ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এ ধারায় নিষ্পত্তি করা গেলে দেশে আর মামলা জট থাকবে না

রাজন-রাকিব হত্যা মামলার রায় দ্রুত বিচারে মাইলফলক

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১০ নভেম্বর ২০১৫

রাজন-রাকিব হত্যা মামলার রায় দ্রুত বিচারে মাইলফলক

আরাফাত মুন্না ॥ দেশের বিচার বিভাগে রয়েছে পাহাড় পরিমাণ মামলার জট। প্রতিদিনই বিচার বিভাগের কাঁধে চাপছে নতুন মামলা। ঠিক সেই সময়েই সিলেট ও খুলনার দুই বিচারক দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির নজির স্থাপন করলেন। সিলেটের চাঞ্চল্যকর শিশু রাজন হত্যা মামলার বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া পর নিষ্পত্তি হতে লেগেছে মাত্র ১৭ কার্যদিবস। আর ১০ কার্যদিবসেই নিষ্পত্তি হয়েছে খুলনার আলোচিত শিশু রাকিব হত্যা মামলা। রবিবার একই দিনে এই দুই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রায় হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাঞ্চল্যকর এই দুই মামলার রায় বিচার বিভাগের জন্য ‘মাইলফলক’। শিশু রাজন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা এবং শিশু রাকিব হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিলরুবা সুলতানা। দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় আদালত ও সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। তারা বলেছেন, রায়টি বিচার বিভাগের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। তারা আরও বলেন, এই দুই মামলার মতো যদি সব মামলাই নিষ্পত্তি হয় তাহলে দেশে আর কোন মামলা জট থাকবে না। এ দুটি মামলার দৃষ্টান্ত রেখেই দীর্ঘদিন বিচারাধীন থাকা মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করার জোর দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। এই মামলা দুটি দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়ার পেছনে গণমাধ্যমের ভূমিকারও প্রশংসা করেছেন অনেকে। জানা গেছে, শিশু রাজন ও রাকিবের হত্যাকা-ের ঘটনার পর আইন বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক মামলা দুটি নিয়ে তৎপরতা শুরু করেন। তিনি এই দুই মামলায় যথাযথভাবে আইনী লড়াই চালিয়ে যেতে প্রসিকিউশনকে নির্দেশ দেন। রাজন ও রাকিব হত্যার মামলা দুটি করা হয়েছিল দ্রুত বিচার আইনে। প্রচলিত আইনে দ্রুত সময়ের মধ্যে গুরুতর অপরাধগুলোর বিচার শেষ করতে সরকার ২০০২ সালে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করে। গত ১৩ বছরে এ আইনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা নিষ্পত্তি হলেও স্বল্প সময়ে কোন মামলার নিষ্পত্তি এই দুই মামলাই প্রথম। জানা গেছে, উচ্চ আদালতে স্থগিতাদেশ থাকায় দ্রুত বিচার আইনে করা একাধিক মামলার কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকার ও আদালত আন্তরিক হলে যে কোন মামলা দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি করা সম্ভব। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জনকণ্ঠকে বলেন, জনগণের প্রতি আমার সবচেয়ে বড় কর্তব্য হচ্ছে বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনা। তিনি বলেন, রাজন ও রাকিবের হত্যাকারীদের মতো ঘৃণিত অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে অপরাধ দমনের ব্যবস্থা করাও আমার দায়িত্ব। এ জন্য যা করা প্রয়োজন আমি করব। আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন এই দুই মামলায় প্রসিকিউশনের মাধ্যমে সকল বিচারিক, আইনানুগ পন্থা মেনে বিচার দ্রুত সমাপ্তির ব্যবস্থা করেছিলাম। এর মাধ্যমে অন্তত আমি একটা দৃষ্টান্ত রাখতে পেরেছি যে, সকলের সদিচ্ছা থাকলেই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে মামলার বিচার কার্য যাতে যথাসময়ে সম্পন্ন করা যায় সেই চেষ্টাই করব বলেও মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী। সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, রাজন ও রাকিব হত্যা মামলা দুটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারের মানদ- সঠিক রেখেই রায় দেয়া হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষ আন্তরিক হলেই মামলা দ্রুত বিচার করা