ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের শুরুতে জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের দোকানগুলো

প্রকাশিত: ২৩:৫০, ১৩ নভেম্বর ২০১৫

ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের শুরুতে জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের দোকানগুলো

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত ঠাকুরগাঁও জেলায় সারাদিন গরম আর সন্ধ্যা হলেই শীতের আবহাওয়া বিরাজ করে। এ শীতের কারণেই জমে উঠছে মৌসুমী ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ শীতবস্ত্রের দোকানগুলো। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এসব ভ্রাম্যমাণ কাপড়ের দোকানে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের ভিড়ও বাড়ছে। শহরের প্রাণকেন্দ্র ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড়মাঠে, ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠে, পৌর হকার্স মার্কেটে, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড ও গ্রামের বিভিন্ন হাট-বাজারের ফুটপাতের ওপর ও ভ্যান গাড়িতে করে বাহারি রঙের এসব শীতবস্ত্র বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। আর এসব কাপড় কিনতে আসেন নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও। ব্যবসায়ীরা বলেন, কয়েক দিন ধরেই শহরের প্রায় সব দোকানেই শীতের কাপড় কেনাকাটা শুরু হয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে ছোট-বড়দের জ্যাকেট, মাফলার, সোয়েটার, হাত মোজা, কোট, টুপি সবই মিলছে এসব দোকানে। দেখা যায়, সদর উপজেলার বেগুনবাড়ী গ্রামের খগেন্দ্র চন্দ্র ৭ বছরের নাতির গরম কাপড় কিনতে এসেছেন শহরের বড় মাঠে। বিভিন্ন দোকান ঘুরে অবশেষে ৫০ টাকা দিয়ে একটি সুয়েটার ও দুইশ’ টাকা দিয়ে জ্যাকেট কিনলেন। তিনি বলেন, শীতের সঙ্গে সঙ্গে গরম কাপড়ের দামও বেড়ে যায়। তাই আগেভাগেই গরম কাপড় কিনতে বড়মাঠে এসেছেন তিনি। বড়মাঠ এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী আশরাফ আলী বলেন, এখানে ১০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের শীতের কাপড় পাওয়া যায়। বাজারে সব জিনিসের দাম একটু চড়া, তাই পুরোনো কাপড়ের দামও এবার কিছুটা বেড়েছে। আদালত চত্বরের কাপড় ব্যবসায়ী মানিক মিয়া বলেন, সাধারণত বিভিন্ন গার্মেন্টসের এক্সপোর্টের পুরনো ও পরিত্যক্ত এসব পোশাক তারা ঢাকা থেকে গাট হিসেবে কিনে আনেন। ১০-১২ হাজার টাকার একটি গাটে ৪৫০-৫০০ পিস গরম কাপড় থাকে। তবে এসব পোশাকের মধ্যে অনেক সময় খুবই ভালোমানের পোশাক পাওয়া যায়। পৌর হকার্স মার্কেটের গরম কাপড় ব্যবসায়ী মনির হোসেন জানান, এ বছর প্রথম থেকেই শীত শুরু হওয়ায় বেচা-বিক্রি অনেক ভালো। তার এখানে ১০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে শীতবস্ত্র পাওয়া যায়। এছাড়া ভ্যান গাড়িতে করে বিভিন্ন হাট বাজার ও শীতের পোশাক বিক্রি করা হচ্ছে। যুব সংসদ রোড এলাকায় শীতের পোশাক কিনতে আসা রিকশা চালক মোহাম্মদ আলী বলেন, অল্প দামে হামরা প্রতি বছর এইঠে থেকে শীতের কাপড় কিনি। শুধু নিজের জন্য নয়, দরিদ্র এসব মানুষ পরিবার ও পরিজনদের জন্যও এখান থেকে শীতের পোশাক কিনতে দেখা যায়।
×