এমদাদুল হক তুহিন
তবে শুনুন
প্রিয় শ্রোতা মাইকটি যখন বাড়িয়েই দিয়েছেন
তবে শুনুন, হাতে উঠে এলে মাইক
লেপের নিচে লুকিয়ে থাকা বিড়ালও হয়ে ওঠে সিংহ
জয় বাংলা সেøাগান দিতে ভয় পাওয়া মহাশয়ও
জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে শ্রেষ্ঠ গলাবাজ
এক পঙক্তি লিখতে না পারার ব্যর্থতা নিয়েও হয়ে ওঠেন মহাকবি
স্টেজে ওঠার পূর্বেই কুলিকে লাথি মেরে এসেও শুনিয়ে যান মানবতা
ভয়াল মাদকের অন্ধকারে আচ্ছন্ন থেকেও ছড়ায় আলোক বার্তা
আর আপনি শুনছেন, শোনার জন্যেই আপনার শ্রবণ
প্রতিবাদের ধ্বনি-বর্ণ-ভাষা হারিয়ে নিস্তেজ দেহ মন প্রাণ
রাস্তায় নেমে এলে যদি পড়ে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ
তাতেও প্রতিবাদী হয়ে জয় বাংলায় ভীষণ ভয় আপনার
জানুন এবং শুনুন-আপনি মানুষ হয়েও কাপুরুষ!
তবু তারুণ্যের হাতেই গড়বে একদিন-স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।
এ কী যন্ত্রণা দিলে তুমি
হে ঈশ্বর এ কী যন্ত্রণা দিলে তুমি
রক্ত কণিকায় জাগে না শিহরণ
প্রস্ফুটিত হয় না আর কোন উক্তি
চিকিৎসক না হয়েও অনুভব করি
মস্তিষ্কে চলে ভিন্ন এক ক্ষরণ
অস্তিত্বহীন যন্ত্রণায় কাটে আমরণ
বাড়ছে ক্রমশ বিরহ ঋণ
কোন সে শূন্যতায় কাটে দিন প্রতিদিন
এ আমি, কোন আমি-অস্তিত্ব বিলীন
দিনে দিনে হচ্ছি কেবল অমলিন!
নৈঃশব্দ্য
নৈঃশব্দ্যে একাকীত্বে আর্তচিৎকার
মায়াবতী হরিণীর রূপে মুগ্ধ চোখ
তবু ওষ্ঠে লেপ্টে রয় কী অহংকার
ঈর্ষা ক্লেদ বৈষম্যে এ কী হাহাকার
এর চেয়ে বরং মরণ হোক আমার!
তবু আশীর্বাদ করি
সুখে থাকিস, সুখে থেকো-
আমি না হয় নষ্ট মানব ভ্রষ্ট পথিক
তবু সুখে থেকো, সুখে থাকিস।
থমকে গেছে প্রেম
ঘুণাক্ষরেও টের পাওনি
শব্দের গাঁথুনিতে কী করে থেমে গেছে প্রেম!
পবিত্র মন্দিরের মতো শুদ্ধ হওয়ার পর
স্বল্প সময়ের চুম্বনে চলে না আর
দীর্ঘতর উষ্ণ নিঃশ্বাসের বাসনায়
সেই থেকে বসে আছি-
বীজ থেকে গাছ, এমনকি ধরেছে ফল!
অথচ আজও উষ্ণ হয়ে ওঠেনি নিঃশ্বাস
প্রগাঢ় চুম্বনে বন্ধ হয়নি দম!
সে খরায় অশুদ্ধ শব্দে থেমে যাচ্ছে গাঁথুনি
থেকেও নেই, অক্সিজেন সমুদ্রেও যেন অধরা!
অপেক্ষা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর
ক্রমশ বাড়ছে পাগলামি, কখন আসবে সেই ক্ষণ
ললাটে এঁকে দেবো আলতো ছোঁয়া
নারী মূর্তিটা বলে উঠবে, ভালোবাসো-ভালোবাসি।
শীর্ষ সংবাদ: