ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার দূত

প্রকাশিত: ০১:২৯, ১১ নভেম্বর ২০১৫

ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার দূত

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া একযোগে কাজ করবে। এ বিষয়ে দুই দেশ একে অপরের মধ্যে তথ্যও বিনিময় করবে। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বিশেষ দূত মাইলস আরমিটাজের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব আলোচনা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এসব তথ্য জানায়। অস্ট্রেলিয়ার সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ বিষয়ক দূত মাইলস আরমিটাজ পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি জানান, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া একযোগে কাজ করবে। এ বিষয়ে দুই দেশ একে অপরের মধ্যে তথ্য বিনিময়ও করবে। বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সব সময় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থান গ্রহণ করেছে। এছাড়া জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সরকার থেকে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপও তুলে ধরা হয়। সূত্র জানায়, পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ মনে করছে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের বড় হুমকি। পশ্চিমাদের সাথে সুর মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়াও আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছে এখানে তাদের নাগরিকদের ওপর হামলা হতে পারে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত সেপ্টেম্বরে তাদের জাতীয় ক্রিকেট দলের ঢাকা সফর বাতিল করে। ওই সফর নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে যখন আলোচনা চলছিল ঠিক সেই সময়েই ঢাকার কূটনৈতিক জোনের খুন হন ইতালির নাগরিক সিজার তাবেলা। তার কয়েকদিন পর রংপুরে খুন হন হোশি কুনিও। এক সপ্তাহের মধ্যে দু’জন বিদেশী নাগরিক হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। ঢাকায় আশুরার তাজিয়া মিছিল প্রস্তুতিকালেও বোমা হামলা হয়। এসব ঘটনায় বিদেশীদের উদ্বেগ নিরসনে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। তবে তারপরও অস্ট্রেলিয়াসহ পশ্চিমা দেশগুলো এখনো উৎকণ্ঠায় রয়েছে। তারা তাদের নাগরিকদের এখনও সতর্ক অবস্থায় রেখেছে। এ পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ার সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ বিষয়ক দূত মাইলস আরমিটাজ বাংলাদেশ সফর করছেন। কূটনৈতিক সূত্র জানায়, বাংলাদেশে বিদেশী নাগরিকদের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া এখানে সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি কতটুকু এটাও তারা পর্যালোচনা করতে চায়। এসব বিষয় পর্যালোচনা শেষেই অস্ট্রেলিয়া সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশে তাদের ক্রিকেট দলকে পাঠাবে কি-না। আর এসব বিষয় পর্যালোচনা করতেই ঢাকা সফরে এসেছেন অস্ট্রেলিয়ার সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ বিষয়ক দূত মাইলস আরমিটাজ।
×