ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাক্সবন্দী যন্ত্রপাতি

বাঘার হাসপাতালে এ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক নেই

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ৮ নভেম্বর ২০১৫

বাঘার হাসপাতালে এ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক নেই

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর বাঘা উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারী হাসপাতালে এ্যানেসথেসিয়া চিকৎসক না থাকায় কোন কাজে আসছে না অপারেশনের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। দীর্ঘদিন ধরে অনেক যন্ত্রপাতি বাক্সবন্দী করে রাখা হয়েছে। ফলে ছোটখাটো অস্ত্রোপচার করাতেও রোগীদের ছুটতে হচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিক অথবা রাজশাহী শহরে। এ নিয়ে রোগীদের হতাশা বাড়লেও কর্তৃপক্ষ চিকিৎসক নিযুক্ত করছে না। হাসপাতাল সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এ হাসপাতলে কোন অজ্ঞান করার চিকিৎসক (এ্যানেসথেসিয়া) নেই। অথচ হাসপাতালের অপরেশনের যন্ত্রপাতি ও সার্জন সবই আছে। স্থানীয় মজিবর রহমান নামের এক রোগী বলেন, এ হাসপাতালে ছোটখাটো অপারেশনও হয় না। কোন সমস্যা হলেই যেতে বলা হয় বাইরের ক্লিনিক অথবা ৫০ কিলোমিটার দূরের শহর রাজশাহীতে। কিন্তু উপজেলার অনেক রোগী জেলা শহরে যাওয়ার মতো অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন না। এতে তারা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। রোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটি হাসপাতাল নয়, যেন কয়েক পল্লী চিকিৎসক বসেন এখানে। পল্লী চিকিৎসকরাও কখনও কখনও ছুরি চালিয়ে ছোটখাটো অস্ত্রোপচার করে। কিন্তু এখানে তাও হয় না। অন্যদিকে হাসপাতালে পানি সরবরাহ যথাযথ না থাকায় রোগীর স্বজনদের বাইরে থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয়। এতেও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এছাড়াও তেল সরবরাহ না থাকায় জেনারেটর ও এ্যাম্বুলেন্স চালানো হচ্ছে না। ফলে বিদ্যুত চলে গেলে রোগীদের অন্ধকারে থাকতে হয়। আবার মুমূর্ষু রোগীদের দ্রুত জেলা শহরের হাসপাতালেও পাঠাতে হচ্ছে বাইরের ভাড়া করা মাইক্রোবাসে করে। এতে করে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে রোগীদের। হাসপাতালের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার লিখেও কোন প্রতিকার হয়নি। তবে ওষুধ সরবরাহ ও খাদ্যের মান ভাল আছে। অন্য সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে দাবি করেন তিনি। কুমিল্লায় সচিবের গাড়ি থেকে ফেনসিডিল উদ্ধার চালক আটক নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ৭ নবেম্বর ॥ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আবদুল্লাহ হাক্কানীর ব্যক্তিগত গাড়ি তল্লাশি করে ৩শ’ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা এলাকায় শনিবার অভিযান চালিয়ে হাইওয়ে পুলিশ এ ফেনসিডিল উদ্ধার করে চালক আবুল বাশারকে আটক করে। চান্দিনা থানা ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের টহল দল চান্দিনার মাধাইয়া এলাকা থেকে ঢাকাগামী ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়’ স্টিকার সংবলিত একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ-৩৭-০৩৬৮) থামানোর সঙ্কেত দেয়। এ সময় গাড়িচালক পুলিশের সঙ্কেত উপক্ষো করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশের অপর একটি দল মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে মহাসড়কের ঘাদঘর এলাকায় ব্যারিকেড দেয়। এ সময় বাহার পালিয়ে যায়। পুলিশ গাড়িটি আটক করে এতে তল্লাশি করে তিন শ’ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে এবং চালক আবুল বাশারকে গ্রেফতার করে। এছাড়া গাড়িতে থাকা ওই সিনিয়র সহকারী সচিবের সিল ও ভিজিটিং কার্ড জব্দ করা হয়। আটক চালক বাশার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে।
×