বিডিনিউজ ॥ সর্বোচ্চমানের পেশাদারিত্ব অর্জনে সেনাবাহিনীর সব সদস্যের আধুনিক প্রশিক্ষণের ও কঠোর শৃঙ্খলার ওপর জোর দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।
তিনি বলেছেন, যে কোন সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্যদের উন্নয়নে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। তাই সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে সর্বোচ্চমানের পেশাদারিত্ব অর্জনে প্রশিক্ষণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সর্বাধুনিক কৌশল ও সরঞ্জামাদি সম্পর্কে অবহিত থাকতে হবে। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কঠোর শৃঙ্খলা সেনাবাহিনীর একজন সদস্যকে পেশাগত উৎকর্ষতার শিখরে নিয়ে যেতে পারে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের হালিশহরে আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলে ‘পঞ্চম গোলন্দাজ পুনর্মিলনী প্যারেডে’ সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক আবদুল হামিদ এ কথা বলেন।
গোলন্দাজ রেজিমেন্টকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সম্মান ও গৌরব এই মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে এ রেজিমেন্টের প্রত্যেক সদস্য দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি অবিচল থেকে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন রাষ্ট্রপ্রধান। যুগোপযোগী ও আধুনিক সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ নির্ধারণের কথাও বলেন তিনি। নতুন নতুন গোলন্দাজ রেজিমেন্ট ও দূরপাল্লার কামান সংযোজন এবং অন্যান্য কম্পিউটার বেসড আধুনিক সরঞ্জামাদি গোলন্দাজ কোরের সক্ষমতাকে আরও সুসংহত করেছে। রাষ্ট্রপতি গোলন্দাজ কোরের প্যারেড পরিদর্শন করেন এবং পরিদর্শক বইয়ে সই করেন।
প্যারেড ময়দানে আবদুল হামিদ পৌঁছালে সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক তাঁকে স্বাগত জানান।
চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন ॥ চট্টগ্রাম নগরীর নন্দনকাননের ‘চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার’ পরিদর্শন করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি মঙ্গলবার দুপুরে বিহারে পৌঁছালে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং বিহারের ধর্মীয় গুরুরা তাকে স্বাগত জানান। এরপর তাকে বিহারের নিচতলার সম্মেলন কক্ষে নেয়া হয়।
সেখানে রাষ্ট্রপতিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির সভাপতি অজিত রঞ্জন বড়ুয়া। রাষ্ট্রপতিকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির।
বৌদ্ধ সমিতির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুজিত বড়ুয়া। এরপর বিহারে রক্ষিত গৌতম বুদ্ধের ‘কেশধাতু’ (মাথার চুল) রাষ্ট্রপতিকে দেখানো হয়।
রাষ্ট্রপতির হাতে একটি ছোট আকারের স্মারক বুদ্ধ মূর্তি তুলে দেন সমিতির সহ-সভাপতি মৃগাঙ্ক প্রসাদ বড়ুয়া।
সবশেষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মন্দির প্রাঙ্গণে একটি নাগেশ্বরের চারা লাগান। এরপর তিনি হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
সুজিত বড়ুয়া বিডিনিউজকে বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিহারের অধ্যক্ষ ও সমিতির নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে এই প্রথমবার তিনি বিহারে এলেন।
রাষ্ট্রপতি কক্সবাজার যাচ্ছেন আজ ॥ স্টাফ রিপোর্টার কক্সবাজার থেকে জানান, কক্সবাজারে বিমান বাহিনীর এয়ার ডিফেন্স র্যাডার (ওয়াই এলসি-৬)-এর অন্তর্ভুক্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৬ ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত সফরে আজ বুধবার কক্সবাজারে আসছেন রাষ্ট্রপতি এ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল হামিদ। রাষ্ট্রপতি হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রামের হালিশহর বিমান বাহিনী ঘাঁটি থেকে কক্সবাজার পৌঁছানোর কথা রয়েছে। পরে রাষ্ট্রপতি কলাতলী কক্সবাজার এয়ার ডিফেন্স র্যাডার (ওয়াই এলসি-৬) এর অন্তর্ভুক্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এদিকে রাষ্ট্রপতির আগমনকে ঘিরে কক্সবাজার শহরে বিভিন্ন স্থানে তোরণ নির্মানসহ সাজসজ্জা করা হয়েছে। পাশাপাশি শহরজুড়ে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। অনুষ্ঠান শেষে হেলিকপ্টারযোগে রাষ্ট্রপতি আজই ঢাকায় ফিরে যাবেন।