ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জিম্বাবুইয়ে ৭ উইকেটে জয়ী

প্রস্তুতি ম্যাচে হেরে গেল মাশরাফিরা

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ৬ নভেম্বর ২০১৫

প্রস্তুতি ম্যাচে হেরে গেল মাশরাফিরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ম্যাচ তখনও শেষ হয়নি। বিসিবি একাদশের অধিনায়ক মাশরাফি তার দ্বিতীয় স্পেল শেষ করলেন। শেষ করেই মাঠ ছাড়লেন। তার সঙ্গে মুশফিকুর রহীমও মাঠ থেকে বের হলেন। দুজন মিলে শুধু মাঠই ছাড়লেন না, ফতুল্লা স্টেডিয়াম থেকেই উধাও হয়ে গেলেন। প্রথম স্পেলে ৪ ওভার ও দ্বিতীয় স্পেলে ৩ ওভার করলেন মাশরাফি। ৩ ওভার বাকি থাকতেই মাঠ ছাড়লেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’। কোথায় গেলেন? জানা গেল টিম হোটেলে জার্সি স্পন্সরের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গেলেন। তখনও জিম্বাবুইয়ের জিততে ১৩ ওভারে ৮১ রানের দরকার ছিল। ম্যাচ ছেড়েই চলে গেলেন মাশরাফি ও মুশফিক! শেষে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে গেল বিসিবি একাদশ। ২৭৭ রান করেও জিততে পারল না। জিম্বাবুইয়ে ২০ বল বাকি থাকতেই ২৮১ রান করে বড় জয়ই তুলে নিল। ম্যাচে টস জিতে জিম্বাবুইয়ে। আগে বিসিবি একাদশকে ব্যাট করতে পাঠায়। সুযোগটি ভালভাবেই কাজে লাগান ব্যাটসম্যানরা। দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও এনামুল হক বিজয় মিলে ১০৫ রানের জুটি গড়েন। দুইবার নতুন জীবন পেয়ে ৫২ রান করেন বিজয়। আর ইমরুল করেন ৫৬ রান। ভাল ব্যাটিং করার জন্য ইনজুরিতে পড়া সৌম্য সরকারের বদলি হিসেবে ইমরুলকেই চূড়ান্ত জায়গা করে দেয়া হয়। এ দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর মুশফিকও অসাধারণ ব্যাটিং করেন। অপরাজিত ৮১ রান করেন মুশফিক। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের পর থেকে মুশফিকের ব্যাটে রান নেই। ওয়ানডেতে ৪ ম্যাচ ধরে বড় কোন ইনিংস খেলতে পারেননি। নেই কোন অর্ধশতক। টেস্টেতো গতবছর সেপ্টেম্বর থেকে নেই কোন শতকই। আবার জাতীয় ক্রিকেট লীগেও নৈপুণ্য দেখাতে পারেননি। তাই বিসিবি একাদশের হয়ে খেলে উপকারই হয়েছে মুশফিকের। সেই সঙ্গে দলও ব্যাটিং প্র্যাকটিসটা ভালভাবেই সেরে নিয়েছে। ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান করে। লুক জংগি ও গ্রায়েম ক্রেমার ৩টি করে উইকেট নিলেন। এ রান অতিক্রম করা স্বাভাবিকভাবেই জিম্বাবুইয়ের কাছে কঠিন হওয়ার কথা। দলটি যে এখন আর বাংলাদেশের সঙ্গে দাপট দেখিয়ে খেলতে পারে না। কিন্তু মাশরাফি ছাড়া জাতীয় দলের পেসাররা আর কেউই নেই। আবার স্পিনাররাও নেই। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনায়াসেই জয় তুলে নিল জিম্বাবুইয়ে। ক্রেইগ এরভিন ৫ রানের জন্য শতক করতে পারেননি। এলটন চিগুম্বুরা অপরাজিত ৬৪ রান করলেন। আর শিন উইলিয়ামস ৫৪ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হলেন। শেষ পর্যন্ত ৪৬.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮১ রান করে জয় তুলে নিল জিম্বাবুইয়ে। বোঝাই যাচ্ছে দুদলই ব্যাটিং প্র্যাকটিস ভালভাবে সেরে নিয়েছে। অবশ্য কোন দলই এ ম্যাচ থেকে আসা জয়-পরাজয়কে আমলে নিচ্ছে না। ভাল প্রস্তুতি হওয়াটাকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। ইমরুল যেমন বলে দিলেন, ‘আসলে প্রস্তুতি ম্যাচ প্রস্তুতির মতোই। এখানে হার-জিতের হিসেব মুখ্য নয়। প্রস্তুতি কতটা ভাল হল সেটিই মুখ্য। আমাদের ভাল প্রস্তুতি হয়েছে।’ এরভিনও একই কথা বললেন, ‘প্রস্তুতি ম্যাচে যে রকম প্রস্তুতি হল তাতে সন্তুষ্টি মিলেছে। আত্মবিশ্বাসও পাওয়া গেছে। তবে প্রস্তুতি ম্যাচের ফল মূল সিরিজে কোন প্রভাব ফেলে না।’ এখন মূল সিরিজে বাংলাদেশ জয়ের রূপে ফিরলেই হল। স্কোর কার্ড বিসিবি একাদশ ইনিংস ২৭৭/৮; ৫০ ওভার (মুশফিক ৮১*, ইমরুল ৫৬, বিজয় ৫২, শাহরিয়ার ৩৮, লিটন ২৫; জংগি ৩/২০, ক্রেমার ৩/২১)। জিম্বাবুইয়ে ইনিংস ২৮১/৩; ৪৬.৪ ওভার (এরভিন ৯৫, চিগুম্বুরা ৬৪*, উইলিয়ামস ৫৪ (রি.হা), চিবাভা ৩৩, সিকান্দার ২২; সানজামুল ২/৭০)। ফল ॥ জিম্বাবুইয়ে ৭ উইকেটে জয়ী।
×