ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

প্যারিস মাস্টার্সেও চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ

প্রকাশিত: ০৩:১৫, ৯ নভেম্বর ২০১৫

প্যারিস মাস্টার্সেও চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবিশ্বাস্য এক মৌসুম কাটালেন নোভাক জোকোভিচ। রোববার শেষটাও দারুণভাবে উপভোগ করলেন তিনি। পুরোনো প্রতিদ্বন্দ্বি এ্যান্ডি মারেকে ফাইনালে ৬-২ এবং ৬-৪ গেমে সরাসরি সেটে পরাজিত করে প্যারিস মাস্টার্সের শিরোপা জিতেছেন বিশ্বের এক নাম্বার তারকা নোভাক জোকোভিচ। এর মাধ্যমে ২৮ বছর বয়সী এই সার্বিয়ান তারকা ক্যারিয়ারের অন্যতম সফল একটি বছর শেষ করলেন। এ কারণেই ক্যারিয়ারের শীর্ষ পর্যায়ে থাকার দাবী করে জোকোভিচ জানিয়ে দিয়েছেন সামনে আরও এগিয়ে যাবার সময় অপেক্ষা করছে তার। এই টুর্ণামেন্টটিকে এটিপির নিয়মিত মৌসুমের শেষ টুর্ণামেন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর এখানে জয়ের মাধ্যমেই জোকোভিচ রেকর্ড বইয়ে নিজের নাম অন্তর্ভূক্ত করলেন। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে একই বছর তিনটি গ্র্যান্ড সøামের শিরোপার সাথে ছয়টি মাস্টার্স শিরোপার গর্বিত মালিক এখন তিনি। প্রথম খেলোয়াড় যিনি নয়টি মাস্টার্স সিরিজের আটটিরই ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেন বিশ্ব টেনিস র‌্যাংকিংয়ের নাম্বার ওয়ান এই তারকা। একই বছর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা ১৪টি টুর্ণামেন্টের ফাইনালে খেলার রেকর্ডও এখন তার দখলে। সব মিলিয়ে জোকোভিচের জয় পরাজয়ের অনুপাত ৭৮:৫। প্রকৃতপক্ষে একজন খেলোয়াড়ের জন্য এর চেয়ে সফল আর মৌসুম হতে পারে না। এখন শুধু বাকি রয়েছে রড লেভার, রজার ফেদেরার, পিট সাম্প্রাসের মত কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের সাথে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নিজের নাম যোগ করা। তবে তাদের ধারেকাছে ইতোমধ্যেই অনেকখানি পৌঁছে গেছেন সার্বিয়ান তারকা। রবিবার প্যারিস মাস্টার্সের শিরোপা জিতে আনন্দে-উদ্বেলিত জোকোভিচ। মারেকে ফাইনালে হারানোর পর তার সাফল্যের কারণও জানিয়েছেন জোকোভিচ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি চলতি বছর ক্যারিয়ারের শীর্ষে পৌঁছানোর পিছনে অনেকগুলো কারন রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো শারিরীক ও মানসিক ভাবে নিজেকে অনেক বেশী পরিনত অনুভব করেছি। অবশ্যই আমারও ক্যারিয়ারে বাজে সময় এসেছে যা থেকে আমি শিক্ষা নিয়েছি। কিভাবে নিজের উন্নতি করা যায়, আরও ভাল খেলা যায় এসবই আমি শেখার চেষ্টা করেছি। আর তারই ফল এই বছর পেয়েছি। আমি বিবাহিত এবং আমার সন্তান রয়েছে। আমি মনে করি ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনের মধ্যে আমি এমনভাবে ভারসাম্য রক্ষা করার চেষ্টা করেছি যাতে করে নিজেকে এগিয়ে নিতে পারি। ভবিষ্যতে আরও ভাল করার জন্য এখন আমি অনেক বেশী বদ্ধপরিকর। কেউই শতভাগ সঠিক নয়, কিন্তু পূর্নতার দিকে লক্ষ্যস্থির করলে একসময় তা আসবেই। প্রতিটি দিনই এজন্য লক্ষ্য পূরণের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
×