ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রূপগঞ্জে বাড়িঘর ভাংচুর, লুট

বরিশাল ও কুমিল্লায় আওয়ামী লীগে সংঘর্ষ ॥ আহত ১৮

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ৮ নভেম্বর ২০১৫

বরিশাল ও কুমিল্লায় আওয়ামী লীগে সংঘর্ষ ॥ আহত ১৮

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বরিশাল ও কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে আহত হয়েছে ১৮ জন। অপরদিকে রূপগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটসহ আহত হয়েছে ২০ জন। স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর : বরিশাল ॥ আসছে পৌর নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বিষয়ের জের ধরে জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা সদরে শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। সাবেক সংসদ সদস্য পারভিন তালুকদার ও পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়ার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পারভিন তালুকদার বলেন, দীর্ঘদিন পর তিনি এলাকায় ফিরে শনিবার দুপুরে স্থানীয় ডাকবাংলোতে অবস্থান করেন। এ সময় তার সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সৌজন্য সাক্ষাত করতে আসে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন ডাকুয়ার সমর্থকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হামলায় যুবলীগের বিক্রম শিল, রাসেল আহমেদসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া বলেন, তিনি হামলা বা সংষর্ষের বিষয়ে অবগত নন। কুমিল্লা ॥ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে টেঁটাবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে আটজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জেলার তিতাস উপজেলার কলাকান্দি বাজারে। আওয়ামী লীগ নেতা নাছির গ্রুপের সঙ্গে যুবলীগ নেতা ইব্রাহিম গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। খবর পেয়ে তিতাস থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছর যাবত কলাকান্দি বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নাছির উদ্দিন ও হাবিবুল্লাহ বাহারের সঙ্গে স্থানীয় যুবলীগ নেতা ইব্রাহিম গ্রুপের সংঘর্ষ, হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত বছরের নবেম্বরে ইব্রাহিম গ্রুপের সেন্টু ও চলতি বছরের মে মাসে নাছির গ্রুপের শাহ আলম খুন হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে নাছির গ্রুপের আউয়াল কলাকান্দি বাজারে গেলে ইব্রাহিম গ্রুপের সন্ত্রাসীরা তাকে আটকে বেধড়ক মারধর করে এবং মোনায়েমের দোকানে লুটপাট চালায়। মোনায়েমের স্ত্রী বিউটি বেগম জানান, ঘটনা চলাকালে বাধা দিলে তাকে মারধর করে আহত করা হয় এবং তার গলা থেকে স্বর্ণের চেন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় টেঁটাবিদ্ধ হন আউয়াল, রহিম মিয়া, আপন, মোনায়েম। রূপগঞ্জ ॥ রূপগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারী ও শিশুসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এ সময় এক পক্ষ আরেক পক্ষের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভিংরাব এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ভিংরাব এলাকার রাকিব মিয়ার সঙ্গে তার চাচা মনু মিয়ার বাকবিত-া হয়। একপর্যায়ে উভয় পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত ৯টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন চাপাতি, দা, লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
×