ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কালোবাজারি ও প্রতারণা

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ১২ নভেম্বর ২০১৫

কালোবাজারি ও প্রতারণা

প্রণব কুমার দেব রেলগাড়ি একটি সহজ, সুলভ ও আরামদায়ক যাতায়াত মাধ্যম। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি এবং রেল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিরাপত্তাকর্মীদের সীমাহীন অনিয়ম, কখনো কখনো তাদের দুর্ব্যবহার রেলযাত্রীদের ভ্রমণকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। রেলের টিকেট কালোবাজারি, কখনো কখনো টিকেটের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্য আদায়, সময়সূচীর হেরফের, রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুর্ব্যবহার এবং নিয়মিত নির্ধারিত সময়সূচী লঙ্ঘন রেল যাত্রাকে নরক যন্ত্রণায় পরিণত করেছে। আমাকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ময়মনসিংহ থেকে মশিউরনগর এবং ময়মনসিংহ থেকে গফরগাঁও প্রায়ই যাতায়াত করতে হয় এবং ময়মনসিংহ শহরে অবস্থান করার কারণে প্রায়ই আত্মীয়স্বজনকে টিকেট কেটে ট্রেনে উঠিয়ে দিতে হয়। ফলে রেল ভ্রমণের তিক্ত অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। ময়মনসিংহ রেলস্টেশন থেকে যে কোন স্টেশনের টিকেট কিনতে গেলে নির্ধারিত ভাড়া অপেক্ষা দেড় গুণ ভাড়া দিতে হয়। লোকাল ট্রেন জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, মশিউরনগর এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্ধারিত ভাড়া যথাক্রমে বিশ টাকা, পঁচিশ টাকা, সাত টাকা এবং পঁয়তাল্লিশ টাকা। কিন্তু ভাড়া নেয়া হয় যথাক্রমে ত্রিশ টাকা, চল্লিশ টাকা, দশ টাকা এবং ষাট টাকা। এভাবে প্রতিটি স্টেশনের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়। যাত্রী যদি গ্রামের ও অশিক্ষিত হয়, তবে আরও বেশি ভাড়া নেয়া হয়। প্রতিবাদ করলে, রেলকর্মীরা সংঘবদ্ধভাবে প্রতিবাদকারী যাত্রীকে হয়রানি করে। দ্বিগুণ ভাড়া নেয়া সত্ত্বেও অনেক যাত্রীকে মধ্যবর্তী স্টেশনের টিকেট দিয়ে প্রতারণা করা হয়। ময়মনসিংহ থেকে
×