সম্ভব। এ দুটি মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকার ও আসামিপক্ষ অত্যন্ত আন্তরিক ছিল। আদালতও সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করেই রায় দিয়েছেন। এভাবেই সব চাঞ্চল্যকর মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, দ্রুত সময়ে রায় দেয়ায় বিচার বিভাগের মর্যাদা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। এই রায় দেশ ও রাষ্ট্রের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, এ হত্যাকা-ের বিচারের পক্ষে সারাদেশে জনমত ছিল। প্রধানমন্ত্রী নিজেও এ হত্যাকা-ের বিচার দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি করতে বলেছিলেন। এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, এত কম সময়ে রাজন ও রাকিব হত্যা মামলার বিচার শেষ হওয়া দেশে নজিরবিহীন ঘটনা। এ জন্য তিনি গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এতে সবচেয়ে বড় অবদান হলো গণমাধ্যমের। ভিডিওতে আসামিদের দেখা গেছে, পুলিশের আর কোন পথ ছিল না আসামিদের গ্রেফতার করা ছাড়া। আসামি পাই না, আসামি খুঁজতে হবে, এ ধরনের বক্তব্য দেয়ার কোন সুযোগ পুলিশের ছিল না। তিনি আরও বলেন, দেশের ক্ষমতাধরদের জন্য ফৌজদারি মামলাগুলো যেখানে এগোতেই পারে না সেখানে রাজন ও রাকিব হত্যা মামলায় এত দ্রুত রায় হওয়া বিচার বিভাগের জন্য মাইলফলক। সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী সালাহউদ্দিন দোলন বলেন, দ্রুততম সময়ে রাজন ও রাকিব হত্যার রায় হাওয়াটা বিচার বিভাগের জন্য নজির। আমি আশা করি দেশের অন্য আদালতের বিচারকরাও এই দুই মামলা থেকে শিক্ষা নিবেন। ঢাকা মহানগর পিপি আবদুল্লাহ আবু বলেন, দুটি রায়ে আমি খুশি। অপরাধীরা যে জঘন্য অপরাধ করেছে, বিচারেই তার প্রমাণ। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার শেষ হওয়া ইতিবাচক মনে করে তিনি বলেন, দ্রুত বিচার আইনে অন্যান্য বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। দুটি রায়ে ছয়জনকে মৃত্যুদ- দেয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি। সমিতির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বল্প সময়ে একটি নজিরবিহীন রায় দেয়া হয়েছে। জনগণের তীব্র প্রতিবাদ ও আন্দোলনের ফলে দুটি মামলার দ্রুত রায় হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় চাইল্ড রাইটস এ্যাডভোকেসি কোয়ালিশন ইন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। রাজন হত্যা ॥ চাঞ্চল্যকর রাজন হত্যা মামলার মোট ১৩ আসামির মধ্যে ৪ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ-াদেশ প্রদান করেছেন আদালত। একজনকে যাবজ্জীবন কারাদ-, তিনজনকে সাতবছরের কারাদ- ও দুইজনকে একবছরের কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। রায়ে খালাস দেয়া হয়েছে তিনজনকে। সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা এ রায় দেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত চার আসামি হলেন, মহানগরীর জালালাবাদ থানার কুমারগাঁও এলাকার শেখপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে কামরুল ইসলাম (২৪), চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না (৪৫), তাজ উদ্দিন বাদল (২৮) ও জাকির হোসেন পাভেল। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ময়না চৌকিদারকে অপর দু’টি ধারায় পৃথক পৃথকভাবে সাত বছর ও এক বছর করে কারাদ- প্রদান করেন আদালত। হত্যাকা-ের ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর মিয়ার যাবজ্জীবন প্রদান করেন আদালত। সাতবছরের সাজা হয় কামরুলের দুই ভাই মুহিত আলম ও আলী হায়দার ওরফে আলী এবং পলাতক আসামি শামীম আহমদের। অপর দুই আসামি আয়াজ আলী ও দুলালকে এক বছর করে কারাদ- দেন আদালত। দ-প্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে ৩ মাস করে সশ্রম কারাদ- প্রদান করেন আদালত। অপরদিকে, অপরাধ সন্দেহজনকভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস পান ফিরোজ মিয়া, আজমত আলী ও রুহুল আমিন। গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয় সদর উপজেলার কান্দিরগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামের আজিজুল