হেমন্তিকা
এমরুল হোসাইন
হেমন্তের ঐ ভোরের শিশির
সূর্যি মামার উদয়ে,
যায় মিলিয়ে, হাওয়ায় উড়ে
দূর আকাশে মেঘ হয়ে।
কৃষাণ যখন মাঠের পানে
কাস্তে হাতে যায় ছুটে,
ঘরের কোনায় ধানের গোলায়
মিষ্টি হাসির ফুল ফোটে।
মৌমাছিরাও যায় ছুটে যায়
মধুর টানে মাঠ পানে,
মৌচাকেতে জমাট মধু
ধরার বুকে সুখ আনে।
ধানের গান
ব্রত রায়
ধান পেকেছে চাষীর ক্ষেতে
বাতাস খেলে তাতে
দুদিন পরেই উঠবে সে ধান
চাষীর আঙিনাতে!
ধানকাটা আর ধান মাড়াইয়ের
প্রস্তুতিও চলে
মাঠের পানে কাস্তে হাতে
চলছে সদলবলে!
নবান্ন ওই আসন্ন তাই
খুশির ছোঁয়া লাগে
সেই খুশিতে কিষান পাড়ার
মানুষগুলো জাগে!
হলুদ পাকা ধানের ক্ষেতে
ফিঙের নাচানাচি
দেখতে হলে থাকতে হবে
মাটির কাছাকাছি!
গাঁয়ের ছবি
নূরনবী বেলাল
রং তুলিতে আঁকা যেন
আমার গাঁয়ের ছবি,
কী অপরূপ শোভা ছড়ায়
টুকটুকে লাল রবি।
কলকলিয়ে চলে নদী
ধরলো মাঝি গান
ওই যে দূরের গাঁ দেখা যায়
সুখের পিছুটান।
সবুজ শ্যামল বন-বনানী
বৃক্ষ সারি সারি
রইলো দাওয়াত, আইসো বন্ধু
আমার গাঁয়ের বাড়ি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: