ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝালকাঠি চাচৈর রনাঙ্গনের ৪৪ তম পূর্তি উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ

প্রকাশিত: ২২:২৯, ১৩ নভেম্বর ২০১৫

ঝালকাঠি চাচৈর রনাঙ্গনের ৪৪ তম পূর্তি উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝালকাঠি॥ ঝালকাঠি সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ ইউনিয়ন ও নলছিটি উপজেলার প্রেমহার গ্রামের এই খালগুলি ৪০ বছর পূর্বে ১৭ নভেম্বর’১৯৭১ হানাদার পাক বাহিনীর সদস্যদের রক্তে লাল হয়েছিল। এদিন বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের সর্ব বৃহৎ ও দীর্ঘ সময় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মুক্তিযোদ্দাদের সাথে পাক বাহিনী ও তাদের দোসরদের রাজাকারদের সাথে যুদ্ধে শতাধিক হানাদার বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছিল। এই যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে আ:আউয়াল খান শহীদ হন এবং যুদ্ধ চলাকালীন সময় এই এলাকার মো: হামেদ আলী হাওলাদার, মো: আদু খান, মো: সেকেন্দার মাঝি, মোসা: আলেয়া বেগম ও মো: আনছার আলী খান শহীদ হন। শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সফল চাচৈর রনাঙ্গনের ৪৪ তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ এবং যুদ্ধকালীন সময় নিহত গন শহীদদের স্মৃতি ফলক স্থাপন করা হয়েছে। প্রেমহার মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ উপলক্ষ্যে মুক্তিযোদ্দা সমাবেশে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উদযাপন কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোক্তার হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন তৎকালীন এই যুদ্দে অংশগ্রহণ করা বেইজ কমান্ডার ও নলছিটি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি সেকান্দার আলী মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভৈরবপাশা ইউপি চেয়ারম্যান আ: হক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহম্মেদ ও মুক্তিযোদ্দা মো: এস.এম শাহজাহান। বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্দা সন্তান নুরুজ্জামান সেলিম, গিয়াস উদ্দিন হাওলাদার, হারুন অর-রশিদ, মামুন জোমাদ্দার ও মোস্তফা কামাল এবং মাহাবুবুর রহমান জুয়েল। এই দিবস উপলক্ষ্যে স্পৃহা নামের স্বরণীকা প্রকাশ করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর তৎকালীন এই যুদ্ধে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও বর্তমান বিএনপির উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য ব্যারিষ্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম এই যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন। পাক বাহিনীর কাছে খবর যায় চাচৈর গ্রামের শরীফ বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান নিয়েছে। পাক বাহিনী তৎকালীন দুর্গম এই অঞ্চলে এসে বাড়ী ঘর পুড়িয়ে দেয়। মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান থেকে পিছু হেটে আসে পাশের বাহিনীকে খবর পাঠিয়ে জড় করে ত্রিমুখী সাড়াশি আক্রমন চালায়। একপর্যায় পাক বাহিনী ও রাজাকাররা পালিয়ে যাওয়ার পথে শতাধিক নিহত হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যুদ্ধ চলাকালে শেষ মুহুর্তে সেনা সদস্য আব্দুল আউয়াল গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়।
×