ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পানি সঙ্কট নিরসনে কেরানীগঞ্জে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ৭ নভেম্বর ২০১৫

পানি সঙ্কট নিরসনে কেরানীগঞ্জে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ ॥ অবিশ্বাস্য হলেও সত্য! যেখানে রাজধানীবাসী ভুগছে তীব্র পানি সঙ্কটে। আর রাজধানীর পাশে কেরানীগঞ্জ থানায় এখন তার ভিন্ন চিত্র। তীব্র পানির সঙ্কট থাকলেও ওই থানার এলাকাবাসীরা তা নিরসনে নিয়েছেন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। ডিপটিউবওয়েল স্থাপন করে খোদ নিজেদেরই নয়, রাজধানীবাসীর অনেকের সুপেয় পানির চাহিদা মেটাচ্ছে কেরানীগঞ্জবাসী। প্রতিদিন এখান থেকে ৫ লক্ষাধিক ব্যবসায়ী ও দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চ যাত্রীদের খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এখানকার পানি ব্যবসায়ীরা ডিপটিউবওয়েল থেকে প্লাস্টিক বোতল, গ্যালন ও জাহাজে পানি বোঝাই করে দক্ষিণাঞ্চচলের লঞ্চসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পৌঁছে দিচ্ছে। যার ফলে ওই সব লোকেরা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে কেরানীগঞ্জের ডিপটিউবওয়েল পানির ওপর। অপরদিকে সদরঘাট টার্মিনালে দক্ষিণাঞ্চলসহ প্রায় অর্ধশত লঞ্চে প্রতিদিন পানি সরবরাহ করছে। জানা গেছে, পানি বিক্রির সঙ্গে দুই শতাধিক লোক জড়িয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও ছোট ছোট ছেলেরা ১ থেকে ২ লিটার বোতল চাপ কল থেকে ভরে নিয়ে বিক্রি করছে নৌকার মাঝি ও লঞ্চ যাত্রীদের কাছে। কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ১৫টি ডিপটিউবওয়েল পানির কারখানা। এ ছাড়াও বড় বড় ভবন থেকে ৫, ১০ ও ২০ লিটারের গ্যালন ভরে পুরনো শহরে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। তেমন কোন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি নেই তাদের। এক ঘোড়া মোটর থেকে ওই পানি উত্তোলন করে ঢাকা শহরের ওয়াসার পানি থেকে সুস্বাদু এবং দুর্ঘন্ধমুক্ত। এই পানির কারখানাগুলো কেরানীগঞ্জ উপজেলার খোলামোড়া থেকে হাসনাবাদ এলাকা পর্যন্ত। এখান থকে অতি সহজে পানি বিক্রেতারা সদরঘাট, সোয়ারিঘাট, ওয়াইজঘাট, শ্যামবাজারসহ বিভিন্ন ঘাটে গিয়ে পানি সরবরাহ করে। আবু সুফিয়ান ওয়াটার কোম্পানির স্বত্বাধীকারী সুফিয়ান বলেন, ২০ লিটার ১টি পানির গ্যালনের মূল্য ৪০ টাকা। ১০ লিটার গ্যালন ২০ টাকা, ৫ লিটার গ্যালন ১০ টাকায় বিক্রি করি। এর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আমরা বিবিধ সমস্যার কারণে সরবরাহ করতে পারছি না। তিনি আরও বলেন, এটা একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। বুড়িগঙ্গা নদীর পানি নষ্ট হওয়ার পর পুরনো ঢাকা শহরের ব্যবসায়ীদের পানির কষ্ট আমি দেখেছি। সেই অভাবটা দূর করার জন্য এই প্রতিষ্ঠানটি খুলেছি।
×