ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভারতে অসহিষ্ণুতা লন্ডনে সাংবাদিকদের তোপের মুখে মোদি

প্রকাশিত: ০৬:১০, ১৪ নভেম্বর ২০১৫

ভারতে অসহিষ্ণুতা লন্ডনে সাংবাদিকদের তোপের মুখে মোদি

ভারতের অসহিষ্ণুতা নিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজ দেশে স্পষ্ট করে তেমন কিছু না বললেও ইংল্যান্ডে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে অবশেষে বাধ্য হয়ে বললেন, কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। প্রধানমন্ত্রী মোদি সাংবাদিকদের আশ্বাস দিয়ে বললেন, অসহিষ্ণুতার জন্য ঘটে যাওয়া যে কোন ঘটনায় কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু সেই আশ্বাস থেকেও বড় হয়ে দেখা দিয়েছে বিদেশের মাটিতে প্রধানমন্ত্রীর অপমান। এর আগে ভারতের আর কোন প্রধানমন্ত্রীকে এভাবে অসহিষ্ণুতা নিয়ে সরাসরি প্রশ্নবানে জর্জরিত করেনি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। রাজপথে ব্যাপক বিক্ষোভেরও তেমন কোন অতীত ইতিহাস নেই। কূটনীতিক মহলের অনেকেই বলেছেন, দেশের সমস্যা দেশে না মিটিয়ে বিদেশে গিয়ে অসম্মানিত হলেন মোদি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি প্রশ্নের সামনে পড়ে জবাব এড়ানোর আর কোন উপায় ছিল না মোদির। তিনি বলেন, ভারত বুদ্ধ, মহাত্মা গান্ধীর দেশ। আমাদের সমাজের মূল্যবোধের বিরুদ্ধে যায় এমন কোন ঘটনা আমরা বরদাশ্ত করি না। তা সে ঘটনা দেশের যে প্রান্তেই ঘটুক না কেন। তিনি আরও বলেন, এক শ’ ২৫ কোটির দেশে ক’জন এই ধরনের ঘটনার শিকার হচ্ছেন তা ভারত সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই ধরনের যে কোন ঘটনায়ই কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভারতীয় গণতন্ত্রের সংবিধান একজন সাধারণ নাগরিকের দৃষ্টিভঙ্গিকেও রক্ষা করার কথা বলে। তার সরকার সেই সংবিধান মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তাতেও অবশ্য চুপ করে থাকেনি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। প্রশ্ন উঠেছে, ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় মোদির ভূমিকা নিয়েও। তার সামনেই ক্যামেরনকে ব্রিটিশ সাংবাদিক বলেছেন, মোদির ব্রিটেনে আসার ওপরে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তাহলে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হলো কেন? ক্যামেরন জবাব দেন, বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ভারতে ক্ষমতায় এসেছেন মোদি। তাই তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর মধ্যে কোন অন্যায় নেই।
×