ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হরতালসহ নানা প্রতিবাদের ভেতর দীপন হত্যার প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ৪ নভেম্বর ২০১৫

হরতালসহ নানা প্রতিবাদের ভেতর দীপন হত্যার প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক দীপন হত্যা এবং শুদ্ধস্বরের কর্ণধারসহ তিনজন হত্যাচেষ্টায় প্রতিবাদে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ হরতাল পালিত হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার অর্ধদিবস হরতালের ডাক দেয়া হয়। হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র ও সামাজিকসহ সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠে নামেন। অপরাধীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে কফিন মিছিল ও শুক্রবার প্রজন্ম চত্বরে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ। এদিকে হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারাদেশে রাজনৈতিক দল ও সামাজিক, ছাত্র পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। একের পর এক ব্লগার ও প্রকাশক হত্যার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানানো হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে। হরতাল চিত্র ॥ মঙ্গলবার আধাবেলার হরতালে ভোর ৬টা থেকেই শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর ও টিএসসিতে অবস্থান নেয় গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। শাহবাগ, কাঁটাবন, টিএসসিসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দফায় দফায় মিছিল করে তারা। এ সময় এই এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, এই হরতাল সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য। আজ সারাদেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ হরতাল পালন করছে, যা প্রমাণ করছে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এক পর্যায়ে পুলিশ মৎস্য ভবন থেকে কাঁটাবন-শেরাটন হোটেল মোড় পর্যন্ত রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এছাড়া নগরীর বেশিরভাগ রাস্তায় যানবাহন চলাচল ছিল তুলনামূলক কম। বিশেষ করে ব্যক্তিগত পরিবহন খুব কম চলতে দেখা গেছে। এ কারণে যানজট ছিল না। বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত মতিঝিলেও পরিবহনের বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা যায়নি। হরতালকে কেন্দ্র করে নগরজুড়ে নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা। ভোর থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব পয়েন্টে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন ছিল। বিশেষ করে পল্টন, মতিঝিল, দৈনিক বাংলা, কাকরাইল, নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, জাতীয় প্রেসক্লাব, মৎস্য ভবন, হাইকোর্ট, শাহবাগ, টিএসসি, নীলক্ষেত, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, কাঁটাবন, বাংলামোটর, ফার্মগেটসহ বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বেশি দেখা যায়। হরতালে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটেও। সেখানে হরতালের সমর্থনে সিপিবি-বাসদের সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এ কারণে পুরানা পল্টনের রাস্তায়ও যান চলাচল বন্ধ ছিল। এছাড়া মোহাম্মদপুর, গাবতলীসহ নগরীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টে হরতালের সমর্থনে রাস্তায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেয় সিপিবি-বাসদ কর্মীরা। হরতালের সমর্থনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক বন্ধ করে দেয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সকাল ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা প্রগতিশীল ছাত্রজোট, সাংস্কৃতিক জোটের নেতাকর্মীরাসহ বিশ্ববিদ্যালয় গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের প্রান্তিক গেট সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কটি সকাল ৬টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল। এছাড়া চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন মহানগর ও জেলা শহরে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা হরতালের সমর্থনে কর্মসূচী পালন করেছেন। গত শনিবার শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে হত্যা এবং লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে প্রকাশক আহমেদুর রশিদ টুটুলসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম করার প্রতিবাদে রবিবার ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এই হরতালের ঘোষণা দেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। হরতালের সমর্থনে সোমবার সন্ধ্যায় শাহবাগে মশাল মিছিল করা হয়। হরতালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন ও উদীচীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ছাত্র সংগঠন সমর্থন দেয়। দুই দিনের কর্মসূচী ॥ হরতালের পর নতুন কর্মসূচী দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ। লেখক-প্রকাশকের ওপর হামলা-হত্যার প্রতিবাদে এবং বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে কফিন নিয়ে মিছিল ও শুক্রবার শাহবাগে গণসংহতি সমাবেশ করবে সংগঠনটি। হরতাল শেষে নতুন এই কর্মসূচী ঘোষণা করা হয় মঞ্চের পক্ষ থেকে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রজন্ম চত্বর থেকে মিছিলটি সচিবালয়ের দিকে যাবে। ঢাবিতে শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন ॥ মুক্তমনা মানুষদের হত্যাকা-ের ঘটনায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। একের পর ঘটে যাওয়া এসব হত্যাকা-কে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসেবে অভিহিত করার সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন তারা। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা এবং এক প্রকাশক ও দুই ব্লগার-লেখকের ওপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ আহ্বান জানানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক আবদুল আজিজ, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শফিক-উজ-জামান, টেলিভিশন ও ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামাল উদ্দিনসহ দুই শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন। এ সময় বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান জিয়া রহমান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মশিউর রহমান প্রমুখ। তারা হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে লালমাটিয়ার ঘটনার পরপরই হত্যার হুমকিপ্রাপ্ত অন্যদের নিরাপত্তা না বাড়ানোর কারণ জানতে চান। