অনলাইন ডেস্ক ॥ সৌদি আরবের প্রকৌশল খাত চলছে বিদেশি প্রকৌশলী দিয়ে। এখাতে যারা কাজ করেন, তাদের ৮৫ শতাংশই বিদেশি নাগরিক। সৌদি সরকার এ অবস্থা কাটিয়ে ওঠার পথ খুঁজছে বলে সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবে নিবন্ধিত প্রকৌশলীর সংখ্যা দুই লাখ।
মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এ দেশটি অনেক ক্ষেত্রেই বিদেশি কর্মীদের উপর নির্ভরশীল। তিন কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৯০ লাখই বিভিন্ন দেশ থেকে জীবিকার তাগিদে সেখানে অবস্থান করছেন।
শ্রম মন্ত্রণালয় প্রকৌশল খাতে সৌদি নাগরিকদের জন্য যে কোটা নির্ধারণ করে দিয়েছে তা অন্যান্য খাতের চেয়ে বেশি।
তারপরও ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেশন অফিসগুলোর আয়তন ছোট হওয়ায় এবং প্রত্যেকের আলাদা আলাদা লাইসেন্স থাকায় প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ ও অফিস বড় করার অর্থ তারা পায় না বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
সৌদি ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রাজুয়েটের সংখ্যা খুবই কম হওয়াও এ ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল কমিটি ফর ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেশন অফিসেস এর সদস্য খালিদ আল-ওথমান।
এ খাতে সৌদি নাগরিকদের সংখ্যা বাড়ানোর পথ খুঁজতে শ্রমমন্ত্রী মুফরেজ আল-হাকবানি, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ এবং সৌদি কাউন্সিল অব ইঞ্জিনিয়ার্স এর সদস্যরা সম্প্রতি বৈঠকে বসেন।
বৈঠকে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সদস্যদের পাশাপাশি প্রকৌশলী ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কাউন্সিল গঠনের আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়া সংকট কাটাতে প্রশিক্ষণার্থী সৌদি নাগরিকদের শ্রম মন্ত্রণালয় সহযোগিতা দেবে বলে এক ঘোষণায় জানানো হয়েছে।
বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ছাত্রদের পেশাগত পরীক্ষার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ এবং পুনর্বাসন কর্মসূচির দেখভাল করে সৌদি কাউন্সিল অব ইঞ্জিনিয়ার্স।
কোনো ছাত্র পাঠ্যসূচির ৫০ শতাংশ সম্পন্ন করতে পারলে তাকে নিবন্ধনের মাধ্যমে বিনামূল্যে সদস্য হওয়ারও সুযোগ দেয় এই কাউন্সিল।