ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

একদিনে সূচক বাড়ল ১.৪ শতাংশ

দরপতন থেকে বের হয়ে আসল পুঁজিবাজার

প্রকাশিত: ০৮:১১, ১৩ নভেম্বর ২০১৫

দরপতন থেকে বের হয়ে আসল পুঁজিবাজার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অবশেষে ধারাবাহিক দরপতন থেকে বের হয়ে আসল দেশের পুঁজিবাজার। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই মূল্যসূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। প্রধান বাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের ৭৩ ভাগ কোম্পানির দরবৃদ্ধির দিনে সার্বিক সূচকে যোগ হয়েছে ৬২ পয়েন্ট। তবে এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের পরিমাণ বাড়লেও কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। দিনটিতে ছোট বড় মূলধনী সব ধরনের কোম্পানির দর বেড়েছে। বৃহস্পতিবারে উল্লেখযোগ্য খবরের মধ্যে ছিল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ে সময় বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ। গত কয়েক কিছুদিন ধরে চলমান অস্থিরতা দূর করতে বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বুধবারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বিনিয়োগ সীমা ঠিক কত বছর বাড়ানো হবে সেটি এখনও নির্ধারিত হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রথমে বিশেষ অধ্যাদেশ জারি করে পরে সংসদে আইন করে এ সময় বাড়ানো হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়েই মন্ত্রণালয় এটি করবে। বৃহস্পতিবারে বাজার সংশ্লিষ্ট খবরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে আলোচিত ছিল। এছাড়া বৃহস্পতিবারে বাজার নিয়ে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে বৈঠক করে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বৃহস্পতিবারে ডিএসইতে ৩০৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৪৯ কোটি টাকা বা ১৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। আগের দিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ২৫৫ কোটি টাকার শেয়ার। বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩১৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২২৮টির, কমেছে ৫৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির শেয়ার দর। সকালে ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পরে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ৬২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৪৩৩ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ৬৭ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ২৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৮৯ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলো- তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন, ইফাদ অটোস, বেক্সিমকো ফার্মা, বেক্সিমকো, স্কয়ার ফার্মা, সাইফ পাওয়ারটেক, কাশেম ড্রাইসেলস, কেডিএস এক্সেসরিজ, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বিডি লিমিটেড এবং আমান ফিড লিমিটেড। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : তিতাস গ্যাস, গোল্ডেন হার্ভেস্ট, মালেক স্পিনিং, দেশ গার্মেন্টস, প্রাইম ফাইনান্স, সোনালী আশ, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, পাওয়ার গ্রিড, কাসেম ড্রাইসেল, ইউনাইটেড এয়ার। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : আমান ফিড, জাহিন স্পিনিং, দেশ গার্মেন্টস, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, আইসিবি ১ম এনআরবি, আ্ইএফআইসি মিউচুয়াল ফান্ড, প্রিমিয়ার সিমেন্ট, মুন্নু সিরামিক ও আইসিবি এমপ্লয়িজ মিউচুয়াল ফান্ড। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ১৮৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫৫৮ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২২০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫০টির, কমেছে ৫০টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইফাদ অটোস, তিতাস গ্যাস, বে´িমকো, ইউনাইটেড এয়ার, কেডিএস এক্সেসরিজ, শাহজিবাজার পাওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা, সাইফ পাওয়ার টেক ও ইউনাইটেড পাওয়ার।
×