ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সাকিবের পরিবর্তে বিজয়

আরও সংবাদ

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ৯ নভেম্বর ২০১৫

আরও সংবাদ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে ১৮ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াডে ছিলেন এনামুল হক বিজয়। সৌম্য সরকার ইনজুরিতে পড়ার পরও চূড়ান্ত দলে সুযোগ পাননি। কিন্তু ভাগ্যে থাকলে ঠেকায় কে? শেষপর্যন্ত সাকিব আল হাসানকে সিরিজ থেকে সরিয়ে নেয়ায় বিজয় চূড়ান্ত দলে থাকার সুযোগ পেয়ে গেলেন। জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে সিরিজে আর খেলা হচ্ছে না সাকিবের। বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডারকে পারিবারিক প্রয়োজনে রবিবার রাতেই উড়ে যেতে হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে আছেন তার প্রথম সন্তানসম্ভবা স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির। প্রথম সন্তানের অপেক্ষায় আছেন এই জুটি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে জানানো হয়েছে, সাকিবকে ছাড় দেয়া হয়েছে। জরুরী পারিবারিক প্রয়োজনে জিম্বাবুইয়ে সিরিজে আর থাকছে না সাকিব। রাতেই (রবিবার) যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাবে সাকিব। তার পরিবর্তে এনামুল হক বিজয়কে নেয়া হয়েছে। সাকিবের প্রথম সন্তান হবে। তার জন্য রইল শুভ কামনা। শনিবার প্রথম ওয়ানডেতে ৫ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পেয়েছেন ৫ উইকেট। ওই ম্যাচেও হয়তো খেলা হতো না সাকিবের। তিনি তো যুক্তরাষ্ট্রেই ছিলেন বিসিবির কাছ থেকে ছুটি নিয়ে। কিন্তু স্ত্রী শিশিরও একরকম জোর করে দেশের পক্ষে খেলতে পাঠান সাকিবকে। আর সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেই দারুণ সাফল্য সাকিবের। সাকিব বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। শিকার সংখ্যা ২০৬। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি আব্দুর রাজ্জাক। তার শিকার ২০৭ উইকেট। সিরিজটা খেললে আর দুই উইকেট পেলে সাকিব হয়ে যেতে পারতেন বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। কিন্তু তার অপেক্ষা বাড়ল। আপাতত দেশের দায়িত্ব নয়, পরিবারের দায়িত্বই পালন করা বেশি জরুরী সাকিবের জন্য। পৃথিবীতে আসার অপেক্ষায় আছে তার কন্যাসন্তান। তাই সাকিব সিরিজ খেলতে পারছেন না। যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। তার পরিবর্তে বিজয়কে নেয়া হয়েছে। তবু দুশ্চিন্তায় বিরাট কোহলি স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মাত্র আড়াই দিনেই মোহালি টেস্টে ১০৮ রানের বড় জয়ে চার ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেছে ভারত। ওয়ানডে-টি২০ সিরিজ হারের পর এত সহজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাবু করা যাবেÑ সেটা অনেকেই ভাবেননি। মূলত রবিন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন আশ্বিন, অমিত মিশ্রদের স্পিনজাদুর ওপর ভর করে দারুণ শুরু স্বাগতিকদের। তবু সন্তুষ্ট নন সেনাপতি বিরাট কোহলি। নিজ দলের ব্যাটসম্যানদের অল্প রানে সাজঘরে ফেরাটাই ভারত অধিনায়কের যত দুশ্চিন্তার কারণ। ‘স্পিনের বিপক্ষে আমরা যে খুব একটা ভাল ব্যাটিং করিনি, সেটা স্বীকার করছি। শ্রীলঙ্কা সফরে গল টেস্টেও এমন হয়েছিল। একটা ভাল পার্টনারশিপ গড়তে পারছি না। ঘন ঘন উইকেট পড়ছে, যা আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে। এদিকে অবশ্যই বাড়তি নজর দিতে হবে।’ ২০১ ও ২০০ রানে অলআউট হয় ভারত। প্রথম ইনিংসে ১৮৪ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে লজ্জাজনকভাবে হারে র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন রবিন্দ্র জাদেজা। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের আটজন ব্যাটসম্যানই প্রোটিয়াদের স্পিনে আউট হন। অজিঙ্কা রাহানে, চেতেশ্বর পুজারা, মুরলি বিজয়ের মতো সুপার ব্যাটসম্যানরা স্পিনের কাছে নতিস্বীকার করেন। এভাবে চলতে থাকলে সামনে বড় বিপদ হতে পারে বলে মনে করেন কোহলি। তরুণ অধিনায়ক বলেন, ‘চিন্তার কারণ অবশ্যই রয়েছে। আমাদের সবসময় স্পিন মোকাবিলা করার ব্যাপারে সুনাম রয়েছে। এটাই হয়ত চাপ হয়ে দাঁড়ায়। আসল কারণটা হলো সম্প্রতি মুরলি, পুজারা, জাদেজা ছাড়া আর কেউই প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলেনি। দুই বছর ধরে ঘরের মাটিতে টার্নিং উইকেটে খেলা হয়নি। বেশিরভাগ সময় বিদেশে খেলেছি। সেজন্যই হয়ত এমন হয়েছে। তবে এ সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে হবে।’ তবু ঘরের মাটিতে স্পিন সহায়ক পিচই চায় ভারত। কোহলি যোগ করেন, ‘ইংল্যান্ডে আমরা হেরে গেলে কেউই উইকেটের কথা বলেন না। প্রোটিয়ারাও বলছে স্পিনের বিপক্ষে ওরা ভাল ব্যাট করেনি, সেখানে অযথা উইকেটের দোষ দিয়ে লাভ কী। স্পিনই যে চালকের ভূমিকায় সেটি স্বীকার করে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক হাশিম আমলা বলেন, ‘আমাদের বিশ্বমানের ব্যাটসম্যানও ভারতীয় স্পিনের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেনি। এটাই হারের কারণ। জয়ের জন্য দুই শ’ রানের টার্গেটে নেমে এক শ’তে গুটিয়ে যাওয়া মোটেই কাম্য নয়। পিচ যেমনই হোক এমন ব্যাটিং ব্যর্থতা হতাশাজনক।’ নিজেদের মাটিতে কেমন উইকেট হবে সে প্রসঙ্গে স্বাগতিক অধিনায়ক কোহলি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের দেশে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো উইকেট বানাতে গেলে হয় না, সেটা পাটা হয়ে যায়। কিন্তু এ রকম উইকেট বানিয়ে যদি রেজাল্ট পাওয়া যায়, তবে এটাই ঠিক আছে। ঘরের মাটিতে সবসময় আমি টার্নিং ট্র্যাকেই খেলতে চাইব।’ ব্যাঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। বেয়ার্ন মিউনিখের জয়রথ চলছেই স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মৌসুমের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলছে বেয়ার্ন মিউনিখ। প্রথম দশ ম্যাচের টানা জয়ের স্বাদ পায় তারা। কিন্তু এর পরের ম্যাচ ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষেই হোঁচট খায় পেপ গার্ডিওলার দল। তবে সেই ড্রয়ের পর আবারও দাপুটে জয় দিয়েই স্বরূপে ফিরল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। শনিবার জার্মান জায়ান্ট বেয়ার্ন মিউনিখ ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় স্টুটগার্টকে। এর ফলে টানা ১২ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়ল বুন্দেসলিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এ্যালিয়াঞ্জ এ্যারেনায় শনিবার বেয়ার্নের আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করে স্টুটগার্ট। খেলা শুরুর ১১ মিনিটেই ব্রাজিলিয়ান তারকা ডগলাস কস্তার পাসে গোলোৎসবের সূচনা করেন আরিয়েন রোবেন। এর সাত মিনিট পর কস্তা নিজেও দারুণ এক গোল করেন। এবং ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। যার নেপথ্য কারিগর জার্মান তারকা টমাস মুলার। এরপরও থামেনি স্বাগতিকদের গোলোৎসব। প্রথমার্ধের ৩৭ মিনিটে গোল করেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রবার্ট লেভানডোস্কি। টমাস মুলারের ক্রস থেকে বল জালে জড়ান তিনি। এর তিন মিনিট পর মুলার নিজেই গোলের খাতায় নাম লেখান। এর ফলে চার গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পেপ গার্ডিওলার শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে স্বাগতিকরা। অপরদিকে, ম্যাচে ফেরার জন্য নিশ্চিত কোন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি স্টুটগার্ট। তবে নিজেদের রক্ষণভাগের শক্তি বাড়ায় সফরকারীরা। যে কারণে প্রথমার্ধে ৪ গোল খাওয়া স্টুটগার্ট দ্বিতীয়ার্ধে আর কোন গোলই নিজেদের জালে জড়ানোর সুযোগ দেননি। তবে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ ঠিকই তৈরি করেছিল বেয়ার্ন। বিশেষ করে রোবেন-ভিদাল-লেভানডোস্কি কয়েকটি সুযোগ মিস না করলে আরও ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত বেয়ার্ন মিউনিখ। স্টুটগার্টের বিপক্ষে সহজ জয়ের ফলে জার্মান বুন্দেসলিগায় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানটাকে আরও সুসংহত করল বেয়ার্ন। ১২ ম্যাচ শেষে ১১ জয় ও এক ড্রয়ে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে অবস্থান করছে তারা। সমানসংখ্যক ম্যাচে মাত্র ১০ পয়েন্ট নিয়ে ১৬ নাম্বারে আছে স্টুটগার্ট। শনিবার পর্যন্ত এক ম্যাচ কম খেলা বরুশিয়া ডর্টমুন্ড দ্বিতীয় স্থানে। তাদের পয়েন্ট সংগ্রহ ২৬। যা বেয়ার্ন মিউনিখের চেয়ে ৮ পয়েন্ট কম। লীগ টেবিলের তিন নাম্বারে থাকা উল্ফসবার্গেল সংগ্রহ ১২ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট। বুন্দেসলিগায় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে যথাক্রমে হার্থা ও শালকে। তাদের দুই দলেরই পয়েন্ট সমান ২০। শুধু মাত্র গোল ব্যবধানে পেছনে থাকার কারণে শালকের আগে অবস্থান করছে হার্থা। আনসার ও রাজবাড়ী চ্যাম্পিয়ন জাতীয় মহিলা ফুটবল ২০১৫ চ্যাম্পিয়নশিপ স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জাতীয় মহিলা ফুটবল ২০১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে আনসার ও রাজবাড়ী। মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুরে আনসার ১২-০ গোলে হারায় খাগড়াছড়ি জেলাকে। আনসার এ্যান্ড ভিডিপির হয়ে হ্যাটট্রিকসহ চার গোল করেন মুনমুন এবং আমরা চিং মারমা। এছাড়াও জোড়া গোল করেন মাইনু মারমা। আনসার এ্যান্ড ভিডিপির হয়ে বাকি দুটি গোল করেন নারগিস আক্তার এবং শাপলা আক্তার। ফরিদপুরে আরেক ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলা। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে রাজবাড়ী জেলা ৩-১ গোলে হারায় স্বাগতিকদের। উল্লেখ্য, নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য ড্র হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। আজ প্রথম টি২০ ॥ ওয়ানডেতেও হোয়াইটওয়াশ উইন্ডিজ স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বৃষ্টিবিঘিœত তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ১৯ রানে হারে ক্যারিবীয়রা। পুনর্নির্ধারিত ৩৬ ওভারে ৯ উইকেটে ২০৬ রানের বড় স্কোরই গড়েছিল জেসন হোল্ডারের দল। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। ৩২.৩ ওভার শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটে ১৮০ রান করলে ফের বৃষ্টি শুরু হয়। ডার্কওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে সহজ জয় পায় এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসবাহিনী। আজ দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি২০তে মুখোমুখি হবে দু’দল। টি২০তে লঙ্কানদের অধিনায়ক অবশ্য লাসিথ মালিঙ্গা। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে খেলা। পরশু শেষ ওয়ানডেতে উইন্ডিজের বড় স্কোরের রূপকার মারলন স্যামুয়েলস। ৯৫ বলে ১৫ চার ও ১ ছক্কায় ১১০ রানে অপরাজিত এক ইনিংস উপহার দেন তিনি। ৬১তম ওয়ানডেতে এটি স্যামুয়েলসের সপ্তম সেঞ্চুরি। এছাড়া কেউ ২০ রানও করতে পারেননি! দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ হোল্ডারের। চার্লস ব্রেথওয়েট করেন ১৮ রান। লঙ্কার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন মালিঙ্গা, সুরাঙ্গা লাকমল, দশমুন্ত চামিরা ও অজন্তা মেন্ডিস। জবাবে শ্রীলঙ্কার হয়ে হাফসেঞ্চুরি হাঁকান ওপেনার কুশল পেরেরা (৫০)। ম্যাথুস অপরাজিত থাকেন ২৭ রানে। ২৩ রান করে আউট হন দীনেশ চান্দিমাল। ২১ রান করে করেন তিলকারতেœ দিলশান আর লাহিরু থিরিমান্নে। উইন্ডিজের হয়ে হোল্ডার নেন ২ উইকেট। যৌথভাবে দ্বিতীয় সিদ্দিকুর স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথম রাউন্ডে চতুর্থ, দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃতীয়, একধাপ করে এগিয়ে তৃতীয় রাউন্ডে দ্বিতীয়। ধারাবাহিকতা মানলে চতুর্থ ও শেষ রাউন্ডে প্রথমই হওয়ার কথা ছিল সিদ্দিকুর রহমানের। কিন্তু না, পারেননি তিনি। দিল্লীতে প্যানাসনিক ওপেন গলফে অল্পের জন্য শিরোপায় চুমু খেতে পারেননি বাংলাদেশের সিদ্দিকুর রহমান। যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে থেকেই মিশন শেষ করেছেন তিনি। ২০১৩ সালে এই ওপেনের শিরোপা জিতে ছিলেন সিদ্দিকুর। এবার জিততে পারলে ক্যারিয়ারে এশিয়ান ট্যুরে জমা হতো তিন শিরোপা। কিন্তু পারলেন না। সিদ্দিকুরকে হতাশ করে শিরোপা জিতেছেন ভারতের চিরাগ কুমার। অথচ চতুর্থ রাউন্ডে এই দু’জনের লড়াইটা হয়েছে বেশ। কিন্তু শেষ হাসিটা হেসেছেন চিরাগই। দিল্লী­গলফ ক্লাবে রবিবার শেষ রাউন্ডের নবম হোল শেষে দুজনেরই ছিল সমান পয়েন্ট। এরপর ১১ ও ১৩ নম্বর হোলে দুটি বার্ডি করে কুমার এগিয়ে গেলেও ১৫ নম্বর হোলে বার্ডি করে ব্যবধান ১ শটে নামিয়ে আনেন সিদ্দিকুর। কিন্তু ১৭ নম্বর হোলে বগি করায় শিরোপা জেতার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় তার। হতাশ এই গলফার শেষ হোলেও করেন বগি। তার টি-শট গিয়ে পড়ে ঝোপে। সব মিলিয়ে পারের চেয়ে মোট ১০ শট কম খেলেন সিদ্দিকুর। দিল্লীর গলফার কুমার খেলেন পারের চেয়ে মোট ১৩ শট কম। চার লাখ মার্কিন ডলার প্রাইজমানির প্রতিযোগিতার শেষ রাউন্ডে হতাশ করেছেন বাংলাদেশের আরেক গলফার জামাল হোসেনও। এই রাউন্ডে পারের চেয়ে পাঁচ শট বেশি খেলেন তিনি। দুটি বার্ডির বিপরীতে চার বোগি ও একটি ট্রিপল বোগি (পারের চেয়ে তিন শট বেশি) করায় যৌথভাবে ২৩তম হয়েছেন জামাল। অথচ তৃতীয় রাউন্ডেই যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছিল জামাল। পিএসজির দাপুটে জয় স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ তারকাদের নৈপুণ্যে ফরাসী লীগ ওয়ানে দাপুটে জয় পেয়েছে প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইন (পিএসজি)। শনিবার টোউলুসকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেয় আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। পিএসজির হয়ে জোড়া গোল করেন জ¬াতান ইব্রাহিমোভিচ। একটি করে গোল করেন এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, লুকাস মাউরা ও ইজিকুয়েল লাভেজ্জি। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থান আরও পাকাপোক্ত করল পিএসজি। ১৩ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে অবস্থান তাদের। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কায়েনের চেয়ে ১১ পয়েন্ট এগিয়ে লরেন্ট ব্লাঙ্কের দল। প্যারিসে ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন আর্জেন্টাইন তারকা ডি মারিয়া। ১৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দলের সেরা স্ট্রাইকার ইব্রাহিমোভিচ। প্রথমার্ধে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা পিএসজি দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিনবার অতিথিদের জালে বল পাঠায়। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ বাছাই ফুটবল খেলতে ১৪ নবেম্বর ঢাকায় আসছে সকারুরা স্পোর্স্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা আগেই নিষ্পত্তি করে দিয়েছিল বিষয়টি। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলতে নির্ধারিত সময়েই বাংলাদেশে আসতে হবে অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দলকে। কিন্তু মাঝে একটু বেঁকে বসে অস্ট্রেলিয়া। দল পাঠানোর আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাচাই করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। রবিবার সেটাও হয়ে গেল। বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আর কোন আপত্তি নেই তাদের। বরং বেশ সন্তুষ্ট বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থানরত অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক কমিটি। রবিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হয় অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ফুটবল দলের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক কমিটি। উপস্থিত ছিল বাংলাদেশে ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারাও। সভা শেষে বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি দল। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও সাংবাদিকদের কাছে একই কথা বলেন। অস্ট্রেলিয় ফুটবল দলের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মার্ক ফালিবার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে মার্ক সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সন্তোষজনক।’ এ সময় অস্ট্রেলিয়া ফুটবলের নিরাপত্তা কর্মকর্তা লিয়াম রায়ামও উপস্থিত ছিলেন। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অস্ট্রেলিয় দলের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তারা আমাদের পদক্ষেপে সন্তুষ্ট।’ সম্প্রতি নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশ সফর বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। তারই জের ধরে বেঁকে বসে অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল দলও। শুধু তাই নয়, ফিফা এবং এএফসির কাছে বাংলাদেশে না খেলার জন্য আবেদনও করে তারা। কিন্তু ফিফা তাদের এ রকম প্রস্তাবকে নাকচ করে দিয়েছেন আগে। তাই অস্ট্রেলিয়াকে বাংলাদেশে খেলতে বাধ্যবাধকতা দিয়েছে ফিফা। আগামী ১৭ নবেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়ার কথা তাদের। এতদিন তা সংশয় থাকলেও এখন আর তা রইল না। বরং সঠিক সময়েই অস্ট্রেলিয়া দল আসছে। সূচী অনুযায়ী আগামী ১৪ নবেম্বর ঢাকায় পা রাখার কথা সকারুদের। তার তিনদিন পরই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এমিলি-মামুলনুলদের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দল।
×