ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাবিনকো মামলার সাক্ষী পাচ্ছে না কমিশন

প্রকাশিত: ০০:৫৩, ৪ নভেম্বর ২০১৫

সাবিনকো মামলার সাক্ষী পাচ্ছে না কমিশন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সৌদি বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড এগ্রিকালচার ইনভেস্টমেন্টের (সাবিনকো) শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলার সাক্ষী পাচ্ছে না বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বুধবার পুঁজিবাজার মামলা নিষ্পত্তিতে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এ মামলায় সাক্ষীর নাম জানানোর কথা থাকলেও বিএসিইসির আইনজীবী মাসুদ রানা কারও নাম জমা দিতে পারেনি। সাক্ষীর নাম জমা দেওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে সময়ের আবেদন জানান তিনি। এর আগে গত ১ নবেম্বর এ মামলায় বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক আশরাফুল ইসলাম এ মামলার সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে গিয়েছিলেন। কিন্তু মামলার সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা না থাকায় তার সাক্ষ্যকে ‘আননেসেসারি’ উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনাল তার সাক্ষ্য গ্রহণ করেনি। পরে বিএসইসির আইনজীবীর সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ুন কবীর বুধবার মামলার পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করেন এবং ওইদিন সাক্ষীর নাম জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এই হিসেবে বুধবার বিএসইসির পক্ষে এ মামলায় সাক্ষীর নাম জানানোর কথা ছিল। কিন্তু কোন সাক্ষীর নাম জমা না দিয়ে পুনরায় সময়ের আবেদন জানান বিএসইসির আইনজীবী। বিএসইসির আইনজীবী মাসুদ রানা ট্রাইব্যুনালকে বলেন, এ মামলায় বিএসইসির পক্ষে দুজন সাক্ষী ছিলেন। কিন্তু তারা এখন দেশের বাইরে রয়েছেন। ফলে এ মামলায় তারা সাক্ষ্য দিতে পারছেন না। নতুন সাক্ষীর জন্য বিএসইসিকে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা কারও নাম দিতে পারেনি। মামালার সাক্ষী নির্ধারণে আরও সময়ের প্রয়োজন বলে ট্রাইব্যুনালে আবেদন জানান তিনি। তার এ আবেদনের বিরোধিতা করেন আসামীপক্ষের আইনজীবী মো: বোরহান উদ্দিন। তিনি ট্রাইব্যুনালকে বলেন, বাদিপক্ষ এর আগেও সাক্ষীর নাম উপস্থাপন করতে সময় নিয়েছে। কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি সময়ের আবেদন মঞ্জুর না করে মামলার পরবর্তী বিচারকার্য শুরুর জন্য ট্রাইব্যুনালকে অনুরোধ জানান। দুই পক্ষের বক্তব্য শেষে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটির পরবর্তী বিচারের জন্য আগামি ১৫ নবেম্বর নির্ধারণ করেন। ওইদিন সাক্ষীকে হাজির করার নির্দেশ দিয়ে ট্রাইবৃ্যুনাল বলেন, ওইদিনই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। সময় ট্রাইব্যুনালে মামলার আসামি মো. কুতুবউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। সাবিনকো শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলায় বিএসইসির পক্ষে এর আগে বিএসইসির পরিচালক মাহবুবে রহমান চৌধুরী ১৩ অক্টোবর সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। এই মামলার বিএসইসির পক্ষে আরও সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ ও বিএসইসির সাবেক কমিশনার মনসুর আলমের। এর মধ্যে ফরহাদ আহমেদ দাফতরিক কাজে দেশের বাইরে রয়েছেন। অপর সাক্ষী মনসুর আলমকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে পারেনি বিএসইসি। এ দুইজনের পরিবর্তে নতুন সাক্ষী উপস্থাপনে নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালের জুন থেকে জুলাই সাবিনকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কিছু কর্মকর্তা ব্যক্তিগত অসৎ উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন ব্রোকারস হাউসে শেয়ার লেনদেন করতেন। একই দিনে বিভিন্ন ব্রোকারস হাউসে শেয়ার কিনতেন এবং একই শেয়ার অন্য ব্রোকারস হাউসের মাধ্যমে বিক্রয় করতেন। তিনি ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে সাবিনকোর ‘আনসীল’ ফান্ড ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটির জন্য শেয়ার কিনতেন। এই শেয়ার ক্রয়ের উদ্দেশ্য ছিল কিছু কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ানো।
×