ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করতে চাই ॥ সরদার রোকন

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ৯ নভেম্বর ২০১৫

দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করতে চাই ॥ সরদার রোকন

এই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় নাট্যনির্মাতা সরদার রোকন। ধারাবাহিক এবং খ- নাটক নির্মাণ করে দর্শকদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। প্রচারবিমুখ এই নির্মাতা ইতোমধ্যে ৪০টির মতো নাটক নির্মাণ করেছেন। নাটক নির্মাণের পাশাপাশি নাট্যশিল্পী তৈরির চেষ্টা করেন। গুণী এই নির্মাতার সাম্প্রতিক ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। আপনার সাম্প্রতিক ব্যস্ততা প্রসঙ্গে জানতে চাই? সরদার রোকন : কয়েকটি নাটকে কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি। এর মধ্যে চলতি মাসে ‘আলোছায়া’ নামে নতুন একটি ধারাবাহিক নাটক এবং কয়েকটি খ- নাটকের কাজ করব। এই নাটকের স্ক্রিপ্ট এবং প্রি-প্রোডাকশনের কাজ করছি। সাম্প্রতিক সময়ে মিডিয়ায় শিল্পী সঙ্কটে ভুগছেন নির্মাতারা, আপনার মন্তব্য কি? সরদার রোকন : কথাটা সত্য। আমাদের দেশে যে হারে চ্যানেল বাড়ছে সেই হারে শিল্পী তৈরি হচ্ছে না। এ জন্য সিনিয়র শিল্পীর কাছেই ধর্ণা দিতে হয়। তাদের সিডিউল পাওয়া কষ্ট হয়ে দাঁড়ায়। তাই এই গ্যাপ পূরণে নির্মাতাদেরই এগিয়ে আসতে হবে। সেই লক্ষ্যে নতুনদের সুযোগ দেয়া চেষ্টা করি। আমি মনে করি নতুনদের সুযোগ দিলে তারাও এক সময় ভালো কাজ করবে। আপনার পরিচালিত নাটকের বিষয়ে জানতে চাই। সরদার রোকন : আমি এ পর্যন্ত ৩১টি খ- নাটক এবং চারটি ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করেছি। ২০১২ সালে প্রথম এককভাবে নাটক পরিচালনা করি। প্রথম নাটক ছিল ‘ছেড়া রঙ্গের খোয়াব’। নাটকটি ২০১২ সালে চারুনীড়ম কর্তৃক শ্রেষ্ঠ নাটক বিবেচিত হয়েছিল। এছাড়া ধারাবাহিক ‘চেয়ারম্যান বাড়ি’ বৈশাখী টিভিতে, ‘দশ ফিট বাই দশ ফিট’ একুশে টিভিতে এবং ‘বাজি ও বাজনা’ বিটিভিতে প্রচার হয়। খ- নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘বৈরি হাওয়া’, ‘ভালবাসার সুখ অসুখ’, ‘নীলিমার রূপকথা’, ‘লুকোচুরি’, ‘ললাট’, ‘যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমির চাঁদ’, ‘ছয় নয়’, ‘করিও চাঁদের টিপ’ প্রভৃতি। আপনার ছোটবেলা নিয়ে জানতে চাই? সরদার রোকন : দেশের উত্তরবঙ্গে অন্যতম অবহেলিত এলাকা কুড়িগ্রামের উলিপুরে আমার জন্ম। ছোটবেলা থেকেই সংস্কৃতি অঙ্গনে যুক্ত ছিলাম। বিশেষ করে উদীচীর স্থানীয় শাখার সঙ্গে যুক্ত থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। এছাড়া স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছি। তবে ছোটবেলা থেকেই জাতীয়ভাবে কিছু একটা করার স্বপ্ন লালন করতাম। বিশেষ করে পরিচালক হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। ঢাকায় কবে কাজ শুরু করলেন? সরদার রোকন : ১৯৯৯ সালে ঢাকায় আসি। সে সময় দেশের গুণী অভিনেতা পরিচালক শহিদুজ্জামান সেলিমের সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করি। এভাবেই কেটে গেছে ১১ বছর। সেলিম ভাইয়ের সঙ্গে অনেক ভাল কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে দর্শকদের চাহিদা অনুযায়ী নাটক নির্মাণের চেষ্টা করি। আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি? সরদার রোকন : আরও ভাল ভাল কাজ করতে চাই। নাটক, টেলিফিল্মের পাশাপাশি ভাল চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করতে চাই। নতুনদের সুযোগ দেয়ার মাধ্যমে শিল্পী সঙ্কট নিরসনে ভূমিকা রাখতে চাই। এই তো। -সাজু আহমেদ
×