ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ব শৃঙ্খলার প্রতি হুমকি রাশিয়া ও চীন

প্রকাশিত: ০৬:১০, ৯ নভেম্বর ২০১৫

বিশ্ব শৃঙ্খলার প্রতি হুমকি রাশিয়া ও চীন

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ্যাশ কার্টার শনিবার রাশিয়াকে অভিযুক্ত করে বলেছেন, দেশটি বিশ্ব শৃঙ্খলার প্রতি বিপজ্জনক হয়ে দেখা দিয়েছে। রাশিয়ার ইউক্রেন হামলা এবং পরমাণু অস্ত্রের ব্যাপারে লাগামহীন কথাবার্তার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর রাশিয়াকে আগ্রাসী তৎপরতা থেকে নিবৃত্ত করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগীদের রক্ষার জন্য গঠনমূলক উপায় খুঁজছে। খবর ওয়েবসাইটের। কার্টার আট দিনের এশিয়া সফর শেষে রোনাল্ড রিগান প্রেসিডেন্ট সিয়াল লাইব্রেরীতে ভাষণ দানকালে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও সামরিক শক্তির ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কিন্তু রাশিয়ার জন্য অদিকতর কঠিন শব্দ প্রয়োগ করেন তিনি। তিনি বলেন, রাশিয়া সাগরে, আকাশে, মহাকাশে ও সাইবার স্পেসে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, অত্যন্ত উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, কৌশলগত স্থিতিশীলতার প্রতি রুশ নেতাদের প্রতিশ্রুতি, পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রচলিত রীতিনীতির প্রতি তাদের সম্মান রয়েছে কি না এসব বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মস্কোর পরমাণু শক্তি প্রয়োগের আস্ফালনেই এসব প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা রাশিয়ার সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধ চাই না। রাশিয়াকে বৈরী বানাতে চাই না আমরা। কিন্তু কোন ভুল করতে চাই না আমরা। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের স্বার্থ দেখবে আমাদের সহযোগীদের রক্ষা করবে এবং আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা ও ইতিবাচক ভবিষ্যত রক্ষা করবে। কার্টারের এ মন্তব্যের প্রেক্ষাপটের বাস্তবতা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আজ দেখছে, রাশিয়া নিজেকে কর্তৃত্বের অবস্থানে নিয়ে গেছে। এবং চীন সমুদ্রে তার নিজস্ব জলসীমার বাইরে সামরিক প্রভাব সম্প্রসারণ করছে। এ প্রবণতা আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্ব এবং বিশ্ব শৃঙ্খলা রক্ষায় এর নেতৃত্বের এক পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কার্টার আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা রক্ষার কয়েকটি স্তম্ভ উল্লেখ করে বলেন, এগুলো রক্ষা এবং শক্তিশালী করতে হবে। এ স্তম্ভগুলো হচ্ছে, বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান, দমনমূলক কর্মকা- থেকে মুক্তি, রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের প্রতি মর্যাদা ও নৌ-চলাচালের স্বাধীনতা। তিনি বলেন, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মতো সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো অবশ্যই আমাদের মূল্যবোধের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে পুরোপুরি। কিন্তু অন্য চ্যালেঞ্জগুলো আরও জটিল। তিনি বলেন, অবশ্য রাশিয়া বা চীন সে শৃঙ্খলা নস্যাত করতে পারে না। কিন্তু দুটি দেশই সেই শৃঙ্খলার জন্য বিপদের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। তিনি ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে গোলযোগ সৃষ্টির জন্য রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, রাশিয়া ইউরোপে ইউক্রেন ও জর্জিযাতে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে এবং বাল্টিক অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোর প্রতি ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টা করছে সক্রিয়ভাবে। কার্টার স্পষ্ট করে বলেন যে, নিরাপত্তা হুমকির বিষয়ে ওয়াশিংটনের উদ্বেগের জন্য রাশিয়ার ভূমিকা রয়েছে সর্বাগ্রে। প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের শাসনাধীন রাশিয়া আর্কটিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ করছে যুক্তরাষ্ট্রকে। মস্কো গত বছর বলেছে, সে আর্কটিক উপকূল রেখায় সাবেক সোভিয়েত যুগের ১০টি সামরিক ঘাঁটি আবারও খুলবে।
×