ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আজ ঐশীর বাবা-মা হত্যা মামলার রায়

প্রকাশিত: ১৮:১৮, ১২ নভেম্বর ২০১৫

আজ ঐশীর বাবা-মা হত্যা মামলার রায়

অনলাইন রির্পোটার ॥ আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলার রায় । তাদের মেয়ে ঐশী রহমান ও তার দুই বন্ধুর বিচারের রায় ঘোষণা করবেন ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ। যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে গত ৪ নভেম্বর তিনিই রায়ের এ দিন ঠিক করে দিয়েছিলেন। ২০১৩ সালের ১৬ অগাস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (রাজনৈতিক শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন গৃহকর্মী সুমিকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন ঐশী। পরে গ্রেপ্তার করা হয় রনি ও জনিকে। বাবা-মাকে হত্যার সঙ্গে কিশোরী মেয়ের জড়িত থাকার অভিযোগ নাড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। ঐশীর দুই বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি ও মিজানুর রহমান রনিকে এ মামলায় হত্যাকাণ্ডে সহায়তাকারী হিসেবে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে জনি শুরু থেকেই কারাগারে আছেন। আর রনি মাঝখানে জামিনে থাকলেও রায়ের দিন ঠিক করে দিয়ে বিচারক তাকেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ মামলায় ঐশীদের বাসার শিশু গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বিচার চলছে শিশু। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আবুল খায়ের মাতুব্বর আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। তাতে বলা হয়, বাবা-মা’কে ঐশীই হত্যা করেন; আর অন্যরা তাকে সহযোগিতা করেন। হত্যাকাণ্ডের পরদিন মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। তবে তিনি মনে করেন, ঐশী তার বাবা-মা’কে খুনে করেনি। তদন্তের মধ্যে ঐশী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও পরে তা অস্বীকার করে বলেন, ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছিল। বাবা-মা যখন খুন হন তখন তিনি বাসায় ছিলেন না, কারা ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাও তিনি জানেন না। গত ১৩ অক্টোবর মামলার প্রধান আসামি ঐশীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয় আদালত। সে সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে লিখিত বক্তব্য দাখিল করেন ঐশী। অপর দুই আসামি জনি ও রনিও নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।
×