বলকে অসহায়কে রক্ষা করত। সেক্ষেত্রে অস্ত্র ছিল বীরের অঙ্গভূষণ। মধ্যযুগে বিপন্নের উদ্ধারকারী বীরপুরুষরা নাইট উপাধিতে ভূষিত হতেন। সমগ্র সমাজ তাদের সম্ভ্রমের চোখে দেখত। যথার্থ ক্ষাত্রধর্ম তারাই পালন করেছেন। সেই বীরের অস্ত্র যখন লালুভুলু সকলের হাতে এসে জোটে তখন দেশসুদ্ধ লোক কাপুরুষে অর্থাৎ গুপ্ত ঘাতকে পরিণত হয়। তারা নিরস্ত্র মানুষকে ঘুমন্ত মানুষকে স্ত্রী-পুরুষ নির্বিচারে হত্যা করে আজকের পতিত সমাজে এই গুপ্ত ঘাতকরা হয়ে উঠেছে অপ্রতিরোধ্য। তারা এমনই কৌশলী যে, এদের তৎপরতা সহজে দৃষ্টিগ্রাহ্য হয় না। তাই এরা সহজে ধরা পড়ে না। দেশের মাানুষকে অস্বস্তি, সন্ত্রস্ত রেখে তারা নানা উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়। নানা রকমের গোলমাল বাধিয়ে প্রাগ্রসর বাংলাদেশের সরকারকে নড়বড়ে করে দিতে চায়। এরা দেশকে দুর্বল করতে চায়। সেই সঙ্গে বহিঃশত্রুর শক্তি বাড়াচ্ছে। পৃথিবীব্যাপী এত অশান্তি, দেশে দেশে এমন অযথা রক্তারক্তি কা- আগে কখনও হয়েছে, তা নয়। মানুষ কখনও এতখানি মারমুখী স্বভাবের ছিল বলে ইতিহাস বক্তাদের কাছেও মনে হয় না। এক দুর্গতির চিত্র বিশ্বজুড়ে। এর সবই যুদ্ধবাজ, উগ্রপন্থী, সন্ত্রাসবাদী ও জঙ্গীবাদীদের সৃষ্টি। রবীন্দ্রনাথ ১৯০৯ সালে বলেছিলেন, ‘দুর্গতি চিরস্থায়ী হতে পারে এ কথা আমি কোনক্রমেই বিশ্বাস করতে পারিনে। সমস্ত বিশ্বের জ্ঞানশক্তি, প্রাণশক্তি তাকে ভিতরে বাহিরে কেবলই আঘাত করছে, আমরা যে যতই ছোট হই সেই জ্ঞানের দলে প্রাণের দলে দাঁড়াব। দাঁড়িয়ে যদি মরি তবু এ কথা নিশ্চিয় মনে রেখে মরব যে, আমাদেরই দলের জিত হবে- দেশের জড়তাকেই সকলের চেয়ে বড় এবং প্রবল মনে করে তারই ওপর বিছানা পেতে পড়ে থাকব না। আমি তো বলি- জগতে শয়তানের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা আর ভূতের ভয় করা ঠিক একই কথা, ওতে ফল হয় এই যে, রোগের সত্যিকার চিকিৎসায় প্রকৃতিই হয় না। যেমন মিথ্যা ভয় তেমনি মিথ্যা ওঝা- দু’য়ে মিলেই আমাদের মারতে থাকে।’ বাংলাদেশে ব্লগার, প্রকাশক, সংস্কৃতিকর্মী, লেখক এবং স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে হত্যা করার যে নৃশংসতা ঘটে চলেছে তা ভয়ের সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাচ্ছে। আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সমাজ জীবনে। নিরাপত্তাহীন হয়ে উঠছে মানবজীবন। জাতি হিসেবে বাঙালী এক সঙ্কটকালে পতিত হয়েছে। যে ধর্মান্ধতার বিপরীতে সশস্ত্র শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীন ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠন করেছে, সেই রাষ্ট্র ও তার জনগণের জীবনকে বিপন্ন করে তোলায় দেশে বিদেশে নানামুখী তৎপরতা চলছে। বাঙালী জাতি তার প্রমাণিত শত্রুদের বজ্জাতি হতে এখনও পুরোপুরি মুুক্ত হতে পারেনি। অথচ ১৯৭১ সালে বজ্জাতিকারী বিশ্বাসঘাতকদের কবল হতে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হয়ে দেশ ও জাতিকে ‘বিশ্বের জ্ঞানশক্তি প্রাণশক্তির’ সঙ্গে যুক্ত করে আলোর দিকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, পরাজিত শক্তি একাত্তরের কায়দায় সশস্ত্র অবস্থান নিয়ে হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে। জাতির মধ্যে ধর্মান্ধতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিয়ে একটি প্রাগ্রসর জাতিকে মধ্যযুগীয় চেতনায় আবৃত করে একটি পশ্চাৎপদ ও পরাধীনতার মোড়কে বেঁধে ফেলায় সচেষ্ট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর একাত্তরের পরাজিত শ্রেণীটি নানা ধরনের ছদ্মবেশে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাদের লক্ষ্য পথের অন্তরায়গুলো তারা ক্রমে ক্রমে সুকৌশলে অপসারণ করে। যে কোনভাবে স্থিতাবস্থা রক্ষা করার ইচ্ছা এবং ক্ষমতার লোভ সংগ্রামের ঐতিহ্যবাহীদের ঐক্যে ফাটল ধরিয়েছে। ভারসাম্য রক্ষা করে ক্ষমতায় টিকে থাকার এবং শ্রেণীগত আধিপত্য রক্ষার লক্ষ্যে দেশের