ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হরতাল ॥ যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেমের ভবনে পাথর নিক্ষেপ

প্রকাশিত: ০৪:১০, ৪ নভেম্বর ২০১৫

হরতাল ॥ যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেমের ভবনে পাথর নিক্ষেপ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ লেখক, প্রকাশক ও ব্লগার হত্যার প্রতিবাদে গণজাগরণ মঞ্চ আহূত অর্ধদিবস হরতাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। হরতাল চলাকালে কোথাও বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর মালিকানার একটি বাণিজ্যিক ভবনে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে ভবনটির জানালার কাঁচ ভাংচুর হয়। এছাড়া জনজীবন ছিল প্রায় স্বাভাবিক। হরতালের সমর্থনে গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক ও কর্মীরা সকাল ৭টা থেকে রাস্তায় অবস্থান করেন। তবে তাদের এই অবস্থান ছিল প্রধানত চেরাগী পাহাড়, জামালখান সড়কসহ আন্দরকিল্লা এলাকায়। সেখানে বেলা ১২টা পর্যন্ত সভার কার্যক্রম চলে। সমাবেশ থেকে প্রকাশক, বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার হত্যাকারীদের অতি দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, জঙ্গীরা মুক্তচিন্তার লেখক ও প্রকাশকদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে দেশকে মধ্যযুগের দিকে নিয়ে যেতে চায়। তারা জাগৃতিক প্রকাশনীর মালিক আরেফিন ফয়সাল দীপন হত্যা, শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর মালিক আহমেদুর রশিদ টুটুলসহ তিনজনকে হত্যার চেষ্টায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, সরকার এক্ষেত্রে নমনীয়তা প্রদর্শন করছে। এর ফলাফল বর্তমান সরকার তথা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রগতিশীল শক্তির জন্যও শুভকর নয়। তারা প্রকাশক দীপন হত্যার পর সরকারদলীয় কয়েকজন মন্ত্রী ও নেতার বক্তব্যেরও তীব্র সমালোচনা করেন। চট্টগ্রাম গণজাগরণমঞ্চ সমন্বয়ক শরীফ চৌহান এ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের কর্মসূচী ছিল পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ। কোন ভবনে হামলার সঙ্গে গণজাগরণের কর্মীরা জড়িত নয়। কে বা কারা বাইরে থেকে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। তিনি জানান, নগরীর আন্দরকিল্লা, প্রেসক্লাব, চেরাগীর মোড়, প্রবর্তক ও লালদীঘি এলাকায় হরতালের সমর্থনে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। লেখক ও প্রকাশক হত্যার প্রতিবাদে আহূত এ হরতালের প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন রয়েছে। বাউফলে আ’লীগ নেতার মার্কেট দখলের পাঁয়তারা সংবাদ সম্মেলন নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ৩ নবেম্বর ॥ বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুককের পৈত্রিক ও কবলাকৃত জায়গার ওপর নির্মিত একটি দোতালা মার্কেট উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছে একটি মহল। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তার বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাউফল শহরের বাংলাবাজার ব্রিজের কাছে ৯৬০ খতিয়ান ও ৩৯৬৮ দাগে মোট এক একর জমির মধ্যে তার পৈত্রিক ও কবলাকৃত মিলিয়ে মোট ৪ শতাংশ জমি রয়েছে। তিনি এর মধ্যে পৈত্রিক দেড় শতাংশসহ মোট আড়াই শতাংশ জমির ওপর একটি দোতালা মার্কেটের নির্মাণ কাজ করছেন। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মালেক, বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল তাকে হয়রানি করার উদ্দেশে ওই মার্কেটটি খাসজমি ওপর নির্মিত বলে গত ১৯ অক্টোবর একটি উচ্ছেদের নোটিস জারি করান।
×