ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নুরুন্নাহার শিরীন

অপেক্ষমাণ বাঙালী...

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ৮ নভেম্বর ২০১৫

অপেক্ষমাণ বাঙালী...

বাংলাদেশ কারও আচমকা ঘোষণার মাধ্যমে স্বাধীন হয়নি, আমরা জানি। একটি সময়োচিত বজ্রকণ্ঠের সঠিক নেতৃত্ব না পেলে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া- সুদূরপরাহত একটি স্বপ্ন হয়েই থাকত আজও। অভিজ্ঞতা থেকেই লেখা। মিছে ইতিহাসের পাতা ঝেটিয়ে সাফ করার সময় হয়েছে আজ। অনেক মিছে ইতিহাস শুনেছে কোমলমতি শিশুরা এই দেশে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পরের সেনাশাসিত দীর্ঘ সময় ধরে। স্কুুলের পাঠ্যবইয়ে বানানো ইতিহাস পড়েছে এ দেশের শিশুরা বহুকাল। যা ছিল চরম কপটচারী স্বৈরাচারের। সেসব কাল বিগত আজ। বাংলাদেশ আজ জগতে সুপরিচিত একটি দেশ- বঙ্গবন্ধুকন্যার পরিচালনায়। অনেক সাধের এই বাংলাদেশে আজ কাদের কোপ মারার সাধ? মাঝে মাঝেই কোপ মারছে মুক্তমনা লিখিয়েদের ঘাড়ে? অথচ তবু এই যে আজ মারার পরেও মানুষ ভীত না হয়ে প্রতিবাদে নামছে পথে- মানুষ হাত উঁচিয়ে সেøাগানমুখর রাজপথে, অনেকে মৌন মিছিলে-প্ল্যাকার্ড উঁচিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে বীর বাঙালী, স্বত্বাধিকারী তারাই। যে বীর বাঙালী ভুয়া বা ভূঁইফোড় না। তারাই বঙ্গবন্ধুর নিখাঁদ অনুসারীর দল- হাসতে হাসতে মরতে জানা বাঙালী জাতি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আজ তেমন বীর বাঙালীদের নেত্রী। বাংলাদেশের দৃঢ়চিত্ত প্রধানমন্ত্রী। বহু বিরূপ সমালোচনা, বহুল ষড়যন্ত্রের মুখেও ধৈর্যের উদাহরণ। বসে আছেন গ্রেনেডসম গদিতে। এত কুটিলতার মোকাবেলা করেই তিনি সফল নেতৃত্বের উদাহরণ আজ। হাজারও ষড়যন্ত্রের পর টিকে আছেন- একজন হার না মানা নেত্রী হিসেবে- একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের উচিত বিচারিক রায়ের প্রক্রিয়া কার্যকর করার আইনী ধারামতে এগিয়ে যেতে কঠিন, অবিচল। তাই তো সামান্য লিখিয়ে মানুষ হলেও আমরাও সাহসে ধরি কলম- পজিটিভলি দেখতে চাই সব অবিচারিক ঘটনাবলী- অস্বাভাবিক মরণগুলো- কেননা- আমরা আস্থাবান, বিবেকবান স্বাভাবিক মানুষ। বারংবার বাংলাদেশকে বিশ্বে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশে পরিণত করতে না চাওয়া মানুষ। তাই আমরা পজিটিভ ধারণা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া মানুষরূপে বাঁচতে চাই বলেই আস্থা রাখতে চাই বঙ্গবন্ধুকন্যার পরিচালিত আজকের বাংলাদেশের নেতৃত্বের ওপর। তিনি না হলে আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে এত গুরুত্ব পেত না। তিনি না হলে বাংলাদেশে আজ সাকা-মুজাহিদরা বিচারিক রায়ের মুখোমুখি কাঠগড়ায় দাঁড়াত না। এসব সহজ সত্য বুঝতে না পারার কথা না- যদি না আমরা হই বুঝেও না বোঝা- চরম দলকানা। যারা কোনকালে বোঝেনি। তারা কপটচারী বলেই কোনদিন বুঝবে না- বাংলাদেশ আজ কি করে আজকের বাংলাদেশে পরিণত। তাই তো বলি- বোঝার প্রশ্ন আসে না যাদের বেলায়- আমরা কি জানি না- ওরাই মরিয়া আজ? তাহলে কেন অযথা পুলিশ-ফুলিশ, এ্যামনেস্টি, আইএস ওসব ন্যাস্টি বিষয়ে মাথা ঘামিয়ে বেহুদা সময় অপচয়? আমরা যদি সবাই সম্মিলিতভাবেই একতাবদ্ধ ওইসব মরিয়র বিরুদ্ধে দাঁড়াই- কলম চালিয়ে যাই- ভীত না হই নেগেটিভ সমালোচনা না করে পজিটিভলি ধারণা নিয়ে এগিয়ে চলি- ওরা কি আমাদের সবার ঘাড়ে কোপের পরে কুপিয়ে পালাতে পারবে? পালাবে কোথায়? ওরা কি অদৃশ্য কোন ভূতপ্রেত? ওরা কি উপরঅলা প্রেরিত জিন? আজরাইল? আজ সময় হয়েছে বোঝার। আজ সময় হয়েছে মরিয়াদের মোকাবেলার। দেখেছি ঢের অনেক বয়স পেয়েই। তাই বুঝেছি- কারা এ দেশে আজও মরিয়া খুনে রাঙায় হাত। কাঁপে না এতটুকু কাদের হাত মানুষ খুন করতে। কোপ বসাতে। ওরা সবসময় ওঁৎ পেতেই ছিল আগেও। এখনও আছেই। তা থাকুক। বিচার শেষ না হওয়া তক ওদের খুনখারাবি মাঝে মাঝেই ভয় দেখাবে। কিন্তু এ দেশে মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। মসজিদেও ওরা চরম অনাচার ঘটিয়ে ছাড়ে। তো, আজ পাবলিকের মাইর খাওয়া কপালে লেখা তাদের। দিব্যচোখে যাদের চোখ দেখতে পায় পজিটিভলি ভবিষ্যত বাংলাদেশ তারা দেখছে- সুদিন আসছে... আসবেই। সেদিন কোপ মারা দলের হার হবেই হবে। পালিয়ে পার পাবে না পাপাচারী। তেমন সুদিন দেখব বলে- আমরা অপেক্ষমাণ আজও।
×