ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পজেটিভ থিংকিং

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ৭ নভেম্বর ২০১৫

পজেটিভ থিংকিং

সাম্প্রতিক সময়ের কিছু ঘটনা আমাদের ইতিবাচকভাবে ভাবতে বাধ্য করাচ্ছে মনে হচ্ছে এদেশের বীর বাঙালী এত সহজে পরাজিত হতে পারে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ বিষয়ক বিশ্বের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ লাভ, শত প্রতিকূলতায় ৬.৫ করে জিডিপি ধরে রাখায় বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা, সিলেটের আলোচিত রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুলকে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হওয়া, নারায়ণগঞ্জ আলোচিত সাত খুনের মামলার আসামি নূর হোসেনকে বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা এবং গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জের এমপি লিটনকে গ্রেফতারের মাধ্যমে ‘আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান’ কথাটি বাস্তবায়ন করার মধ্য দিয়ে জাতির মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। সরকারী কর্মচারীদের ঘুষবাণিজ্য যখন নাগালের বাইরে, তখন ঘুষ নেয়ার অভিযোগে আমদানি-রফতানি নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান কর্মকর্তার সাময়িক বহিষ্কার আমাদের সামনে তাকানোর সাহস জোগায়। এছাড়া সরকারী চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদন ফি মওকুফ ও পরীক্ষার সনদের কাগজপত্রের (ভাইভা পরীক্ষার আগ পর্যন্ত) ঝামেলা থেকে মুক্তি লাখো বেকারের আশীর্বাদ বলা যায়। এমএস লিখন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া। বাল্যবিবাহকে না বলুন বিবাহ আমাদের অন্যতম সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোর একটি। বিবাহের মাধ্যমে মানুষ তাদের জৈবিক কাজগুলো সম্পন্ন করে থাকে। বিবাহের মাধ্যমেই গড়ে ওঠে পারিবারিক সম্পর্ক। কিন্তু এই বিবাহ যখন হয় বাল্যবিবাহ তখন এই ভাল দিকগুলোর কোনটাই পাওয়া যায় না। আর এই বিয়ের অন্যতম আরেকটি কারণ হলো আমাদের অসচেতনতা। আমাদের গ্রাম্য সমাজের লোকেরা এখনও বাল্যবিবাহ সম্পর্কে সচেতন নয়। মেয়ে শারীরিক দিক থেকে বড় হলেই বিয়ের জন্য মা-বাবারা চিন্তিত হয়ে পড়েন। তারা একবারও ভাবেন না এই মেয়ে বিয়ের পরে সাংসারিক জীবন পরিচালনার জন্য কতটুকু উপযুক্ত। এই মেয়ের পক্ষে সন্তান জন্মদান এবং লালন-পালন করা সম্ভব হবে কি না এসব নিয়ে মা-বাবারা চিন্তা করেন না। আর এই বাল্য বিবাহের ফলে একটি মেয়ের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। যখন একটি মেয়ের হাতে বই নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল তখন সে রান্নাঘরে রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নারীশিক্ষা। মোঃ নিজাম উদ্দিন কাউকাপন, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার। নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা পত্রিকায় সংবাদ থেকে জানা যায়, ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরও ডিমওয়ালা ইলিশ ধরা পড়ছে! ফলে প্রশ্ন উঠেছে, নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা কি সঠিক ছিল না? বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক বিজ্ঞানী ও বর্তমানে ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়ার শিক্ষক এসএম নুরুল আমিন এ বিষয়ে একটি ব্যাপক জরিপ চালিয়েছিলেন। সে সময় আমি এর ফলাফল বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশও করেছিলাম। নুরুল আমিন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে কয়েক হাজার ইলিশের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। তিনি বিভিন্ন আকৃতি অনুযায়ী এগুলো ভাগ করে লিঙ্গ পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি দেখেন, ইলিশের আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিমওয়ালা মাছের পরিমাণ বাড়ছে। একটা আকারের পর সব ইলিশেই ডিম দেখা যায়। তিনি ডিম ছাড়া কোন ইলিশ মাছ পাননি। এই জরিপ থেকে তিনি এ ধারণা লাভ করেন যে, ইলিশ মাছ বড় হয়ে একটি নির্দিষ্ট আকার লাভ করার পর লিঙ্গ পরিবর্তন করে! সে কারণেই হয়ত নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার পরও ডিমওয়ালা ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে বড় ইলিশ মাছ কি কখনও ডিম ছাড়া পেয়েছেন? উত্তর হবে না, সময় এসেছে এ নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণার মাধ্যমে ইলিশের এই রহস্য ভেদ করার। সাফওয়ান আহমদ হিমেল শাবিপ্রবি, সিলেট খ-কালীন চাকরি কিছুদিন আগে টিভি চ্যানেলে দেখলাম অর্থমন্ত্রী সরকারী কর্মচারীগণের পে-স্কেল ও বাজেট সম্পর্কে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবের একপর্যায়ে বলেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মক্ষম সরকারী কর্মচারীগণের অভাব-অনটন দূর করার জন্য সম্মানজনক চাকরির ব্যবস্থা গ্রহণ করার চিন্তা-ভাবনা করছেন। অর্থমন্ত্রীর মুখে উক্ত সংবাদটি শোনার পর বেশ আশান্বিত হয়েছিলাম। আমি একজন অসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী। ৫৭ বছর বয়সপূর্তি সাপেক্ষে আমাকে অবসর গ্রহণ করতে হয়। ইতোপূর্বে সরকারী চাকরিবিধিতে খচজ (অবসর প্রস্তুতি ছুটি) ছিল। ওই খচজ-এ থাকা অবস্থায় সকল সরকারী সুবিধা কর্মচারীগণ পেয়ে থাকতেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে খচজ-কে চজখ (অবসরোত্তর ছুটি)-তে রূপান্তরিত করার ফলে কোন সরকারী সুবিধা কর্মচারীগণ পাচ্ছেন না। যার ফলে আমি চজখ থাকায় ওই দুই বছরে চাকরি করার সুবিধা পাইনি। আমার মতো আরও যারা আছেন কেউ পাননি। বর্তমানে সামান্য পেনশনের টাকায় থাকা, খাওয়া ও সন্তানের পড়াশোনার খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের মতো বয়স্ক লোকদের কোন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান চাকরি দিতে চায় না। আর বেসরকারী প্রতিষ্ঠান যে পরিমাণ পরিশ্রম করায় তাতে এই বয়সে সেটার ধকল সহ্য করা সম্ভব নয়। অর্থমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, তিনি যেন অনুগ্রহ করে এই অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীগণের দিকে আরেকটু সুনজর প্রদান করেন। আতাউর রহমান খান খিলক্ষেত, ঢাকা। রিক্সাঅলা পাগলেও জানে রিক্সার প্রাণ নেই। আর প্রাণ যেখানে নেই অনুভূতিও সেখানে নেই। আমরা জানি রিক্সা একা চলতে পারে না হতে পারে সেটা ব্যাটারি চালিত কিন্তু কেউ না কেউ তাকে চালায়। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রিক্সার ও মানুষের সঙ্গের সম্পর্কের উন্নতি চোখে পড়ার মতো। এ ধরুন কিছুদিন আগের কথা, সে সময় মানুষ রিক্সাঅলাকে ডাকত বয়সের বিষয়টা বিবেচনা করে চাচা, কাকু, ভাই ইত্যাদি নামে। ওয়ালা টুকু বাদ দিয়ে রিক্সা রিক্সা বলা শুরু করলাম। একটা জিনিস আর কতদিন ভাল লাগে সকলে তো নতুন কিছু চায়, চায় পরিবর্তন ও পরিবর্ধন ডাকা হতে লাগল এই খালি, এই খালি নামে। একটা জিনিস লক্ষ্য করে দেখবেন লিটারে এক টাকা বাড়লে কিলো প্রতি ভাড়া বাড়ে পাঁচ টাকা। সেখানে কিছু করতে না পারলেও রিক্সাঅলাকে এক টাকার জন্য ঠাস ঠাস করে চড় মেরে বীর হয়ে যাওয়ার সুযোগটা কেউ হাত ছাড়া করি না। রাগ খাটানোর একটা ভাল ক্ষেত্র। এমনও হয় স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা বাধিয়ে রাস্তায় গিয়ে আমরা রিক্সাঅলাকে মারি। যেমন পরিবর্তনটা জরুরী তেমনি অনেকদিন খারাপ ব্যবহার করে আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরেছি। রিক্সাঅলাকে আর পর ভাবতে পারছি না। পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ পেয়েছি আজ। মামা বলে কাছে নিয়ে নিয়েছি। এ যেন অনেকটা গরু মেরে জুতা দান নীতিতে চলছি আমরা। এস আর শানু খান মাগুরা
×