ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পটিয়ায় খাল ভরাট করে স্থাপনা ॥ উচ্ছেদ দাবি

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ১৩ নভেম্বর ২০১৫

পটিয়ায় খাল ভরাট করে স্থাপনা ॥ উচ্ছেদ দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, চট্টগ্রাম, ১২ নবেম্বর ॥ পটিয়ায় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি খাস খাল ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌর সদরের চানখালী খালের শাখা চুনতি খালের দু’পাশ অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। বর্তমানে ওই খালের দক্ষিণ পাশে ‘হল টুডে’ নামের একটি কমিউনিটি সেন্টারের নির্মাণকাজ চলছে। খালপাড় হয়ে কমিউনিটি সেন্টারে যাতায়াতের জন্য খালের কিছু অংশ ভরাট করে খালের উপরেই ব্যক্তিগত টাকায় একটি ব্রিজ নির্মাণ চলছে। খালের অংশ ভরাট করে একের পর এক স্থাপনা নির্মাণ করায় পটিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত একটি অভিযোগ করেছেন। এদিকে, সওজ কর্তৃপক্ষ খালের উত্তর পাশের জায়গা তাদের দাবি করে ‘হল টুডে’র মালিককে নোটিসও দিয়েছিল বলে সওজ কর্তৃপক্ষ জানায়। এ প্রসঙ্গে ‘হল টুডে’ কমিউনিটি সেন্টারের মালিক হাজী মোঃ রফিক বলেন, সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে পৌর কর্তৃপক্ষ কমিউনিটি সেন্টারের ভবন ও ব্রিজের নক্সা অনুমোদন দিয়েছে। চুনতি খালের উপর আমার ব্যক্তিগত টাকায় ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। তাছাড়া খালটি আমার জায়গায় পড়েছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তা বিভ্রান্তিকর। পটিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী তারেকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ভবন নির্মাণের জন্য নক্সা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে খালের উপরে ব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি অনুমোদন ফাইল দেখে জানাতে হবে। কক্সবাজারে ভেটেরিনারি ভার্সিটি ক্যাম্পাস হচ্ছে স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্সবাজার ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য প্রায় ২৬৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাশ হয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আগামী ২২ নবেম্বর ওই ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে জানা গেছে। সোমবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কক্সবাজার শহরতলীর দরিয়ানগর বড়ছড়ায় স্থাপিত ভেটেরিনারি ও এ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্সবাজার ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য ২৬৫ কোটি টাকার এ প্রকল্পটি পাস হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলের উদ্ভিদরাজি ও মৎস্য সম্পদের ওপর নানা ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। কী কী ধরনের প্রভাব পড়ছে, তা এ ক্যাম্পাসে গবেষণার ফলে জানা যাবে। বিশেষ করে সমুদ্রসীমা বিজয়ের পর এ নিয়ে তেমন গবেষণা না হওয়ায় ক্যাম্পাসে এ বিষয়ে একটি উল্লেখযোগ্য গবেষণা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও প্রতিষ্ঠানটি ভূমিকা রাখবে। শিক্ষামন্ত্রী কর্তৃক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর আগামী ৩ বছরের মধ্যে কক্সবাজার ক্যাম্পাসটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে।
×