স্বাধীনতার চিহ্নিত শক্রদের শক্তি বৃদ্ধি করার, এমনকি তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করার ঘৃণ্য কৌশলও অবলম্বিত হয়ে আসছে। শত্রুরা আস্কারা পেয়ে আজ মাথায় চড়ে উঠেছে। যে সকল বিদেশী শক্তির প্রকাশ্য মদদ পেয়ে পাকিস্তান নামক জঙ্গী দেশটি বাংলাদেশের ওপর দীর্ঘ নয় মাস ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছিল, তাদেরই রাজনৈতিক এবং আর্থিক মদদে পুষ্ট হয়ে ঘরের শত্রু ওই বিভীষণশ্রেণী স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার তাত্ত্বিক ভিত্তিভূমির ওপর পঁচাত্তরপরবর্তী সময় হতে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। ওরা কখনও রাজনৈতিক দল হিসেবে, কখনও ধর্মের লেবাসে দেশবাসীকে পুনরায় একাত্তরপূর্ব পরিস্থিতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভয়াবহ চক্রান্তে লিপ্ত হয়ে এখনও হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদীদের শীতল ছায়ায় রাজনীতিতে যে শক্তি প্রদর্শন করছে, পৃথিবীর ইতিহাসে এ ধরনের দৃষ্টান্ত একটিও নেই। যুদ্ধাপরাধীদের পৃথিবীর কোথাও রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হয় না। তাদের ভোটাধিকারও নেই। স্বাধীন বাাংলাদেশে তারা তা পায়নি পঁচাত্তরপূর্ব সময়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও অপরাধীদের এখনও বিচার হচ্ছে। বাংলাদেশেই একমাত্র যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়েছে। এর চেয়ে একটি জাতির কলঙ্ক আর কি হতে পারে। লাইনচ্যুত দেশকে সঠিক পথে নিতে তাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন করা ছাড়া বিকল্প কিছু ছিল না। অপশক্তি নিরাপদে থাকায় আরও একটি ১৫ আগস্ট, ৩ নবেম্বর, ১৭ আগস্ট, ২১ আগস্টের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় পরাজিত শক্তি ও শত্রুরা মানুষ হত্যায় নেমেছে। পূর্ব ঘোষণা দিয়ে, তারা মুক্তমনা মানুষ, ধর্মীয় উৎসব পালনকারীদের নানা অস্ত্র ব্যবহার করে হত্যা করছে। যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচার মানেই মানবতা, গণতন্ত্র, সংবিধান এবং শাসনতন্ত্রে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার ধারাবাহিকতাকে সমুন্নত রাখা। দেশ ও জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য, দেশকে নিরাপদ রাখার জন্য চলমান বিচার ব্যবস্থা জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটলেও অপরাধী চক্র তা ভ-ুল করতে নানা কৌশল, সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। পরাজিত শক্তি জামায়াত এক্ষেত্রে সহযোগিতা পেয়ে আসছে তাদের পুনর্বাসনকারী দল বিএনপির কাছ হতে। ’৭৫-এর ৭ নবেম্বর ক্ষমতা দখল করেই জান্তা শাসক জিয়া তাদের রাজনীতি করার যাবতীয় সুযোগ দিয়ে মাঠে নামিয়ে দেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় ফিরিয়ে নেয়ার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেন, তা ক্রমশ বিস্তৃত হয়েছে। সেই জামায়াত শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে বিভিন্ন নামের সাম্প্রদায়িক দলসমূহকে সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিতভাবে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশে জঙ্গী ও সন্ত্রাসী শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়ে নাশকতা, নৈরাজ্য অব্যাহত রেখেছে। এই জামায়াতই আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনগুলোর বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশকে ধ্বংস করার মহাষড়যন্ত্রে যে জড়িত, তা কোন লুকোছাপার বিষয় নয়। আর এটাই তাদের জন্য স্বাভাবিক। পাকিস্তান কেন্দ্রিক এই দলটির অর্থ, অস্ত্রবল ও ভা-ারও বেশ পুষ্ট। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ দেখেছে সপরিবারে জাতির পিতা এবং জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যা। দেখেছে ক্ষমতার পালাবদল, সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা, হত্যাযজ্ঞ, রক্তপাত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনাশী প্রক্রিয়া। কলঙ্কময় নানা ঘটনায় প্লাবিত পঁচাত্তর বাঙালী জাতির জীবনেও এনে দিয়েছে নানা ঘাত-প্রতিঘাত। আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ২ নবেম্বর রাতে রাষ্ট্রপতির সরকারী বাসভবন বঙ্গভবন একটি সামরিক ক্যাম্পে রূপ নিয়েছিল। সে রাতেই জেলহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং পরদিন তা কার্র্যকর হয়। ২ নবেম্বর রাতে ১৫ আগস্ট ক্যু’দেতার বিরুদ্ধে পাল্টা অভ্যুত্থান ও তৎপ্রেক্ষিতে জেল হত্যাকা-ের বর্ণনায় আত্মস্বীকৃত খুনী কর্নেল ফারুকের মন্তব্য ছিল ‘দ্ব্যর্থহীনভাবে আমরা বলতে চাই যে, ১৯৭৫ সালের ৩ নবেম্বরের অভ্যুত্থানটি ছিল জেনারেল জিয়ার নেপথ্য পরিকল্পনা ও প্ররোচনার ফসল। তিনি একটি সামরিক ফ্যাসিস্ট সরকার গঠনের লক্ষ্যে নেপথ্য থেকে একদল অসন্তুষ্ট সামরিক অফিসারের মাধ্যমে এটি সংঘটিত করেছেন। জিয়া অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গেই তার শঠ ও ক্ষমতালিপ্সু চরিত্রটিকে আড়াল করে নিজের একটি ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে পেরেছিলেন।’ পঁচাত্তরের সেই ষড়যন্ত্র আজও থেমে নেই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর পর এই ষড়যন্ত্র শাখা-প্রশাখা মেলেছে নানাভাবে। এই ঘৃণ্য ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশকে মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করা হচ্ছে। চারদিকে জঙ্গীবাদের বিষাক্ত নিশ্বাস। বোমাবাজির পৈশাচিক উন্মত্ত উল্লাস। গ্রেনেডের ভয়ঙ্কর বিধ্বংসী ভয়াবহতা। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির কবর রচনায় অহর্নিশ অপতৎপরতা চালু। তারই রেশ ধরে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হচ্ছে মুক্তমনাদের। দুই বিদেশী নাগরিক হত্যা, তরিকাপন্থী কয়েকজন আলেমের নৃশংসভাবে খুন, হোসেনী দালানে আশুরার মিছিলে গ্রেনেড হামলা দেশে বিদেশে আলোড়ন তুলেছে। বিদেশী হত্যায় ধৃতরা বলেছেও বড় ভাইয়ের নির্দেশে তারা হত্যাকা- ঘটিয়েছে। যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের ফাঁসির রশি যত কাছাকাছি আসছে, ততই হত্যা, নাশকতা, নৈরাজ্যের মাত্রা বাড়ছে। বাংলাদেশের ইন্টারনেটের স্বাধীনতার ওপর সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ না থাকায় ঘোষণা দিয়ে ভিন্নমত প্রকাশের কারণে ব্লগারদের হত্যা করার সাহস ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভিন্নমত প্রকাশের কারণে গত দশ মাসে চার ব্লগার, দুইজন প্রকাশককে হত্যা এবং আরও অনেককে আহত করা হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক, আইনানুগ ও শান্তিপ্রিয় ও মুক্তিযুদ্ধপন্থী সরকার এসব ঘটনা স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে অর্জন তাকে রক্ষা করতে না পারলে সবই বৃথায় পরিণত হবে। লাখো লাখো মানুষের আত্মত্যাগে আসা স্বাধীনতা এবং একটি জাতির গৌরব কতিপয় সন্ত্রাসীর কারণে ভূলুণ্ঠিত হতে দেয়া যায় না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিলীন হয়ে যাবার কোন সম্ভাবনা নেই। কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি বাংলাদেশ নামক দেশটিকে গৌরব বঞ্চিত করবে তা হতে দেয়া যায় না। সমাজের মুষ্টিমেয় অপরাধীর কাছেও জাতি কখনও আত্মসমর্পণ করতে পারে না। যেমন করেনি একাত্তর সালে। বাংলাদেশ তার গৌরব হারিয়ে জঙ্গী দেশে পরিণত হবে- এমন স্বপ্নকে ধারণ করে যারা নাশকতা চালু রেখেছে, তাদের ধ্বংস ও পতন অনিবার্য। সরকার এক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকলেও জনগণ যথাসময় প্রতিরোধ গড়বে। আর সেটাই জাতি হিসেবে বাঙালীর ভরসাস্থল। বাংলাদেশ হোক বীরের জাতির আবাসস্থল। পরাজিত শক্তির পুনরায় ঘটুক পরাজয়। ভয়ের সংস্কৃতি থেকে মুক্ত হয়ে সাহসের বরাভয়ে পরিণত হোক দেশ ও জাতি।
×