ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডিসিসিআইর দাবি ॥ ট্যাক্স আদায়ে হয়রানী বন্ধ করা

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ৪ নভেম্বর ২০১৫

ডিসিসিআইর দাবি ॥ ট্যাক্স আদায়ে হয়রানী বন্ধ করা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কর দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি(ডিসিসিআই) পরিচালকরা বলেছেন, আমরা ট্যাক্স দিতে রাজী আছি। ট্যাক্স আদায়ে হয়রানী বন্ধ করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড(এনবিআর) চেয়ারম্যানের প্রতি আহ্বান জানান তারা। বুধবার সকালে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) প্রকাশিত ‘ট্যাক্স গাইড-২০১৫-১৬’ এর মোড়ক উন্মোচনকালে এনবিআরের প্রতি এই আহ্বান জানান তারা। অনুষ্ঠানে মোড়ক উন্মোচন করেন এনবিআরের চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান। ডিসিসিআই পরিচালকরা বলেন, চাপ প্রয়োগ করলে ট্যাক্স আদায় হবে না। ট্যাক্স আদায়ে এনবিআরকে বন্ধুসূলভ আচারণ করতে হবে। ডিসিসিআইয়ের সভাপতি হোসেন খালেদ বলেন, ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, যারা সবসময় ব্যবসা করতে পারেন না। কিন্তু, রাজস্ব বোর্ড প্রতি বছর ট্যাক্স বাড়িয়ে ব্যবসায়ীদের চাপে রাখে। এক বছর ১ লাখ টাকা কর দিলে পরের বছর ১ লাখ ১০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। এটা এক ধরণের চাপ। এনবিআরকে এই ধারনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, জেলা চেম্বার সদস্যদেরকে ট্যাক্স বিষয়ে সচেতন করতে, তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। কেননা, নতুন উদ্যোক্তরা ট্যাক্স প্রদানে ভয় পায়। ডিসিসিআইয়ের পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, আমরা আর আগের মতো ব্যবসা করতে পারছি না। আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। প্রতিবছর বিনা কারণেই ট্যাক্স বাড়ানো হচ্ছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, হঠাৎ করে রাজস্ব আদায়কারী কর্মকর্তারা ব্যবসায়ীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র জব্দ করছে। আর এ কারণে এক প্রকার ভয়ের মধ্যে আছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। দাবি অনুযায়ি ব্যবসায়ীরা বাড়তি কর না দিলে এনবিআর মামলা ঠুকে দেয়। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এসব ক্ষেত্রে রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা ব্যবসায়ীদের সময় বেধে দিতে পারেন। সময় পার হয়ে গেলে বরং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তলব করতে পারে। তবে হয়রানির উদ্দেশ্যে যেন না হয়। ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আপনাদের কোনো রকমের হয়রানি করা হবে না। এনবিআর আগের চাইতে অনেক ব্যবসায়ী বান্ধব হয়েছে। আমরা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের জিরো টলারেন্সের ব্যবস্থা করেছি। তাই আশা করি এই ধরনের সমস্যা আর হবে না। অনুষ্ঠানে এনবিআরের বিভিন্ন উইংয়ের সদস্যসহ ডিসিসিআইয়ের পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
×