ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সৌম্য আউট ইমরুল ইন

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ৬ নভেম্বর ২০১৫

সৌম্য আউট ইমরুল ইন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে সিরিজ থেকে বাদই পড়ে গেলেন সৌম্য সরকার। তার পরিবর্তে ইমরুল কায়েসকে নেয়া হয়েছে। ইমরুল যেহেতু ভাগ্যের সহায়তায় চূড়ান্ত দলে সুযোগ পেয়ে গেছেন, স্বাভাবিকভাবে খেলবেনও। জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে শনিবার প্রথম ওয়ানডেতেই নামবেন। তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিংও করবেন। সেক্ষেত্রে এ বছরের মার্চে ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের পর আবারও জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে খেলতে নামার সুযোগ মিলে গেল ৫৬ ওয়ানডে খেলে ২৫.৪৩ গড়ে ১৩৯৯ রান করা ইমরুলের। বুধবারই বোঝা যাচ্ছিল, মঙ্গলবার বাম পাঁজরে ব্যথা পাওয়া সৌম্য হয়ত আর জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে পারবেন না। বৃহস্পতিবার তাই জানা গেল। প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদই জানালেন তা। বললেন, ‘সৌম্য সরকার এ সিরিজটা মিস করছে। ওর যে ইনজুরিটা হয়েছে এ্যাটলিস্ট দুই থেকে তিন সপ্তাহ লাগবে ঠিক হতে। যদিও সে ব্যাটসম্যান। বোলিং না করলেও দুই থেকে তিন সপ্তাহ লাগবে। সেটা আমরা ফিজিও এবং ডাক্তারদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি। সেজন্য আমাদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আমরা রিপ্লেসমেন্টটাও ঘোষণা দিচ্ছি। সৌম্যের জায়গায় আমরা ইমরুল কায়েসকে নিয়েছি।’ যে অবস্থা এখন দাঁড়িয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল-টি২০) শুরুতেও খেলতে পারবেন না রংপুর রাইডার্সের সৌম্য। বিপিএল শুরু হতে এখনও ১৬ দিন বাকি। কিন্তু প্রধান নির্বাচক বলে দিলেন সুস্থ হতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ লাগবে। দুই সপ্তাহ লাগলেও ঠিক হয়েই নিশ্চয়ই শুরুতেই খেলতে পারবেন না সৌম্য। আর তিন সপ্তাহ লাগলে কথাই নেই। বিপিএল শুরু হওয়ার জন্য সেই সময়টুকুও যে নেই। মঙ্গলবার ব্যথা পাওয়ার পর বুধবারও মাঠে আসেন সৌম্য। কিন্তু ব্যথা থাকায় আর অনুশীলন করতে পারেননি। বুধবার সকালে এ্যাপোলো হাসপাতালে তার এমআরআই করানো হয়। বৃহস্পতিবার এমআরআইয়ের রিপোর্ট মেলে। তাতে দেখা যায়, ব্যথা রয়েছে এবং সিরিজ খেলা সম্ভব নয় সৌম্যের। গত বছরের ১ ডিসেম্বর জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে সৌম্যর অভিষেক হয়। এরপর থেকে একবারও ইনজুরির কবলে পড়েননি ডানহাতি এই ওপেনার। এবার প্রথম ইনজুরির কারণে দল থেকে বাদ পড়তে হলো। বৃহস্পতিবার জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে বিসিবি একাদশের হয়ে খেলেন ইমরুল। সৌম্য সিরিজে না থাকলে এনামুল হক বিজয়েরও চূড়ান্ত দলে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বিজয়ের (৫২) চেয়ে বেশি, ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছেন ইমরুল। তাতে তার জাতীয় দলে ওয়ানডেতে আবারও সুযোগ মিলে গেল। শাহরিয়ার নাফীসের দিকেও নজর ছিল। কিন্তু শাহরিয়ার তো (৩৮) ঝলক দেখাতেই পারেননি। ভারতের পর দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে খেলে কোন আলোড়নই সৃষ্টি করতে পারেননি সৌম্য। জাতীয় দলের হয়ে দুর্দান্ত খেলতে থাকা এ ব্যাটসম্যান ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে একটি অর্ধশতকও হাঁকাতে পারেননি। তবুও আশা ছিল, জাতীয় দলে নিজের ছন্দে ফিরতে পারেন। কিন্তু সেই ফেরা আর হলো না। চূড়ান্ত দলে থেকেও সরে যেতে হলো সৌম্যকে। তার স্থানে ইমরুল সুযোগ পেয়ে গেলেন।
×