ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আজ থেকে শুরু হচ্ছে পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক স্বাস্থ্যসেবা ও প্রচার সপ্তাহ

অনিরাপদ গর্ভপাতে দেশে ১৪ শতাংশ মাতৃমৃত্যু

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ৭ নভেম্বর ২০১৫

অনিরাপদ গর্ভপাতে দেশে ১৪ শতাংশ মাতৃমৃত্যু

নিখিল মানখিন ॥ দেশের ৩৩ শতাংশ গর্ভধারণ অপরিকল্পিত। ইচ্ছার বিরুদ্ধে গর্ভধারণের কারণে অনেকে গর্ভপাত ঘটান। অধিকাংশ সময় সেই গর্ভপাত হয় অনিরাপদ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবমতে, বাংলাদেশে ১৪ শতাংশ মাতৃমৃত্যুর কারণ অনিরাপদ গর্ভপাত। অপরিকল্পিত এই গর্ভধারণ ও গর্ভপাতের পুরো ঝুঁকি পোহাতে হয় নারীকে। আর দেশে প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণের হারও সন্তোষজনক নয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর পরিকল্পিত পরিবার গঠনের লক্ষ্যে পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, বয়ঃসন্ধিকালীন, প্রজনন স্বাস্থ্য, নিরাপদ মাতৃত্ব, জেন্ডার বিষয়ক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে বিগত ছয় দশক ধরে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। মা ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস পেলেও অপরিকল্পিত গর্ভধারণ ও গর্ভপাত সমস্যা কমছে না। এর পাশাপাশি বর্তমান তরুণ-তরুণীরা গোপন মিলনে জড়িয়ে পড়ছে এবং এতে অপরিকল্পিত গর্ভধারণ ও গর্ভপাতের ঘটনাও বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে আজ শনিবার শুরু হচ্ছে পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু-কৈশোরকালীন স্বাস্থ্য সেবা ও প্রচার সপ্তাহ পালন। আগামী ১২ নবেম্বর পর্যন্ত এই সপ্তাহ পালন চলবে। এবার এই বিশেষ সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করুন, অপরিকল্পিত গর্ভধারণ রোধ করুন।’ পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ না করাকে অনেকে মাতৃমৃত্যুর অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, অল্প বয়সে বিয়ে হলেও জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করলে ৩২ শতাংশেরও বেশি মাতৃমৃত্যু রোধ করা সম্ভব। নিরাপদ মাতৃত্ব নিয়ে কাজ করে ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যানড পেরেন্টহুড ফেডারেশন। এই আন্তর্জাতিক এনজিওটির কাগজপত্র বলছে, বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৪০ লাখ নারী গর্ভধারণ করেন। এর মধ্যে ১৩ লাখই অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণ। পরিবার-পরিকল্পনা সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সঠিক ব্যবহার না জানা, পদ্ধতির স্বল্পতাই অপরিকল্পিত গর্ভধারণের মূল কারণ।
×