ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কমবয়সী শরণার্থীরাই অপরাধ চক্রের শিকার

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ৩ নভেম্বর ২০১৫

কমবয়সী শরণার্থীরাই অপরাধ চক্রের শিকার

আশ্রয়ের আশায় ইউরোপে ঘুরে বেড়াচ্ছে এমন অরক্ষিত শরণার্থীরা সংগঠিত অপরাধী চক্রের শিকারে পরিণত হচ্ছে। এসব চক্র তাদের জোরপূর্বক পতিতা বা শ্রম দাসে পরিণত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ওয়েবসাইট। ইউরোপের অন্যতম সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। ইউরোপোলের চীফ অব স্টাফ ব্রায়ান ডোনাল্ড বলেন, আধুনিক, তৎপর সংগঠিত অপরাধী দলগুলো সেখানেই যায়, যেখানে বেশি সুযোগ ও কম ঝুঁকি রয়েছে। তিনি গত সপ্তাহান্তে মাদ্রিদে মানব পাচারের ওপর এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভাষণ দিচ্ছিলেন। নিঃসঙ্গ শিশুরা বিশেষ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে ডোনাল্ড প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, তাদের মধ্যে লন্ডন মেট্রোপলিটান পুলিশ কমিশনার বার্নার্ড হোগান হাউও ছিলেন। তিনি বলেন, মানব পাচার রোধ করতে যুক্তরাজ্যকে অনেক কিছু করতে হবে। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ৪৩টি পুলিশ বাহিনীর মধ্যে মাত্র ১০টির বিশেষ মানব পাচার দমন ইউনিট রয়েছে। শীতের আগমন লাখ লাখ পুরুষ, নারী ও শিশুর দুর্দশার মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের অনেকেই সিরীয় গৃহযুদ্ধের হাত থেকে রেহাই পেতে ইউরোপে পালিয়ে এসেছে। তারা তাদের অর্থাভাবের কারণে অসৎ দলগুলোর শিকারে পরিণত হচ্ছে। এসব দল রাস্তাঘাট, শরণার্থী কেন্দ্র ও গন্তব্য দেশগুলোতে তৎপরতা চালাচ্ছে। ডোনাল্ড সান্তা মার্তা সম্মেলনে বলেন, শরণার্থীদের বিশেষ নিঃসঙ্গ কিশোর ও তরুণীদের সুযোগমতো কাজে লাগানোর জন্য বেছে নেয়া হয়। তাদের পতিতাবৃত্তি বা বেআইনী শ্রমে নিয়োজিত করার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। তিনি বলেন, একা একা বা বয়স্ক লোক ছাড়া দলে দলে চলতে থাকা শিশুরাই বিশেষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। জ্যোতিষীকে মোদির হাত দেখানো নিয়ে বিহারে তোলপাড় নীতিশকুমারকে জড়িয়ে, চুমু খেয়ে তান্ত্রিক বাবাজি বলছিলেন, লালু যাদব মুর্দাবাদ, নীতিশকুমার জিন্দাবাদ। ভোটের বাজারে বিজেপির এক নেতা দু’মিনিটের এই ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছেন সম্প্রতি। ভোট প্রচারে সেটিকে সম্বল করে প্রায় রোজই নীতিশ ও লালুপ্রসাদকে বিঁধছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগেও বলেছেন, রবিবারও বলেছেন। এরই মধ্যে তারিখবিহীন একটি ছবি সামনে এনে মোদিকেই অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন বেজান দারওয়ালা। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী হাত বাড়িয়ে রয়েছেন, অশীতিপর এই জ্যোতিষীর দিকে। ছবিটি ঝাঁপসা। তবে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, ভবিষ্যৎ জানতে হাত দেখাচ্ছেন মোদি। দারওয়ালার দাবি, তিনি বলেছিলেন, মোদির হাতে লেখা আছে দেশের প্রগতি ও উন্নয়ন। মোদি কবে নিজের ভবিষ্যৎ জানতে হাত দেখিয়েছিলেন, তা অবশ্য খোলাসা করেননি দারওয়ালা। বিহার ভোটের পঞ্চম তথা শেষ দফার ভোট বাকি। এমন একটা সময় দারওয়ালার এই দাবি ও ছবি প্রকাশ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এটা কি নিছকই প্রচার পাওয়ার চেষ্টা। নাকি এই তারকা-জ্যোতিষীর কোন রাজনৈতিক অভিসন্ধিও রয়েছে। বিজেপি সূত্রের দাবি, দারওয়ালার জন্ম মুম্বাইয়ে হলেও গুজরাটে কাটিয়েছেন দীর্ঘদিন। সেই সূত্রে মোদির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও ছিল। ২০১২ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় মোদি তার লেখা বইও প্রকাশ করেছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে দারওয়ালাই তার হাত টেনে নিয়ে দেখতে শুরু করেন। মোদি ভবিষ্যৎ জানতে হাত দেখিয়েছেন, বিষয়টি আদৌ এমন নয়। -আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন
×