ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কাঁচাপাট রফতানিতে এক মাসের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: ০৪:১২, ৫ নভেম্বর ২০১৫

কাঁচাপাট রফতানিতে এক মাসের নিষেধাজ্ঞা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী এক মাসের জন্য কাঁচাপাট রফতানি নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সম্প্রতি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে ৩ নবেম্বর থেকে পরবর্তী এক মাস কাঁচাপাট রফতানি সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। ওই আদেশে বলা হয়, ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ এর সঠিক বাস্তবায়নের জন্য পাট অধ্যাদেশ ১৯৬২ এর ৪ ও ১৩ ধারা মোতাবেক যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে ৩ নবেম্বর থেকে এক মাস পর্যন্ত সকল প্রকার কাঁচাপাট রফতানি বন্ধ রাখা হলো।’ আইনে ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি মোড়কীকরণে পাটের মোড়ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ৩০ নবেম্বরের পর থেকে এই ছয়টি পণ্যের ক্ষেত্রে পাটের মোড়ক ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সরকার অভিযান চালাবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এই ছয়টি পণ্যসহ অন্যান্য পণ্য মোড়কীকরণে দেশে বছরে প্রায় ১০ কোটি মোড়কের চাহিদা সৃষ্টি হবে বলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের এক হিসেবে বলা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারী পাটকলগুলো ৪ কোটি মোড়ক সরবরাহ করবে। বাকি মোড়ক সরবরাহ করবে বেসরকারী পাটকলগুলো। সরকারী পাটকলগুলোর কাছে এক কোটি ৪ লাখ পাটের মোড়ক (বস্তা) রয়েছে। বাকি বস্তা উৎপাদনের জন্য স্থানীয় বাজারে পাটের সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে রফতানিতে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে থেকে জানা যায়, বছরে দেশে গড়ে ৭৫ লাখ বেল পাট উৎপাদন হয়। এর মধ্যে গড়ে ৯ থেকে ১০ লাখ বেল কাঁচাপাট রফতানি হয়। বাকি পাট দেশের সরকারী-বেসরকারী ৮০টি পাটকল বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে ব্যবহার করে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য মতে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১১ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার ডলারের কাঁচাপাট রফতানি হয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রফতানি ছিল ১২ কোটি ৬৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার। কাঁচাপাট রফতানির প্রধান গন্তব্য ভারত ও পাকিস্তান। বর্তমানে দেশে প্রতিমণ কাঁচাপাটের দর ২২০০ থেকে ২৩০০ টাকা। পেঁয়াজ আমদানির প্রভাব পড়ছে না খোলাবাজারে অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আমদানি হলেও এর প্রভাব পড়ছে না স্থানীয় বাজারে। গত দুই দিনের ব্যবধানে খোলাবাজারে এই নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা জানান, দু’দিন আগে হিলি স্থলবন্দর এলাকায় প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩২ টাকায়, আর বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে। তারা বলছেন, পূজা উপলক্ষে এক সপ্তাহ আমদানি বন্ধ থাকায় চাহিদার সঙ্গে দাম বেড়েছে পণ্যটির। দু’এক দিনের মধ্যেই দাম আবার স্বাভাবিক হবে বলেও জানান তারা। এদিকে, হিলি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পূজার ছুটির পর এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। গত এক সপ্তাহে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ৮৪০ টন।
×