ইসলাম আলমের ছেলে সামিউল আলম রাজনকে। নৃশংস এ হত্যাকা-ের পর মরদেহ গুম করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হন কামরুলের ভাই মুহিত আলম। হত্যাকারীরা নির্যাতনের ২৮ মিনিটের ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে দেশে-বিদেশে নিন্দার ঝড় ওঠে। খুনীদের ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে জনতা। পরে মহানগরীর জালালাবাদ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে মুহিত আলমসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। গত ১৬ আগস্ট সৌদি আরবে আটক কামরুল ইসলামসহ ১৩ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ হত্যা মামলার চার্জশীট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর সুরঞ্জিত তালুকদার। ৭ সেপ্টেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক সাহেদুল করিম। ১৬ সেপ্টেম্বর এ আদালতে মামলার প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গত ২২ সেপ্টেম্বর আদালতের বিচারক চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় সৌদি আরবে আটক কামরুলসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে বিচার কার্যক্রম শুরু করেন। ০১ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ কার্যদিবসে মোট ৩৬ সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। কামরুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ অক্টোবর ১১ সাক্ষী ফের সাক্ষ্য দেন তার উপস্থিতিতে। ২৫ অক্টোবর এ মামলায় ৩৪২ ধারায় আসামিদের মতামত গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শুরু হয়। গত ২৭ অক্টোবর তিন কার্যদিবসে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে ৮ নবেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করেন আদালতের বিচারক। এদিকে নির্মম এ হত্যাকা-ের পর মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলাম সৌদি আরবে পালিয়ে গিয়েও রক্ষা পাননি। প্রবাসীরা তাকে ধরে বাংলাদেশ দূতাবাসে হস্তান্তর করেন। পুলিশ সৌদি আরবে গিয়ে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গত ১৫ অক্টোবর তাকে দেশে নিয়ে আসে। আসামিদের মধ্যে গ্রেফতারকৃত কামরুল, তাজ উদ্দিন বাদল ও রুহুল আমিন ছাড়া অন্য ৮ জন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। রাকিব হত্যা ॥ খুলনায় আলোচিত শিশু রাকিব (১২) হত্যা মামলার দুই আসামিকে ফাঁসির দ-াদেশ দিয়েছেন আদালত। তিন আসামির অপরজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। ফাঁসির দ-াদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেনÑ মোঃ শরীফ (৩০) ও মোঃ মিন্টু খান (৩৫)। খালাস পেয়েছে আসামি বিউটি বেগম (৪৫)। বিউটি বেগম এ মামলার প্রধান আসামি মোঃ শরীফের মা। খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিলরুবা সুলতানা এ রায় দেন। শিশু রাকিব হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটার মাত্র ৯৮ দিনের মাথায় আর বিচার শুরু হওয়ার মাত্র ১০ বিচারিক কার্যদিবসে রায় ঘোষণা করে আদালত। রাকিব হত্যাকা-ের শিকার হয় চলতি বছরের ৩ আগস্ট। ওই দিন বিকেলে খুলনা মহানগরীর টুটপাড়া কবরখানা এলাকার মোটরসাইকেল গ্যারেজ শরীফ মোটরর্স নামক একটি গ্যারেজের মধ্যে রাকিববে আটকে রেখে মোটরসাইকেলে হাওয়া দেয়া কম্প্রেসার মেশিনের পাইপের মুখ তার পায়ুপথে ঢুকিয়ে পেটে হাওয়া দেয়া হয়। এতে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় রাকিবের। পরদিন ৪ আগস্ট রাকিবের বাবা নুরুল আলম ৩ জনকে আসামি করে খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেন। ২৫ আগস্ট এজাহারভুক্ত তিন আসামি মোঃ শরীফ, মোঃ মিন্টু খান ও বিউটি বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়। বিচারিক কাজ শুরু হয় ১ অক্টোবর। ওই দিন চার্জশীট আমলে নেয় আদালত। ৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ৫ দিন এবং ২২ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। ২৮ অক্টোবর আসামিদের পরীক্ষা করা হয়। ১ নবেম্বর যুক্তিতর্ক শেষে ৮ নবেম্বর রায় ঘোষণার জন্য দিন ঠিক করেন বিচারক। মামলায় মোট ৩৮ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
×