ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পান্থ আফজাল

মেয়েদের ফ্যাশনেবল ব্লেজার

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ১৩ নভেম্বর ২০১৫

মেয়েদের ফ্যাশনেবল ব্লেজার

হেমন্তের বিদায় প্রান্তে শীতের আগমন ঘটেছে। ঋতুভিত্তিক পোশাক তৈরিতে ফ্যাশন হাউসগুলোতেও চলছে বিরাট প্রস্তুতি। ডিজাইন ও কালার কম্বিনেশনে বর্তমান ট্রেন্ডের প্রস্তুতির পালা প্রায় শেষ পর্যায়।শীতকে অনেক ক্ষেত্রে ফ্যাশনের ঋতু বলা যায়। এ সময় পোশাক এবং অনুষঙ্গের ব্যবহার থাকে চোখে পড়ার মতো। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এটি এখন আরও আধুনিক রূপ ধারণ করেছে। পোশাকে এসেছে ওয়েস্টার্ন কম্বিনেশন। শীত এলেই শুরু হয় বাহারি ডিজাইনের পোশাকের সমাহার। সোয়েটার, জ্যাকেট, ব্লেজার আর অন্যসব শীতের পোশাকে আকর্ষণীয় করে তোলে। এর মধ্যে অন্যতম ভিন্ন স্টাইলের ব্লেজার শীতের ফ্যাশনে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। এটি পুরো স্টাইলকে যেন পাল্টে দেয়। প্রকৃতির পালাবদল মনকে দোলা দিয়ে যায়। প্রকৃতি যেন নিজ হাতে সাজিয়েছে এ দেশকে। ষড়ঋতু ম-িত এ দেশ সত্যিকার অর্থেই অপরূপ। একেক ঋতু একেক রূপ নিয়ে ধরা দেয় আমাদের মাঝে। পালাবদলের পরিক্রমায় হিমেল বাতাসে এখন শীতের আগমনী ছোঁয়া। তাই নড়ে চড়ে বসেছে স্মার্ট ফ্যাশন হান্টাররাও। অফিসে বা বন্ধুদের সামনে ফিটফাট ফ্যাশনে নিজেদের হাজির করতে বেছে নিচ্ছে লেটেস্ট ডিজাইনের পোশাক। ফ্যাশন সচেতন তরুণ-তরুণীরা শীতকালে নিত্যনতুন ফ্যাশনের সাথে ভিন্ন মাত্রার ফ্যাশনের মিশেল ঘটানোর সুযোগ পায়। প্রতিনিয়তই তরুণ-তরুণীদের ফ্যাশন পরিবর্তন হচ্ছে; তাই তাদের যদি নতুন কোন চেহারায়, নতুন কোন রূপে দেখা যায়, তাহলে এতে মোটেই অবাক হবার কিছু নেই। প্রকৃতির পালাবদল মনকে দোলা দিয়ে যায়। পালাবদলের পরিক্রমায় ঘটে যায় নানা ঘটনা। কখনও প্রকৃতি রুদ্র মূর্তি ধারণ করে কখনও বা স্নিগ্ধ পরশ বুলিয়ে দেয়। দিন বদলায় সময় বদলায় বদলে যায় মন। প্রকৃতির পালাবদলে বইছে হিমেল হাওয়া। প্রকৃতি যেমন তার রূপ বদলায় ঠিক তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলে যায় ফ্যাশন। এর মাঝে শীতের পোশাক নিয়ে তরুণীদের ভাবনাটাই একটু বেশি। জ্যাকেট আর ব্লেজারের সংমশ্রিণে তৈরি নতুন ধরনের শীতের পোশাক উঠে আসছে তরুণদের পছন্দের তালিকায়। অফিসের প্রয়োজনে ব্লেজার পরতে পারেন। তবে আগের মতো আর সাদা, কালো বা ছাই রঙের ব্লেজার নয়। এবার বেছে নিতে পারেন গাঢ় মেরুন, কালো হলুদের মিশ্রণ, বেগুনি, পার্পেল রঙের ব্লেজার। এই অনুসঙ্গটি ধরে রাখছে হাল ফ্যাশনের আবেদন। শীতকালে শীতল আবহাওয়া তো সবাই টের পাবেই। আর যেহেতু গরমকে হটিয়ে শীত চলে আসছে, তাই তরুণী থেকে বৃদ্ধা সবার মধ্যেই একটি প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে-কীভাবে শীতের ঠা-া ঠা-া হাওয়ার মধ্যে উষ্ণতা ধরে রাখা যায়। শীতকালে নারীদের কেতাদুরস্ত বা স্টাইলিশ পোশাকের মধ্যে রয়েছে স্যুট, ব্লেজার। দেশে পোশাকের প্রচুর ব্র্যান্ড সুপ্রতিষ্ঠিত হচ্ছে এবং এসব ব্র্যান্ড নতুন প্রজন্মের কাছে আদরণীয় হচ্ছে। কদর বাড়ছে দেশীয় কাপড় বিশেষ করে খাদির প্রতি। বিশেষ করে আমাদের তরুণীরা ফ্যাশন সচেতন হয়ে উঠছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিগত দিনের তুলনায় বর্তমানে শীতের পোশাকে কী ধরনের পরিবর্তন এসেছে? প্রথমে বলা যেতে পারে, চেতনাগত বিশাল পরিবর্তন ঘটেছে। একসময় ফ্যাশন বলতেই বোঝাত পশ্চিমা পোশাকের অনুকরণ। পাশ্চাত্য পোশাকে নিজেকে সাজিয়ে একসময় অনেকেই এক ধরনের অভিজাত আয়েশ অনুভব করতেন। এখনকার প্রজন্ম সেখান থেকে সরে এসেছে। তারা