ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বড় জয়ে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১০ নভেম্বর ২০১৫

বড় জয়ে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ব্রিসবেন টেস্টে দাপুটে জয় তুলে নিল অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডকে ২০৮ রানের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল স্টিভেন স্মিথের দল। এর মধ্য দিয়ে গ্যাবায় নিজেদের নিরঙ্কুশ কতৃত্বটা ধরে রাখল কুলীন অসিরা। ৫৫৫/৪ ও ৪ উইকেটে ২৬৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে প্রথম ইনিংসে ৩১৭ রানে অলআউট হয় প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। জয়ের জন্য ৫০৪ রানের অসম্ভব লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯৫ এ গুটিয়ে যায় কিউইরা। ওয়ানডের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অসিদের কাছে মাথা নত করে মাঠ ছাড়েন রানার্সআপ ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম বাহিনী। দুর্দান্ত দুই সেঞ্চুরি (১৬৩ ও ১১৬) হাঁকিয়ে ‘নায়ক’ ডেভিড ওয়ার্নার। এ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। পার্থে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুবার থেকে। বিশাল দুই ইনিংসের পর প্রতিপক্ষকে তিন শ’তে গুটিয়ে দেয়ার পর অস্ট্রেলিয়াকে রোখাটা ছিল প্রায় অসম্ভব। চতুর্থ দিন খেলার বড় একটা অংশ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় হয়ত ড্রর স্বপ্ন দেখছিল নিউজিল্যান্ড। কারণ ওই পরিস্থিতে জয়ের চিন্তা করাটা ছিল ধৃষ্টতার শামিল। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসেই যেখানে ৪১৮ রানের বেশি তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই, সেখানে কিউদের লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ শ’র ওপরে! চতুর্থ দিনের বৃষ্টি আর টপঅর্ডারের দৃঢ়তায় হয়ত ড্রর স্বপ্নটা উঁকি দিয়ে থাকবে। তবে শেষ দিনে ৭ উইকেট তুলে নিতে কষ্ট হয়নি অসি বোলারদের। কিন্তু স্মিথবাহিনীর দুর্দান্ত জয়ে কিছুটা কালিমায় ঢেকেছে আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। দলের হয়ে লড়ছিলেন ম্যাককুলাম। স্রোতের বিপরীতে ৮০ রানের ইনিংসটা তিনি খেলেছেন মাত্র ৮০ বলে! স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক স্টাইলে অধিনায়ক একা বুক চিতিয়ে লড়লেও যোগ্য সঙ্গী পাননি। পঞ্চম দিনে গ্যাবার উইকেটও হয়ে পড়ে অনুমেয়। সেখানে যোগ হয় নাথান লেয়নের দুরন্ত অফস্পিন ঘূর্ণি। মিচেল মার্শের মিডিয়াম পেসের বলটি ম্যাককুলামের ব্যাটের ভেতরের অংশ ছুঁয়ে গিয়েছিল কি না, সেটা নিয়েই সন্দেহ। টেলিভিশন রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা যায় লংয়ের সিদ্ধান্তটা ছিল মারাত্মক এক ভুল। কাল শেষদিনের শুরুটা হয়েছিল ম্যাককুলাম ও রস টেইলর যুগলে। কিন্তু ২৫ রানে ফেরা সাবেক অধিনায়ক টেইলর প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। এরপর ব্রিজে ওয়াটলিং (১৪) ও জিমি নিশাম (৩) দু’জনই ব্যর্থ। তখনই চড়াও হয়ে পাল্টা জবাব ম্যাককুলামের। ১০ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো ৮০ রানের ইনিংসটি ‘ভুলের’ শিকার হওয়ার পর কিউইদের গুটিয়ে দিতে অসি বোলারদের তেমন সমস্যা হয়নি। শেষদিকে মার্ক ক্রেইগ (২৬) আর ট্রেন্ট বোল্টের (১৫) অস্ট্রেলিয়ার জয়কে কেবল প্রলম্বিতই করেছে। শেষদিনে ম্যাচের আয়ু যেখানে ৩৫.৩ ওভার সেখানে টেলএন্ডারদের আর কিই-ই বা করার আছে। নাথান লেয়ন ৩, পেসার মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজলউড ও মার্শ প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নিয়ে কিউইদের মরণঘণ্টা বাজিয়ে দেন। দারুণ সাফল্যে সেঞ্চুরিয়ান ওয়ার্নার-বার্নসের ভূয়সী প্রশংসা করেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ।
×