ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আবুধাবীতে প্রথম ওয়ানডে আজ

পাকিস্তান-ইংল্যান্ড দু’দলই প্রস্তুত

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১১ নভেম্বর ২০১৫

পাকিস্তান-ইংল্যান্ড দু’দলই প্রস্তুত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এবার পরীক্ষাটা ইয়ান মরগানের। মরুর দেশ আমিরাতে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড চার ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে আজ। এর আগে মিসবাহ-উল হকদের কাছে ২-০তে টেস্ট সিরিজে হারে এ্যালিস্টার কুকের ইংল্যান্ড। রঙিন পোশাকের ইংলিশ দলটা ব্যতিক্রম, এক ঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারে ঠাসা- যার নেতৃত্বে মরগান। অন্যদিকে আজহার আলির অধীনে পাকিস্তান দল খুবই ভারসাম্যপূর্ণ। রয়েছে বিশ্বমানের সব পারফর্মার। টেস্ট সাফল্যের ধারা ধরে রেখে এবারও এগিয়ে যেতে চান প্রধান কোচ ওয়াকার ইউনুস। আরও আক্রমণাত্মক বোলিংয়ের হুঙ্কার ছুড়েছেন ‘সেনসেশনাল’ স্পিনার ইয়াসির শাহ। মরগানও চাইছেন ঘুরে দাঁড়াতে। সে সামর্থ্য তাদের রয়েছে। আমিরাতে উড়ে আসার আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ই ইংলিশদের আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। আবুধাবীতে পঞ্চাশ ওভারের ধুন্ধুমার লড়াই শুরু বাংলাদেশ সময় বিকেল পাঁচটায়। বাস্তবতার নিরিখে সিরিজে এগিয়ে থাকবে পাকিস্তানই। দলটির জন্য আমিরাত যে দ্বিতীয় হোম ভেন্যু। এখানে তাদের সাফল্যের পাল্লা ভারি। বলতে গেলে মরুর দেশে যে কোন দলের জন্যই পাকিস্তান এক আতঙ্কের নাম। সামর্থ্যে এগিয়ে থাকলেও প্রতিপক্ষকে সমীহ করছেন ওয়াকার। পাক কোচ বলেন, ‘আমরা জানি এই সিরিজটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৯ বিশ্বকাপের যাত্রাটা এখান থেকেই শুরু করতে চাই। সে লক্ষ্যে বেশ কয়েকজন নবীন ক্রিকেটার পেয়েছিল। যারা নিজেকের প্রমাণ করতে মরিয়া। টেস্টের সাফল্য উজ্জীবিত করবে। তবে ওয়ানডে ভিন্ন ফরমেটের খেলা। এখানে আমাদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।’ আমিরাতের পিচ বরাবরই ব্যাটিং-সহায়ক। সফল হতে ব্যাটসম্যানদের তাই বড় ইনিংস খেলে বোর্ডে বড় স্কোর জমা করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি ‘ওয়ানডের বোর্ডে অবশ্যই ৩০০ তুলতে হবে। কারণ এখানকার পিচে প্রচুর রান রয়েছে। সমৃদ্ধ স্কোর ছাড়া সফলতা পাওয়া কঠিন। আমি তাই ব্যাটসম্যানদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে বলব।’ এটা ঠিক দায়িত্ব নেয়ার মতো সামর্থ্য পাকিস্তানী ব্যাটসম্যানদের রয়েছে। যেখানে অগ্রভাগে থাকবেন নেতৃত্বে-ব্যাটিংয়ে দুরন্ত সময় কাটানো অধিনায়ক আজহার। ক্যারিয়ারের পুনর্জন্ম হওয়া অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক কি বসে থাকবেন? ব্যাটে-বলে যে উড়ছেন সাবেক অধিনায়ক। দৃশ্যপট বদলে দিতে পারে আহমেদ শেহজাদ, মোহাম্মদ হাফিজ, সরফরাজ আহমেদের ব্যাট। অভিজ্ঞ ইউনুস খানকেও ডাকা হয়েছে। বল হাতে ইয়াসিরের সঙ্গে ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ ইরফান, আনোয়ার আলির সামর্থ্য প্রমানিত। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুইয়ের মাটিতে সফল আজহার আলির দল। ‘আমি টেস্টের মতো ওয়ানডেতেও আক্রমণাত্মক বোলিং করব।’ বলেন ইয়াসির। তবে ইংল্যান্ডকেও সাহস যোগাচ্ছে রঙিন পোশাকের সাম্প্রতিক নৈপুণ্য। ঘরের মাটিতে এ্যাশেজ টেস্টের পর ওয়ানডেতে চমৎকার পারফর্ম করে মরগানের তরুণ দলটি। ব্যাট হাতে অধিনায়ক নিজেই বড় ভরসা। আছেন সুপার জো রুট, হার্ডডিটার জনি বেয়ারস্টো আর ‘স্পেশালিস্ট’ এ্যালেক্স হেলেস। অলরাউন্ডার মঈন আলির কথাও আলাদা করে বলতে হবে। ‘আমরা এখানে শুষ্ক কন্ডিশনে খেলছি এবং সম্ভবত ইংল্যান্ডের কন্ডিশনের মতো মুক্ত হাতে খেলতে পারব না। একজন ওপেনার হিসেবে আমার ধারণা, পেস বোলিংয়ের কারণে পাওয়ার প্লেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। বড় স্কোর গড়তে টপ অর্ডারে ভূমিকা পালন করতে হবে।’ বলেন হেলেস। তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই গ্রীষ্মটা আমরা দারুণ শুরু করেছি এবং যেহেতু আমাদের দলটি নতুনভাবে শুরু করছে তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটা চ্যালেঞ্জিং হবে। আমারও চ্যালেঞ্জটা নিতে প্রস্তুত।’ আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে ইংল্যান্ড ষষ্ঠ ও পাকিস্তান আছে অষ্টম স্থানে। ১৯৭৪ থেকে এ পর্যন্ত দু-দল মোট ৭২ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়ে ইংলিশদের জয় ৪২টিতে, পাকিস্তানের সাফল্য ২৮। ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। অবশ্য টেস্ট হারলেও ২০১২ সালে সর্বশেষ দেখায় ওয়ানডেতে ৪-০তে জিতেছিল ইংল্যান্ড। দুবাইয়ের শেষ ম্যাচটিতেও হেসেছিল তারা। মরগান-মঈনদের অনুপ্রেরণা হতে পারে সেটিই। পাকি কোচ ওয়াকারের ‘চ্যালেঞ্জ’ দেখার কারণও এটি। সুতরাং ওয়ানডেতে জমবে লড়াই বেশ।
×