ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মধুপুরের বেগুন ইউরোপে রফতানি হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ১৩ নভেম্বর ২০১৫

মধুপুরের বেগুন ইউরোপে রফতানি হচ্ছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ আবারও খুলে গেল বেগুন রফতানির দরজা। নতুন উদ্যোগে দেশে উৎপাদিত উন্নত জাতের বিভিন্ন বেগুন এখন ইউরোপের প্রায় সব দেশে রফতানি হচ্ছে। তবে এবার টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার চাষীদের সঙ্গে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের আওতায় ইউরোপের দেশগুলোয় এ বেগুন রফতানি হচ্ছে। ইইউভিত্তিক সংস্থা ইউকেএইড, ডিএফআইডি এবং সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট এ্যান্ড কো-অপারেশন এতে অর্থায়ন করছে। কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিসনেজ প্রমোশন কাউন্সিল-বিপিসি এবং রফতানিকারক এ্যাসোসিয়েশন ডিএই এর কারিগরি প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা দিচ্ছে। মধুপুর উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, মধুপুর উপজেলা চাষকৃত বেগুন এখন ইউরোপের কয়েকটি দেশে পুনরায় বাজারজাত শুরু হয়েছে। তবে শুধু বেগুন নয়, এ অঞ্চলে উৎপাদিত অন্য সবজির প্রতিও পশ্চিমা এসব দেশের ক্রেতাদের রয়েছে ব্যাপক কদর ও চাহিদা। অন্যদিকে এসব দেশের সঙ্গে রফতানি বৃৃদ্ধি এবং বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিও সরকার অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। ফলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এখন সবজি রফতানির পথ প্রশস্ত হতে শুরু করেছে। এতে ভাগ্য বদলের হাতছানি দিচ্ছে মধুুপুরের চাষী ও এলাকাবাসীর। সূত্র মতে, সম্প্রতি মধুপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের বিএফভিএপিইএর সহায়তায় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিসনেজ প্রমোশন কাউন্সিলের এটিসিপি প্রজেক্টের অর্থায়নে পরিচালিত কন্ট্রাক্ট ফার্মির বিশেষ সেমিনারের মধ্য দিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোতে বেগুন রফতানির কার্যক্রম শুরু হয়। মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. হযরত আলী বলেন, এ বেগুন আবাদ ও রফতানির মধ্য দিয়ে এলাকার অন্যান্য সবজি চাষ এবং রফতানিরও সুযোগ সৃষ্টি হলো। এতে এলাকার কৃষকরা ভাগ্য বদলেরও পথ পেলেন। কৃষি অফিস সূত্র জানায়, মধুপুরের মাটি সবজি চাষের উপযোগী। লালমাটির এ উপজেলার অনেক গ্রাম আছে এর যে দিকে তাকানো যায় শুধু সবজি আর সবজি। অন্য ফল-ফসলের আবাদ হ্রাস পেয়ে সম্প্রতি ওইসব গ্রামে সবজির আবাদ বাড়ছে হু হু করে। উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের কুড়াগাছা ভবানীটেকি, চাঁপাইদ, পিরোজপুর, পীরগাছা, মমিনপুর, ধরাটি, আঙ্গারিয়া, গোলাবাড়ী এবং মির্জাবাড়ি ইউনিয়নের বিশনাইপাল, ব্রাহ্মণবাড়ি, কেতনপুর, আম্বাড়িয়া, হাজিপুর, গোসাইবাড়ী, দুর্গাপুর, পালবাড়ি ও মির্জাবাড়ি সবজির গ্রাম নামে পরিচিতি লাভ করেছে। কুড়াগাছা ও ভবানীটেকি বাজারেই গড়ে উঠেছে সবজির পাইকারি আড়ত। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা এখানে এসে তাদেও কেনা সবজি ট্রাকে ভরে নিয়ে যাচ্ছেন শহরে। সবজির দাম বেশ চড়া থাকায় আবাদ করে কৃষকরা কিছুুটা আর্থিক সচ্ছলতা পাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তাপস সরকার বলেন, এলাকার সবজিকেন্দ্রিক চাষকে উন্নত করতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
×