ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এবার বেয়ার্ন মিউনিখে বিধ্বস্ত আর্সেনাল

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ৬ নভেম্বর ২০১৫

এবার বেয়ার্ন মিউনিখে বিধ্বস্ত আর্সেনাল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ লন্ডনের বিখ্যাত এমিরেটস স্টেডিয়ামে প্রথম লেগের ম্যাচে স্বাগতিক আর্সেনালের কাছে ২-০ গোলে হেরে জয়যাত্রা থেমেছিল বেয়ার্ন মিউনিখের। দুই সপ্তাহ পর দ্বিতীয় লেগেই মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে বাভারিয়ানরা। বুধবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলের ‘এফ’ গ্রুপের ফিরতি লেগের ম্যাচে বেয়ার্ন ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে আর্সেনালকে। প্রথম লেগের হারের প্রতিশোধ যে পেপ গার্ডিওলার দল এভাবে নেবে, তা হয়তো কেউই ভাবতে পারেননি। নিজেদের মাঠ মিউনিখের অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারানায় গানার্সদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলায় মত্ত হন মুলার, লেভানডোস্কি, রোবেনা। এই জয়ে নকআউট পর্বেও এক পা দিয়ে রেখেছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। চার ম্যাচ শেষে ‘এফ’ গ্রুপে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বেয়ার্ন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোসের সংগ্রহও ৯ পয়েন্ট। অলিম্পিয়াকোস পরশু রাতে ২-১ গোলে হারায় ক্রোয়েশিয়ার ডায়নামো জাগরেবকে। নিজেদের মাঠে প্রায় পুরো সময়ই দাপুটে নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন বেয়ার্নের তারকা ফুটবলাররা। প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর জয় প্রায় নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছিল তাদের। ১০, ২৯ ও ৪৪ মিনিটে বেয়ার্নের পক্ষে প্রথম তিনটি গোল করেন রবার্ট লেভানডোস্কি, টমাস মুলার ও ডেভিড আলাবা। তবে গোলক্ষুধা তখনও ফুরায়নি বেয়ার্নের খেলোয়াড়দের। বিরতির পর ৫৫ মিনিটে দলের পক্ষে চতুর্থ গোল করেন আরিয়েন রোবেন। আর ৮৯ মিনিটে আর্সেনালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকেন মুলার। ৬৯ মিনিটে আর্সেনালের পক্ষে সান্ত¡নাসূচক একটি গোল করেন অলিভিয়ের জিরুড। একের পর এক হতাশাজনক হারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল চেলসি। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য একটা জয় খুব করেই দরকার ছিল গত মৌসুমের ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ চ্যাম্পিয়নদের। বহু কাক্সিক্ষত জয়টাই তারা পেয়েছে পরশু চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ম্যাচে। ইউক্রেনের ক্লাব ডায়নামো কিয়েভের বিরুদ্ধে জয়টা অবশ্য বেশ ঘাম ঝরিয়েই পেতে হয়েছে ব্লুজদের। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় দিয়ে নকআউট পর্বে যাওয়ার আশা বেশ ভালমতোই টিকিয়ে রেখেছে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। নিজেদের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে প্রথমে এগিয়ে যায় চেলসি। তবে ম্যাচের প্রথম এই গোলটির জন্য সৌভাগ্যের পরশ ভর করে স্বাগতিকদের। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে নিজেদের জালেই বল জড়ান কিয়েভের ডিফেন্ডার আলেক্সান্ডার দ্রাগোভিচ। আত্মঘাতী এই গোলের কল্যাণে প্রথমার্ধ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই শেষ করে চেলসি। বিরতির পর ৭৭ মিনিটে দ্রাগোভিচই গোলেই সমতা ফেরায় কিয়েভ। এ সময় আবারও হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ার উপক্রম হয় ব্লুজদের। কিন্তু ৮৩ মিনিটে চেলসিকে উদ্ধার করেন উইলিয়ান। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফ্রিকিক থেকে অসাধারণ এক গোল করে চেলসিকে এনে দেন ২-১ গোলের কষ্টার্জিত জয়। এই জয়ের পর কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পেরেছেন দুর্দশার মধ্যে থাকা কোচ জোশে মরিনহো। ম্যাচ শেষে স্পেশাল ওয়ান বলেন, এই জয় খুব বড় স্বস্তির ব্যাপার। খেলোয়াড়রা তাদের কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছে। এই ম্যাচে খারাপ সময়গুলোতেও আমাদের খেলোয়াড়রা আত্মবিশ্বাস ধরে রেখেছে। দলের সবাই মানসিকভাবে শক্ত ছিল। তারা ক্রমাগত জয়ের চেষ্টা করে গেছে। আর আমি এতে খুশি। ‘জি’ গ্রুপের চার ম্যাচ শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পর্তুগালের শীর্ষ ক্লাব পোর্তো। তারা ৩-১ গোলে হারিয়েছে ইসরাইলের তেল আবিবকে। ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে চেলসি। তৃতীয় স্থানে থাকা কিয়েভের সংগ্রহ ৫ পয়েন্ট।
×