ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকনের সঙ্গে হকার্স ফেডারেশনের মতবিনিময়

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ১৩ নভেম্বর ২০১৫

ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকনের সঙ্গে হকার্স ফেডারেশনের মতবিনিময়

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন গুলিস্তান এলাকার হকারদের রাস্তা/ফুটপাথে না বসার এবং কাউকে কোন প্রকার চাঁদা না দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ হকার্স ফেডারেশনের সঙ্গে নগর ভবন সেমিনার কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মেয়র এ নির্দেশ দেন। গুলিস্তান এলাকার রাস্তা ও ফুটপাথ হকারমুক্ত রাখতে হকার্স ব্যবস্থাপনা ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা খালিদ আহমদকে আহ্বায়ক করে ১৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে মেয়রের কাছে এ বিষয়ক প্রতিবেদন দাখিল করবে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন : হকার্স ফেডারেশনের সভাপতি এমএ কাশেম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন-উর-রশীদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি খোকন মজুমদার, জাহাঙ্গীর জোয়ার্দার, কর্পোরেশনের উপ-প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ আলী সরদার, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের (১, ২ ও ৪) আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী প্রকৌশলী (অঞ্চল ১, ২ ও ৪), মেয়রের একান্ত সচিব কবীর মাহমুদ, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, র‌্যাব ও পুলিশের একজন করে প্রতিনিধি। বৈঠকে হকারদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন, পুনর্বাসনের জন্য নতুন স্থান নির্ধারণ, পুলিশ/রাজনৈতিক পরিচয়ে যেকোন ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ, কর্পোরেশনকে রাজস্ব প্রদান ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। গুলিস্তান এলাকাকে ‘ক্লিন গুলিস্তান’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমস্যার সমাধান যাত্রা শুরু হলো উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমাদের সকলের প্রিয় রাজধানীকে সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ও বাসোপযোগী রাখতে সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে কর্পোরেশনের সচিব খান মোঃ রেজাউল করিম, প্রধান প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তাসহ হকার্স ফেডারেশনের শাখা কমিটি ও আঞ্চলিক কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।-বিজ্ঞপ্তি পদ্মা পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও মাছ ধরা বন্ধের নির্দেশ স্টাফ রিপোর্টার ॥ মুন্সীগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলাধীন পদ্মাপাড়ের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও মাছ ধরার সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এসব এলাকার সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে একটি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুই জেলার প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং শিবচর ও লৌহজং থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মোঃ সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে অবৈধ স্থাপনার সঙ্গে জড়িত গ্রেফতারকৃত তিনজনের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ১৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। এ সময় আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক বিচারপতি ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। আদেশের পর ব্যারিস্টার আলতাফ হোসেন জনকন্ঠকে বলেছেন, পদ্মা নদীর দুই পাড়ের অবৈধ সব স্থাপনা অপসারণ ও অবৈধভাবে মাছ ধরার কার্যক্রম বন্ধ করতে এবং অবৈধ ওইসব স্থাপনা ৩০ দিনের মধ্যে অপসারণ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। যারা অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনসহ প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
×