ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দুই মাসে ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড কমেছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ

প্রকাশিত: ০১:১০, ৩ নভেম্বর ২০১৫

দুই মাসে ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড কমেছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ইন্টারনেট ব্যবহার করে আন্তঃব্যাংক চেকক্লিয়ারিং, ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার, কার্ডের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে কেনাকাটা, ই-কমার্স ইত্যাদি প্রযুক্তিনির্ভর সেবা প্রচলিত ব্যাংকিং সেবার স্থান দখল করছে। কিন্তু সম্প্রতি ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবায়ও ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমেছে। ফলে কমেছে কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনের পরিমাণও। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আগস্ট শেষে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৬ লাখ ৮৪ হাজার ৯৮৯টি। এর মধ্যে ৮১ লাখ ১৪ হাজার ৮৭৪টি ডেবিট কার্ড ও বাকি ৫ লাখ ৭০ হাজার ১১৫টি ক্রেডিট কার্ড। গত জুন মাস শেষে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ছিল ৯১ লাখ ৩০ হাজার ৮৯৭টি। এর মধ্যে ৮৫ লাখ ৪৭ হাজার ৬৮৮টি ডেবিট কার্ড ও বাকি ৫ লাখ ৮৩ হাজার ২০৯টি ক্রেডিট কার্ড। সেই হিসেবে, জুন থেকে আগস্টে অর্থাৎ দুই মাসে কার্ড কমেছে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৯০৮টি। অন্যদিকে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আগস্টে ৮ হাজার ৫২৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। জুনে লেনদেন হয়েছিল ১০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকার। দুই মাসের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বা ২৩ দশমিক ২৭ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, এ সময় বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে লেনদেন সামান্য বাড়লেও সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বিদেশি মালিকানাধীন ব্যাংকের ডেবিড কার্ডে লেনদেন কমেছে। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় মালিকানার ব্যাংকে ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডেও সংখ্যা ১ হাজার ৯৬টি ও ৯১ হাজার ৪৪০টি। এসব কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনের পরিমাণ মাত্র ৪৯ কোটি টাকা। বেসরকারি ব্যাংকগুলোই আগস্টে কার্ডে ৭ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগস্ট শেষে আন্তঃব্যাংক এমআইসিআর ও নন-এমআইসিআর চেক ক্লিয়ারিং লেনদেন আগের কমে ১ লাখ ২৯ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। জুনে যা ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংকগুলোতে অত্যানুধিক প্রযুক্তিরনির্ভর ম্যাগনেটিক ইঙ্ক ক্যারাক্টর রিকগনিশন (এমআইসিআর) চেক ক্লিয়ারিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ১ লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এই চেকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে না গিয়ে অন্য ব্যাংকের চেক নগদায়ন বা জমা করা যায়। ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে এক শাখা থেকে অন্য শাখায় স্বল্পখরচে নিমিষেই অন্য শাখায় ৬ হাজার ৭১৭ কোটি স্থানান্তর করেছেন গ্রাহকরা। আগস্ট শেষে ব্যাংকগুলোর এটিএম বুথের মাধ্যমে ৭ হাজার ১০৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আর ই-কমার্সের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ৩২৭ কোটি টাকা।
×