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার বার বলে আসছেন, এটা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলার অবনতির কোন সম্পর্ক নেই। এ ধরনের কথা না বলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করুন। এ সময় তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রগতিশীল মানুষ, অসাম্প্রদায়িক মানুষ ও সাধারণ জনগণের ওপর সম্মান রেখে সসম্মানে পদ ছেড়ে চলে যান। না হয়, এরপর এই ধরনের কোন হত্যাকা- ঘটলে আমরা আপনার পদত্যাগ দাবি করব। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে না পারলে, আপনার এই পদে থাকার দরকার নেই। সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, যে জামায়াত-শিবির একাত্তরের পরাজিত হয়েছিল, তারা এখন বিভিন্ন নামে আবির্ভূত হয়েছে। এই চোরাগোপ্তা হামলাগুলো চালাচ্ছে। প্রতিটি হামলার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মৃদু ভাষায় বলেন, হত্যাকারীরা চিহ্নিত, তাদের ধরে ফেলবেন। কিন্তু হত্যাকারীরা ধরা পড়ে না। ধরতে না পারলে সসম্মানে পদ ছাড়েন। এ সময় রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমা শাহীন বলেন, রোকেয়া হলের আবাসিক কোয়ার্টারে বেড়ে উঠেছেন প্রকাশক ফয়াসল আরেফিন দীপন। সদা হাস্যোজ্জ্বল, নম্র-ভদ্র দীপন কারও ক্ষতি করতে পারে এমন কিছু আমাদের মনে পড়ে না। নিহতের বাবা অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের প্রতি তিনি বলেন, স্যার, আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চাই। আমরা আপনার সন্তান রক্ষা করতে পারিনি। সন্তান হারানোর পর আপনার বক্তব্যে আপনার আবেগ-অনুভূতি ও রক্তাক্ত হৃদয়ের যে অভিমান ঝরেছে তাও বুঝতে পারিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, হত্যাকারীদের দৃষ্টি ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে। এর আগে তারা ব্লগারদের হত্যা করত, এবার তার প্রকাশকদের হত্যা করছে। এরপর যারা পড়তে চান, তাদেরও হত্যা করা হবে। এক-দুজন খুনীকে ধরার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কৃতিত্ব দাবি করেন, আবার ব্লগারদের সংযত হওয়ার কথা বলেন। এমন বক্তব্য হত্যাকারীদের হত্যাকা-ে উৎসাহিত করবে। জাসদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ ॥ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ^াসী মুক্তমনা ব্লগার, লেখক, প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে হত্যার প্রতিবাদে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মহাখালী রেল গেটে ঢাকা মহানগর (উত্তর) জাসদের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। জাসদ ঢাকা মহানগর (উত্তর) এর সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হাজী সফিউদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য শিরিন আক্তর এমপি। একই দাবিতে আজ বুধবার মিরপুর সনি সিনেমা হলের সামনে ঢাকা মহানগর পশ্চিম জাসদের মানববন্ধন কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ ॥ শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদ এক বিবৃতিতে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা এবং প্রকাশক রশীদ টুটুল, লেখক রণদীপন বসু ও তারেক রহিম হত্যাচেষ্টার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শ্রমিক নেতা শহিদুল্লা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় বলা হয়, বাংলাদেশে মুক্তবুদ্ধি ও মত প্রকাশের চর্চা এবং স্বাধীন মত প্রকাশে কোন বাধা নিষেধ নেই। কিন্তু কিছুদিন ধরে একটি গোষ্ঠী একের পর এক প্রগতিশীল মুক্তবুদ্ধি চর্চার ব্যক্তিবর্গকে হুমকি দিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ এ সকল হত্যার ঘটনার কোন রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারছে না। জাতীয় শিক্ষাধারা’র মিছিল ও সমাবেশ ॥ গণজাগরণ মঞ্চের ডাকা হরতালের সমর্থনে জাতীয় শিক্ষাধারা’র মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে জাতীয় শিক্ষাধারা’র সভাপতি ড. সাকিল আল মামুনের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলা ভবনে গিয়ে সমাবেশ করে। সমাবেশে স্বাধীনতার পক্ষের রাজনীতিকদের রাজনৈতিকধারা নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবি’র প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও শিক্ষাধারা’র উপদেষ্টা অধ্যাপক শুভঙ্কর দেবনাথ, নতুনধারা’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল শান্তা ফারজানা, চন্দন চন্দ্র সরকার, রওশন কবীর বিপুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় শিক্ষাধারা’র উপদেষ্টা মাহামুদ হাসান তাহের, সহ-সভাপতি ফরহাদ শিমুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। নারী সাংবাদিক কেন্দ্র ॥ এদিকে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা এবং প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুলসহ মুক্তমনা লেখক ব্লগারদের ওপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র। এক বিবৃতিতে এসব হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানায় সংগঠনটি। সংগঠনের সভাপতি নাসিমুন আরা হক স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা রাজীব, অভিজিতসহ সকল মুক্তমনা লেখক হত্যার বিচার দাবি করছি। সেই সঙ্গে দেশবাসীকে পরিস্থিতি সম্পর্কে হুঁশিয়ার ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রকাশক হত্যার প্রতিবাদে আগামী ছয় নবেম্বর দেশব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ওইদিন সকাল ১১টায় শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে জোটের উদ্যোগে প্রতিবাদী সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। হরতাল সফল করায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছে সিপিবি-বাসদ। মুক্তচিন্তার ওপর আঘাত মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান এই দুই দলের নেতারা। এছাড়া হরতালের সমর্থনে সিলেট, খুলনা, রাজবাড়ী, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, শেরপুর, খাগড়াছড়ি, বরিশাল, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন জেলায় মিছিল সমাবেশসহ শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ছাত্র সংগঠন।
×