দেশজশৈলীর প্রতি আগ্রহী। আমাদের মাত্রাগত বা গুণগত যে পরিবর্তন ঘটছে তাহলোÑআমাদের নিজস্ব ইভেন্টকেন্দ্রিক পোশাকের উন্নয়ন ঘটছে এবং এসব পোশাকের কাপড় ও মাধ্যম হিসেবে দেশজ পণ্যই ব্যবহৃত হচ্ছে। তরুণীদের শীতের পোশাকের দিকে তাকালেই বিষয়টি বোধগম্য হবে। প্রথমেই বলা যায়, তারা ইনফরমাল পোশাকের দিকে ঝুঁকছে। ঘরে-বাইরে কিংবা অনুষ্ঠানে একই রকম পোশাক ব্যবহার করছে। আর পায়ে চামড়ার সু বা কেডস না পরে, নিছক স্যান্ডেল পায়ে দিব্যি চালিয়ে দিচ্ছে। বাঙালিয়ানার পোশাকগুলো শুধু ঋতু অনুযায়ী পোশাকগুলো স্টাইল ও কাপড় বদলে নিচ্ছে। ঋতু অনুযায়ী পোশাক তৈরির ট্রাডিশন খুব বেশিদিন হয়নি এ দেশে চালু হয়েছে। তারপরেও খুব দ্রুত এ ট্রাডিশনটি ক্রেতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ ব্যস্ত জীবনে ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে পোশাক এখন হাতের কাছেই মেলে। যার ফলে বাড়তি চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুরতে হয় না। বরাবরের মতোই এ ঋতুতে মূলত ভিন্ন ধারার ড্রেস প্রাধান্য পেয়েছে। দামের বিষয়ে এক ফ্যাশন ডিজাইনার জানালেন ‘দামের দিকটা খুব বেশি হবে না। ক্রেতাদের নাগালেই থাকবে। এখন তো শীত শুরু হয়নি, সবেমাত্র আমেজ, তাহলে এত আগে থেকে প্রস্তুতি কেন জানতে চাইলে বাদল আহমেদ বলেন, আমেজ থেকেই তো প্রস্তুতির পর্বটা রাখতে হবে। তা না হলে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পোশাকের মূল্যায়ন করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের হাউসে ১২ মাসেই পোশাকের চাহিদা রয়েছে শুধু শীত বলে কথা নয়। ক্রেতাদের জন্য তো পোশাক তৈরি করা। তাই সঠিক সময়ে তাদের হাতে পোশাক পৌঁছানোই আমাদের লক্ষ্য রাখতে হয়। ‘ বাড়ছে শীত। এরই মধ্যে বেশ ঠাণ্ডা হতে শুরু করছে চারপাশ। কোথাও কোথাও শীত কনকনে হয়ে জেঁকে বসছে। ঋতুর এ পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে পোশাকেও। ফ্যাশন সচেতন তরুণ-তরুণীদের মাঝে এ পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগছে সবচেয়ে বেশি। শীতকে কেন্দ্র করে নানা রঙ আর ঢঙের পোশাক আসে বাজারে। কোথায় পাবেন ফ্যাশন হাউজগুলোর বাজারে পাবেন শীতের পোশাক। এ ছাড়া ঢাকা নিউমার্কেট, হকার্স মার্কেট, বঙ্গ বাজার ও ঢাকা কলেজের সামনে শীতের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। উত্তরায় মাসকাট প্লাজা, বনানীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফ্যাশন হাউজগুলোতেও যেতে পারেন পছন্দের পোশাকের খোঁজে। এই হাল্কা শীতে পরার উপযোগী ব্লেজার এনেছে রিচম্যান। সব বয়সের সব পেশার ফ্যাশন সচেতনদের জন্য ফরমাল এই পোশাকগুলো এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। রিচম্যানের পরিচালক ও প্রধান ডিজাইনার নাঈমুল হক খান বলেন, সবার কাছে তাদের সবচেয়ে প্রিয় পণ্যটি সাশ্রয়ী মূল্যে পৌঁছে দিতেই প্রতিনিয়ত কাজ করছে রিচম্যান। বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, যমুনা ফিউচার পাক, এলিফ্যান্টরোডসহ প্রতিটি শোরুমেই পেতে পারেন পছন্দের ব্লেজার। এ ছাড়া পাবেন জেন্টাল পার্ক, ইনফিনিটি, ওয়েস্টার্ন বাজারসহ বিভিন্ন শপিংমলে ও তরুণীরা পাবেন নানা মাপের আর স্টাইলের ব্লেজার। আর অনলাইন শপগুলোতেও রয়েছে শীতের পোশাকের বর্ণিল সমাহার। এখন চাইলে ঘরে বসেই খুঁজে নিতে পারেন আপনার পসন্দের পোশাকটি। বাজার দর ডিজাইনের উপর পোশাকের দামেরও ভিন্নতা আছে। বিভিন্ন ধরনের চামড়ার নকশা করা ব্লেজার কেনা যাবে ১৮০০-৭০০০ টাকায়। ক্যাজুয়াল ব্লেজারের দাম পড়বে ১৫০০-৪০০০ টাকা। ছবি : ফয়সাল মডেল : বর্ষা পোশাক : বর্ষা ক্রিয়েশন মেকআপ : রেড
×